ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রাবণের দেশে পথিকের বেশে || সূচনা পর্ব

ফিরোজ আলম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৪, ১৮ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাবণের দেশে পথিকের বেশে || সূচনা পর্ব

শ্রীলঙ্কা এয়ারলাইন্সের বিশাল বিমানটি যখন কলম্বো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের বুক ছুঁলো, তখন সূর্য শেষ বিকেলের বিদায়ের পথে। ল্যান্ড করেই এ-৩৩০ এয়ারবাসটা খুব জোরে ব্রেক কষে গতি কমাতে চাইলো। যাত্রীরা প্রায় সবাই সামনের আসনে হুমড়ি খেয়ে পড়ার অবস্থা! বিমানের এমন হার্ড ব্রেক করা এর আগে দেখিনি। তাই কিছুটা ভয় পেয়ে নিকটতম আসনে বসা লিজেন্ড ক্রিকেটার বাংলাদেশ দলের সাবেক ক্যাপ্টেন ও বর্তমান বোর্ড ডিরেক্টর আকরাম ভাইয়ের দিকে তাকালাম। তিনিও কিছুটা ঘাবড়ে গেছেন। আমাকে হেসে বললেন, ‘পাইলট ল্যান্ডিং কিছুটা লেটে করেছে মনে হয়। তাই ছোট হয়ে যাওয়া রানওয়ের দূরত্ব পুষিয়ে নিতেই এই অবস্থা।’ আমি অবশ্য কিছু না বলে হাসলাম। তার কথায় দ্বিমত পোষণ করার কারণ নেই। শত শতবার উড়বার অভিজ্ঞতা তার আছে।

বিমান থেকে নেমেই ইমিগ্রেশনের দিকে ছুটলাম। অন এরাইভ্যাল ভিসার লাইনে গিয়ে দাঁড়ালাম। সার্কভুক্ত দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা ফি ২৫ ডলার, অন্য দেশের নাগরিকদের জন্য ৪০ ডলার। সব দেশের নাগরিকেরাই লাইন মেনে ভিসা ফি জমা দিচ্ছে; শুধু কিছু ভারতীয় আইন মানছে না। সবাই এই অর্বাচীনদের দিকে বিরক্তি নিয়ে তাকাচ্ছিল। একটা জিনিস খেয়াল করেছি যে, ভয়ে হোক আর সচেতনভাবে হোক বাংলাদেশিরা বিদেশ গিয়ে বেশ নিয়মমতো চলার চেষ্টা করে। যাই হোক ভিসা কর্মকর্তাদের দক্ষতায় খুব অল্প সময়েই আমাদের ভিসাসংক্রান্ত কাজ করে ছুটলাম কলম্বো পি সারা ওভাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দিকে। যেখানে বাংলাদেশ দল শততম টেস্ট ম্যাচের মাইলফলক ছোঁবে।

 



আমি আর সহকর্মী স্টেডিয়াম যাব শুনে সঙ্গী হলেন বিসিবির অফিশিয়াল ফটোগ্রাফার রতন গোমেজ। তিনজন একটি ট্যাক্সি নিয়ে ছুটলাম পি সারার দিকে। ট্যাক্সি ড্রাইভার স্টেডিয়াম যাব শুনেই বাংলাদেশি কিনা জানতে চাইলেন। অন্য ট্যাক্সিওয়ালারা ৩-৪ হাজারের নিচে যেতে রাজি না হলেও তিনি ২ হাজার টাকাতে যেতে রাজি হলেন। গাড়ি চলতে শুরু করলে ড্রাইভারের নাম জানলাম। পেরেরা। শ্রীলঙ্কান একজন বিখ্যাত ক্রিকেটারে সাথে নামের মিল আছে বলতেই একগাল হাসলেন। নিজে স্কুল ক্রিকেট খেলতেন এবং বর্তমানে কলম্বো কোল্ট ক্রিকেট ক্লাবের সক্রিয় সদস্য। বাংলাদেশ দলের বেশ খোঁজখবর রাখেন। ড্রাইভার সাহেবের প্রিয় খেলোয়াড় মাহামুদউল্লাহ শুনে কিছুটা অবাক হলাম। কারণ দেশের বাইরে সাধারণত সাকিবের কথাই বেশি শুনেছি আগে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বাদ দেওয়াটা কতটা অযৌক্তিক সে তার মতো করে যুক্তি দিয়ে বোঝাতে চাচ্ছিলেন। যথেষ্ট যুক্তি থাকা সত্ত্বেও প্রসঙ্গ পাল্টালাম। কারণ কোনো বিদেশির কাছে নিজের দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সমালোচনা শুনতে ভালো লাগছিল না।

