ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

‘রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই’

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৮, ৩০ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই’

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বাণিজ্য সচিব মোঃ মফিজুল ইসলাম বলেছেন, এ বছর রমজানে ব্যবহৃত প্রতিটি পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। ফলে দাম বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই। কেউ যদি বাজারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে তাহলে সরকার তা কঠোরভাবে দমন করবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) আয়োজনে আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে দ্র্যব্যমূল্য সহনীয় ও পণ্যের গুণগত মান অক্ষুন্ন রাখা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যবসায়ী সমাজ দেশের জনসাধারণের খাদ্য সরবরাহ ও চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমাদের বাজার ব্যবস্থা স্থিতিশীল না হওয়ার কারণে রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।’

এ সময় তিনি ব্যবসায়ীদের পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি না করার জন্য আহ্বান জানান।

স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীর বলেন, ‘বিগত বছরগুলোয় পবিত্র রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য, বিশেষ করে ছোলা, চিনি, চাল, দুধ, ভোজ্য তেল, খেজুর, খেসারি ডাল প্রভৃতি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যানুযায়ী এ বছর মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের ব্যবধানে নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু কিছু পণ্যের দাম ২৬ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এ মূল্যবৃদ্ধির মূলে প্রথাগত বাজার সরবরাহ প্রক্রিয়া, অতিরিক্ত মজুদকরণের মাধ্যমে বাজারে পণ্যদ্রব্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি, অপর্যাপ্ত ও সমন্বয়হীন বাজার মনিটরিং, পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি, যানজট এবং অতিরিক্ত পরিবহন ব্যয়ের মতো বিষয়সমূহকে কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

পাশাপাশি ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর উচ্চ সুদের হার এবং ঋণপ্রাপ্তি সংশ্লিষ্ট জটিলতা প্রভৃতির কারণে ব্যবসা পরিচালন ব্যয় বেড়ে যায়। এ অবস্থা নিরসনে রমজানে আমদানি নির্ভর ভোগ্যপণ্য বন্দরে দ্রুত খালাসকরণ, পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি ও যানজট নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, দেশের সকল বাজারে নিয়মিত মূল্য তালিকা হালনাগাদ, প্রদর্শন ও মূল্যতালিকা কার্যকর করা, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা এবং বন্দর এলাকা, পাইকারি বাজার ও ব্যস্ততম পাইকারি বাণিজ্যিক এলাকায় সাপ্তাহিক ছুটির দিন ও সান্ধ্যকালীন ব্যাংকিং সেবা প্রদানের জন্য আহ্বান জানানো এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে টিসিবির কার্যক্রম আরো সম্প্রসারণের প্রস্তাব করেছে।

মুক্ত আলোচনায় বিশেষায়িত ব্যবসায়ী সমিতিসমূহের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। এ আলোচনায় পাইকারি পর্যায়ে পণ্যের মূল্য এবং খুচরা পর্যায়ে পণ্যের দামের অসঙ্গতিপূর্ণ ব্যবধান, পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত ব্যয়, চাঁদাবাজি ইত্যাদি সমস্যার কথা তারা তুলে ধরেন। আলোচকবৃন্দ পাইকারী ও খুচরা বাজারে মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের পর্যবেক্ষণের আওতায় নেওয়ারও আহ্বান জানান।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, ডিসিসিআই সহ-সভাপতি ইমরান আহমেদ, পরিচালক আলহাজ দ্বীন মোহাম্মদ, এনামুল হক পাটোয়ারী, মোহাম্মদ বাশীর উদ্দিন এবং বিশেষায়িত ব্যবসায়ী সমিতিসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ এপ্রিল ২০১৯/নাসির/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়