ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মেলায় ‘ঠোঁটের কারফিউ ভাঙ্গে নিষিদ্ধ আঙ্গুল’

ছাইফুল ইসলাম মাছুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৫, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মেলায় ‘ঠোঁটের কারফিউ ভাঙ্গে নিষিদ্ধ আঙ্গুল’

ছাইফুল ইসলাম মাছুম : অমর একুশে গ্রন্থমেলায় (২০১৮) প্রকাশিত হয়েছে কবি মনিরুল হক এমরানের কবিতার বই ‘ঠোঁটের কারফিউ ভাঙ্গে নিষিদ্ধ আঙ্গুল’।

সমাজ, দেশ এবং বৈশ্বিক সমসাময়িক ঘটনা প্রবাহকে কবি মনিরুল হক এমরান কবিতার শৈল্পিক ভাষায় নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই কাব্য গ্রন্থে কবি প্রেম-দ্রোহ, কষ্ট-ক্ষোভ ও মনের মাধুরী মিশিয়ে জীবনের চিত্র এঁকেছেন। তার কবিতায় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট উপজীব্য। হিংসা-প্রতিহিংসা, মানুষের প্রতি মানুষের নিষ্ঠুরতাকে প্রতিবাদ করেছেন কবিতার মাধ্যমে শব্দের দক্ষ কারিগরের হাতে। পাঠকের জন্য সুখপাঠ্য করে তুলেছেন প্রতিটি কবিতা।

এই কবিতা গ্রন্থে পাঠকের মনকে আনন্দে আন্দোলিত করার মতো রয়েছে তার তের্জারিমা ছন্দে লেখা পনেরটি তের্জারিমা কবিতা। দুই খণ্ডের তের্জারিমা বই প্রথম প্রকাশিত হয় অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৩ এবং ২০১৫ সালে। যা পরবর্তীতে পাঠক ও কবিদের মাঝে সমাদৃত হয় এবং অনেক নবীন কবি চর্চা করতে শুরু করেন। এবারের কবিতার বইটি খানিকটা ভিন্নভাবে, কবির নিজস্ব প্যাটার্নের কয়েকটি কবিতা রয়েছে।

তের্জারিমা ছন্দ সম্পর্কে মনিরুল হক এমরান রাইজিংবিডিকে জানান, বাংলা সাহিত্যে তের্জারিমার প্রথম প্রচলন করেন প্রমথ চৌধুরী ১৯১৯ সালে ‘পদচারণ’ কাব্য গ্রন্থের মাধ্যমে। তার দীর্ঘ বছর পর কবি জীবনানন্দ দাশ তের্জারিমা চর্চা শুরু করলেও তার মৃত্যু তার এই তের্জারিমা চর্চা থামিয়ে দেয়। কবি জীবনানন্দ দাশ তার জীবদ্দশায় মাত্র নয়টা তের্জারিমা কবিতা লিখতে পেরেছেন। এরপর থেকে বাংলা সাহিত্যে আর কোনো কবি লিখেছেন কিনা জানা নেই। তবে কঠিন এই প্যাটার্ণে কেউ হয়তো চেষ্টা করে দেখেননি। আমার কেনো যেন মনে হলো অবহেলায় পড়ে থাকা এই রীতিকে অধিক চর্চা করে বাংলা সাহিত্যে সনেটের মতো তুলে এনে পাঠকের মনকে আন্দোলিত করা দরকার। বাংলা সাহিত্যর তের্জারিমা আলাদা মর্যাদা পাওয়া দরকার। কবিদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দরকার অনুভব করায় ২০০৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে চর্চা করতে শুরু করি এবং আজ অবধি চর্চা অব্যহত রেখেছি। বর্তমান আমার ১০৪টি তের্জারিমা কবিতা লেখা হয়েছে। আমার দেখা দেখি ২০/২৫ জন তরুণ কবিও লিখছেন এবং তাদের প্রকাশিত বইয়ে প্রকাশ করছেন।

কবি বইটি উৎসর্গ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি (বর্তমান) মুজিবুর রহমানকে। প্রচ্ছদ করেছেন চারু পিন্টু।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/ফিরোজ/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়