ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

রাজধানীতে বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশনে নতুন প্রকল্প

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪২, ২১ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাজধানীতে বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশনে নতুন প্রকল্প

হাসিবুল ইসলাম মিথুন : রাজধানীতে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশনসহ নতুন ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করা হবে।

‘ঢাকা মহানগরীর ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং খাল উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প আগামীকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অনুমোদনের পর ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

কমিশন সূত্র জানিয়েছে, এ প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হলো ঢাকা মহানগরীর ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং খাল উন্নয়নের মাধ্যমে রাজধানীর ওয়াসার ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা জোন ১ ও ২ এলাকার জলজট নিরসন করা। তাছাড়া এ প্রকল্পের আওতাভুক্ত খালগুলো ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশনের যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে, সেগুলো অপসারণ করা হবে। এছাড়া ভরাটকৃত খালগুলো খনন ও প্রশস্ত করে তীর উন্নয়ন ও ওয়াকওয়ে নির্মাণের মাধ্যমে খালের দুই তীরের পরিবেশ উন্নয়ন করা হবে।

বাংলাদেশ সরকারের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অধ্যায়-২ এ ২০১১ সালের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ পানি ও নগর এলাকায় শতভাগ স্যানিটেশনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন উল্লেখ করা হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, শঙ্কর, ঝিগাতলা, রায়েরবাজার এলাকা এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, শেরেবাংলা নগর, দারুসসালাম, মিরপুর, পল্লবী ক্যান্টনমেন্ট, উত্তরা এবং বিমানবন্দর থানা এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ বলেন, ঢাকা ওয়াসার ড্রেনেজ ব্যবস্থপনা জোন-১ ও ২ এলাকার বিদ্যমান খালগুলোর পানি নিষ্কাশনের ক্ষেত্রে যে প্রতিবান্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে তা সমাধান হবে। তাছাড়া খালগুলো খনন ও প্রশস্ত করার মাধ্যমে প্রকল্পভুক্ত এলাকার প্রায় ৫২ লাখের বেশি জনগণ বর্ষা মৌসুমে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাবে। এছাড়া এটি বাস্তবায়ন হলে বর্ষার সময় যানবাহন ও মানুষের নির্বিঘ্ন চলাচল সম্ভব হবে। ফলে সার্বিকভাবে প্রকল্প এলাকার জনসাধারণের নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। এজন্য প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ মে ২০১৮/হাসিবুল/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়