ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

রাডার দুর্নীতি : সাক্ষী বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ বাতিল

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:২২, ৮ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাডার দুর্নীতি : সাক্ষী বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রাডার দুর্নীতি ক্রয়সংক্রান্ত মামলায় বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ।

রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপিল বিভাগের এই আদেশের ফলে রাডার দুর্নীতি ক্রয়সংক্রান্ত মামলা নিম্ন আদালতে স্বাভাবিক গতিতেই চলবে।’

এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর রাডার দুর্নীতি ক্রয়সংক্রান্ত মামলায় বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের অনুমতি দিয়ে ও ৩১ মার্চের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন চেম্বার আদালত।

গত ২৪ নভেম্বর এরশাদের রাডার দুর্নীতি ক্রয়সংক্রান্ত মামলায় বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের অনুমতি ও ৩১ মার্চের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন এই মামলার আসামি বিমান বাহিনীর  প্রাক্তন প্রধান সুলতান মাহমুদ।

এরশাদ ছাড়া এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিমান বাহিনীর প্রাক্তন সহকারী প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনীর প্রাক্তন প্রধান সুলতান মাহমুদ ও ইউনাইটেড ট্রেডার্সের পরিচালক এ কে এম মুসা। মামলার শুরু থেকে মুসা পলাতক রয়েছেন।

মামলাটি কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে আসে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলাটি এখন যুক্তিতর্কের পর্যায়ে রয়েছে।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি দায়ের করে। ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এই মামলায় ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষী নিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, তৎকালীন বিমান বাহিনী প্রধান সদর উদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে বাহিনীর জন্য যুগোপযোগী রাডার ক্রয়ের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানি নির্মিত অত্যাধুনিক একটি হাই পাওয়ার রাডার ও দুটি লো লেভেল রাডার ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান এরশাদসহ অপর আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে থমসন সিএসএফ কোম্পানির রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কেনেন। এতে সরকারের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ জানুয়ারি ২০১৭/মেহেদী/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়