ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৯ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

মুন সিনেমা হলের মূল্য নির্ধারণে আপিল বিভাগের নির্দেশ

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৩, ১৫ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মুন সিনেমা হলের মূল্য নির্ধারণে আপিল বিভাগের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুরান ঢাকার ওয়েজঘাট এলাকার মুন সিনেমা হলের জমি, স্থাপনার মূল্য নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত  রায়ের ৯০ দিনের মধ্যে পুরান ঢাকার ওয়েজঘাট এলাকার মুন সিনেমা হল মূল মালিককে ফেরত না দেওয়ায় আদালত অবমাননার অভিযোগ দাখিল করেন ইতালিয়ান মার্বেলস ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুন সিনেমা হলের মালিক মাকসুদুল আলম।

ভূমি সচিব মোখলেসুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব কেএইচ মাসুদ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী সিকদারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন।

২০১২ সালের ১০ জানুয়ারি দাখিল করা এ অভিযোগের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ রোববার  মুন সিনেমা হলের জমি, স্থাপনার মূল্য নির্ধারণের নির্দেশ দেন।

একজন অভিজ্ঞ, নিরপেক্ষ প্রকৌশলী দিয়ে এই মূল্য নির্ধারণ করে ছয় সপ্তাহের মধ্যে তা আদালতে প্রতিবেদন আকারে দাখিল করতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘পঞ্চম সংশোধনী মামলার রায়ে সিনেমা হল ছেড়ে দেওয়া অথবা উভয় পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার কথা বলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭২ সালে মুন সিনেমা হলটি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০০১ সালে প্রতীকী মূল্য ১ টাকা দরে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট তা হস্তান্তর করে ডেভেলপারদের কাছে। ডেভেলপাররা মূল সিনেমা হলটি ভেঙে বহুতল ভবন নির্মাণ করে এবং ডেভেলপার কোম্পানি তাদের অংশটুকু বর্তমান দোকান  মালিকদের কাছে বিক্রি করে দেন।’

এ অবস্থায় আমি আদালতের কাছে বলেছি, ‘মুন সিনেমা হল আগের অবস্থায় ফেরত দেওয়ার কোনো উপায় নেই। এখন মুন সিনেমা হলের জমির মূল্য ও মুন সিনেমা হলের মূল স্ট্রাকচারের (কাঠামো) মূল্য ধরে এর  মালিক ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন। এজন্য আদালত একটি নির্দেশনা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে একজন অভিজ্ঞ, নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। যিনি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জমি ও মূল কাঠামোর মূল্য নির্ধারণ করে আদালতে একটি রিপোর্ট দেবেন। পরে আদালত এ বিষয়ে আদেশ দেবেন।’ অভিজ্ঞ, নিরপেক্ষ প্রকৌশলী নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর নাম এসেছে বলেও জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।

আদালতে মাকসুদুল আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. তৌফিক নেওয়াজ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ জানুয়ারি ২০১৭/মেহেদী/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়