ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মহিষ নিয়ে বিপাকে ভোলার চরাঞ্চলের মানুষ

ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ২১ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মহিষ নিয়ে বিপাকে ভোলার চরাঞ্চলের মানুষ

ভোলা সংবাদদাতা: ভোলার চরাঞ্চলের আরেক নান্দনিক সৌন্দর্য মহিষের পাল। স্থানীয়ভাবে মহিষের পালকে মহিষের বাথান বলা হয়।

হালে তীব্র খাদ্য সঙ্কটের মুখে ভোলার চরাঞ্চলের এসব মহিষের বাথান। ফলে মহিষ মালিকরাও তাদের প্রিয় প্রাণিটির খাদ্য যোগান দিতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন- ঘাসের অভাবে মরে যাচ্ছে মহিষ, এমন কী দুধ কমে গিয়ে মহিষের বাচ্চাও মারা যাচ্ছে। আবার দুর্যোগকালীন সময়ে উঁচু কিল্লার অভাবে মহিষদের নিরাপদ আশ্রয়েও রাখা যাচ্ছেনা।

খাদ্যের সঙ্কট নিরসনের উপায় হিসাবে ভোলার প্রাণিবিভাগ বলছে ঘাসের চারণ ভূমি করা গেলে এ সঙ্কট উত্তরণ সম্ভব।  ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকার জানান, জেগে ওঠা অনেক চর বন বিভাগের দখলে চলে যাওয়ায় মহিষ বিচরণের স্থানটুকুও হারিয়ে যায়। যদি প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কিছু কিছু চর মহিষ মালিকদের বরাদ্দ দেওয়া যায় তা হলে সেখানে মহিষের নিরাপদ চারণ ভূমি করা সম্ভব। এতে হয়তোবা খাদ্যসহ বিভিন্ন সঙ্কট সহজেই মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।

সরকারি হিসেব মতে- দ্বীপজেলা ভোলার সদর, দৌলতখান, বোরহান উদ্দিন, লালমোহন, তজুমদ্দিন, চরফ্যাশন ও মনপুরা এ সাত উপজেলায় ছোট-বড় নতুন-পুরাতন মিলিয়ে ১৫৪টি চর রয়েছে। এসব চরে রয়েছে প্রায় ৯৩ হাজার মহিষ।

চরে কোন ঘাস নেই, ঝড়ঝঞ্ঝায় আশ্রয় নেওয়ার মতো বিশেষ কোন কিল্লা নেই। এভাবেই নানা সমস্যা নিয়ে কোন মতে টিকে আছে চরাঞ্চলের মহিষ বাথান। ভোলায় মহিষ পালন লাভজনক হলেও এ নিয়ে প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ নেই।

আসন্ন বর্ষা মৌসুমে চরাঞ্চল জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মহিষ মালিকরা ঘাসের জোগান নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। অন্যদিকে খাদ্যাভাবে মহিষ জোয়ারের পানিতে অন্যত্র ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

মহিষ মালিকদের কথা, মেঘনার মধ্যবর্তী এ সব চরের সুখ-দুখের খবর কেউ রাখেনা। তাদের কষ্ট তাদেরই সামাল দিতে হয়। কুলিয়ে উঠতে না পারলে সবই হারাতে হয়।

 

 

রাইজিংবিডি/ভোলা/২১ জুলাই ২০১৮/ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়