পাইকিয়াসোথি সারাভানামুত্তু স্টেডিয়াম, কলম্বো ওভাল, যা সংক্ষেপে পি. সারা কলম্বো বা শুধুই ‘পিএসএস’ নামে পরিচিত। স্টেডিয়ামটি কলম্বোর লেসলি রানাগালা মেওয়াথা অঞ্চলে। এর আসন সংখ্যা ১৫ হাজর। তথ্য উইকিপিডিয়ার কিন্তু আমার দেখে কম মনে হয়েছে। ১৯৮২ সালে প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৪৫ সালে ‘কলম্বো ওভাল’ নামে এ স্টেডিয়ামটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৭৭ সালে সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের প্রথম সভাপতি পাইকিয়াসোথি সারাভানামুত্তুর নামানুসারে এ স্টেডিয়ামের পুনঃনামকরণ হয়েছে। এয়ারপোর্ট থেকে দূরত্ব ৩২-৩৩ কিলোমিটার। এই পথটুকু পেরুতে সাধারণত কলম্বোতে ৪০ মিনিটের মতো লাগে। কিন্তু আমাদের একটু বেশি সময় লাগল ট্রাফিক জ্যামের জন্য। পথে চলতে চলতে আশপাশে চোখ বুলাচ্ছিলাম আর অবাক হচ্ছিলাম আমরা কত পিছিয়ে আছি, সেটা ভেবে। আমাদের আশপাশের সব দেশের পথঘাটের অবস্থা আমাদের চেয়ে উন্নত। আমি যে কটা দেশে ঘুরেছি প্রতিটিতেই একটা জিনিসের মিল পেয়েছি। সেটা হলো ট্যাক্সি ড্রাইভারদের রাজনৈতিক সচেতনতা। আমাদের পেরেরাও খুব রাজনীতির খবর রাখে। সংক্ষেপে শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক সংস্কার আর বিচ্ছিন্নতাবাদ দমনের প্রক্রিয়া বলে দিলেন। কথা বলতে বলতে আমরা স্টেডিয়ামের দরজায় পৌঁছে গেলাম। নেমে ভাড়া মিটিয়ে দিতে দিতেই দু-এক ফোঁটা করে বৃষ্টি পড়তে শুরু করেছে। ভেতরে ঢুকতে ঢুকতেই একেবারে আমাদের দেশের আষাঢ়ে ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। টেন স্পোর্টসের প্রতিনিধি সুনীলের সাথে আগে থেকেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট করা ছিল। ভেতরে ক্রিকেটার্স ক্লাবে দেখা হলো সুনীলের সাথে। ছোটখাটো গড়নের সদাহাস্য মানুষটি প্রথম দেখাতেই ভালো লাগার মতো। বেশ একটা আড্ডা দিতে দিতেই প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো নিয়ে কথা সেরে হোটেলের পথ ধরলাম। রতন গোমেজ চলে গেলেন অন্য হোটেলে আর আমরা আমাদের জন্য পূর্বনির্ধারিত ওশান এজ স্যুটস-এর উদ্দেশ্যে।

