ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মেয়রের বিরুদ্ধে টেন্ডার বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

বিলাস দাস || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৪, ৬ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মেয়রের বিরুদ্ধে টেন্ডার বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

পটুয়খালী প্রতিনিধি : কুয়াকাটা পৌরসভার প্রায় দুই কোটি টাকা সড়ক উন্নয়ন কাজের টেন্ডার পৌর মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা নিজেই বাগিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কুয়াকাটা পৌরসভার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও কুয়াকাটা পৌরসভা সূত্র থেকে জানা গেছে, কুয়াকাটা পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ উপ-শহর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে চার নম্বর নোটিশে দুই গ্রুপে প্রায় দুই কোটি টাকার সড়ক উন্নয়নের টেন্ডার আহ্বান করে কুয়াকাটা পৌরসভা। ৪ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত টেন্ডার সিডিউল বিক্রির শেষ সময় নির্ধারণ করা হলেও এর আগের দিন পর্যন্ত টেন্ডার সিডিউল কিনতে পারেনি কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কুয়াকাটা পৌরসভায় একাধিক ঠিকাদার গেলেও তাদের সিডিউল দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা।

কলাপাড়ার কবির হোসেন, মামুন তালুকদার, আবুল বাসারসহ একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করেন জানান, সিডিউল কিনতে গেলে তাদের পৌরসভা থেকে সিডিউল দেওয়া হয়নি। সিডিউল বিক্রয়ের শেষ দিন অর্থাৎ ৪ জুলাই দুপুর ১২টার পর থেকে পৌরসভার কোনো স্টাফ অফিসে উপস্থিত ছিলেন না। পরে ঠিকাদাররা পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তিন সেট সিডিউল পাঠায় পৌর কর্তৃপক্ষ। বিকেল সাড়ে ৪টায় সিডিউল পৌঁছালে মেয়রের নির্ধারিত তিনজন ব্যক্তি ওই সিডিউল ক্রয় করে নিয়ে যান।

মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে একটি চক্র অপপ্রচার চালাচ্ছে। সকল অফিসে সিডউল দেওয়া হয়েছে এবং সেগুলো বিক্রি করা হয়েছে। কোনো অফিস যদি সিডিউল বিক্রি না করে সেটা সেই অফিসের দোষ। কুয়াকাটা পৌরসভা থেকেও সিডিউল বিক্রি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মোকতার হোসেন জানান, ঠিকাদারদের অভিযোগের পর কুয়াকাটা পৌরসভা থেকে টেন্ডার সিডিউল আনিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বিক্রি করানো হয়েছে। আইনবহির্ভূত কিছু করা হলে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মাছুমুর রহমান জানান, কাজ বাগিয়ে নেওয়া হয়েছে এমন একটি অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। পরে কুয়াকাটা থেকে তিনটা সিডিউল আনানো হয়েছে এবং তা বিক্রি হয়েছে। তবে অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হবে।




রাইজিংবিডি/পটুয়াখালী/৬ জুলাই ২০১৭/বিলাস দাস/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়