মুফতি হান্নানসহ ৩ জঙ্গির মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট : তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা ও তিনজনকে হত্যার দায়ে হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নেতা মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল এবং দেলওয়ার ওরফে রিপনের মৃত্যু পরোয়ানা সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিচারিক আদালত থেকে এ পরোয়ানা কারাগারে পৌঁছে।
সিলেটের জেল সুপার ছগির আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রায়ের কপি গ্রহণ করার পর নিয়ম অনুযায়ী রিপনের মৃত্যু পরোয়ানার কপি রেখে বাকি দুজনের কপি ঢাকা ও কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে ।
তিনি বলেন, ‘হুজি নেতা মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল এবং দেলওয়ার ওরফে রিপনের মৃত্যু পরোয়ানা পেয়েছি। নিয়ম অনুযায়ী দণ্ডিত ব্যক্তি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইলে আপাতত এ পরোয়ানা সাইলেন্স থাকবে। সিলেট কারাগারে থাকা দেলওয়ার ওরফে রিপন তার আইনজীবী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে প্রাণভিক্ষার সিদ্ধান্ত নেবেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘এর আগেও মৃত্যু পরোয়ানা এসেছে। তবে আসামিরা রিভিউ ও অন্যান্য আইনি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ায় তা সাইলেন্স থাকে।’
এর আগে, বুধবার সকালে এ তিন জঙ্গির রিভিউ আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি পাওয়ার পর দেলওয়ার ওরফে রিপনকে শোনানো হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারের প্রধান ফটকে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত এবং আনোয়ার চৌধুরীসহ ৭০ জন আহত হন।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল ওরফে বিপুল, দেলওয়ার ওরফে রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন সিলেট দ্রুত বিচার আদালত।
রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ওই রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট। পরে আসামিদের আপিল গত ৭ ডিসেম্বর খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আসামিরা রিভিউ আবেদন করেন। ১৯ মার্চ সে আবেদন খারিজ হয়। পরে মঙ্গলবার রিভিউ খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
রাইজিংবিডি/সিলেট/২২ মার্চ ২০১৭/কামাল/রিশিত/শাহনেওয়াজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন