ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

মেঘনার তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান

হাসান উল রাকিব || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৯, ২৯ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মেঘনার তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ : মেঘনা নদীর পূর্ব তীরে গজারিয়া উপজেলার তেতুইতলা ও রায়পাড়া এলাকায় কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ভরাট ও দখল করা অংশ উদ্ধার করতে অভিযান চালিয়েছে নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এ সময় অন্তত ৩০টি অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়। জব্দকৃত বালু ও পাথর এবং ভরাটকৃত অংশ মোট ২৫ লাখ ৯২ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এদিকে, প্রোভিটা গ্রুপের প্রায় ১ কিলোমিটার ভরাটকৃত অংশের নিলামে অংশ নিতে এলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বিল্লাল হোসেনের ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। স্থানীয় প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল।

ছয় দিনব্যাপী অভিযানের শেষদিনে বুধবার ২৯ মে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিয়ার নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক গুলজার আলী, উপ-পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ, সহকারী পরিচালক এহতেশামুল পারভেজ।  

 



উচ্ছেদ অভিযানে দুটি ভেকু, দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ, একটি টাগবোট, বিপুল সংখ্যক উচ্ছেদকর্মী, পুলিশ ও আনসার সদস্য, বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।

নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক গুলজার আলী বলেন, মেঘনা নদীর দুই তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ছয় দিনব্যাপী অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে নদী দখল ও ভরাটের অভিযোগে  খান ব্রাদার্স ডকইয়ার্ড, মেঘনা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, আমান ইকোনোমিক জোন, ইউনিক গ্রুপ, অরিয়ন গ্রুপ, আল মোস্তফা গ্রুপের পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজসহ বেশকিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হয়। নিলামে জব্দকৃত বালু ও পাথর প্রায় ২ কোটি টাকার বেশি দামে বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়া, দুটি চার তলা ভবন, দুটি দোতলা ভবনসহ গত ৬ দিনে দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, নদী বাঁচালে দেশ বাঁচবে। কিন্তু শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো নদী দখল করছে, যা কাম্য নয়। মেঘনার তীরে মেঘনা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, আমান গ্রুপ, হোলসিম সিমেন্ট,  মদিনা সিমেন্টসহ ১২টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নদী ব্যাপকভাবে দখলের প্রমাণ পেয়েছে নদী কমিশন। এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিয়া জানান, ঈদের পরে নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে আরো জোরদার অভিযান পরিচালিত হবে। নদী দখলকারীরা যত প্রভাবশালী হোক না কেন তাদের ছাড় নেই।



রাইজিংবিডি/নারায়ণগঞ্জ/২৯ মে ২০১৯/হাসান উল রাকিব/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়