পরদিন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে হোটেল থেকে পি. সারা ওভালের পথ ধরলাম। নিচে লবিতে এক শ্রীলঙ্কান ভদ্রমহিলা আমাদের হাতে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেখে বাংলাদেশ ক্রিকেটের লোক কি না জানতে চাইলেন। আমি হেসে বললাম, সরাসরি সম্পৃক্ত নই। তবে আমরা যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করি সেটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াবান্ধব কর্পোরেট হাউস। ওয়ালটনের নাম বলতিই হেসে বললেন, টিভিতে দেখেছেন এই ব্র্যান্ডের লোগো। আসলে ক্রিকেট যেকোনো ব্র্যান্ডের পরিচিতি অনেক বিস্তৃত করে। সেটা দেশের ভেতর এবং বাইরে দুই ক্ষেত্রেই।

 



মাঠে ঢুকতে গিয়ে অবাক হলাম। কোথাও কোনো চেকিং নেই। আড়চোখে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেখে সিকিউরিটি কোনো প্রশ্নও করল না। সরাসরি পি. সারার সবুজ ঘাসে নেমে গেলাম। সেখানে তখন বাংলাদেশ দলের শততম টেস্টের আনুষঙ্গিকতার প্রস্তুতি চলছে। একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি পুরো বিষয়টা দেখভাল করছিল। আমাদের বোর্ড সভাপতি নাজমুল আহসান পাপন এমপি সবার মধ্যমণি হয়ে আছেন। এমনিতেও হাসিখুশি মানুষটিকে আজ আরো বেশি আনন্দিত মনে হচ্ছে। কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে সবার সাথে কুশল বিনিময় করে মাঠ থেকে উঠে এলাম। মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের কাছে শততম টেস্টে শতক উপহার চেয়ে এলাম। প্রথম ইনিংসে সেই প্রত্যাশা ইতিমধ্যে সাকিব আল হাসান পূরণ করেছেন। আশাকরি দ্বিতীয় ইনিংসে মুশফিক সেই প্রত্যাশা পূরণ করে দেবেন।

লাঞ্চ ব্রেকে স্টেডিয়ামের বাইরে খাবার খেতে বের হলাম। খাঁ খাঁ রোদে তখন কলম্বোর রাজপথ বেশ উত্তপ্ত। মৃদু বাতাস সেই অবস্থায়ও এক শান্তির পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে। আমি আর সহকর্মী মিলটন আহমেদ সিদ্ধান্ত নিলাম রাস্তা ধরে হাঁটতে থাকব। ভালো কোনো ভারতীয় রেস্তোরাঁ পেলে দুপুরের খাবার খাব। খাবারের দোকান পাওয়ার আগেই এক ফলের দোকান পেলাম। থরে থরে সাজানো ফলগুলো দেখে দাঁড়িয়ে গেলাম। খুব সাধারণ পথের ধারের দোকান। বাংলাদেশ থেকে এসেছি শুনে দোকানি বেশ সমাদর করলেন। দাম দিতে গিয়ে সহকর্মী মিলটন জানালো প্রকৃত দামের চেয়ে অনেক কম নিয়েছে। সেটা নাকি বাংলাদেশি বলেই। আরেকটি বিষয়ে আবার অবাক হলাম। এই ফল বিক্রেতাও বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রথমেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কথা বললেন। তার ব্যাটিং নাকি পছন্দ করেন। প্রথম টেস্টে ভালো কিছু করলে এমন অবাক হতাম না। যাই হোক, ফল কিনে আবার পথে নামলাম। কিছুদূর গিয়েই একটা পাবলিক টয়লেটে ঢুকলাম। গলায় খেলার অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেখে ম্যানেজার খুব খাতির করলেন। বাংলাদেশ দলের সাথে খেলায় ব্র্যান্ডিং সংক্রান্ত কাজে এসেছি শুনে টাকাও নিলেন না। ভালোবাসার এক নীরব জোর থাকে। সেই জোর উপেক্ষা করার সাধ্য আমার ছিল না।

পরদিন স্টেডিয়ামের গেটে নেমে ট্যাক্সি ভাড়া দিতে গিয়ে বিপত্তিতে পড়লাম। আমাদের দুজনের কারো কাছেই খুচরো রুপি নেই । মিলটন আহমেদ গেল টিকিট কাউন্টারে। বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনারত কিছু ছাত্র টিকিট বিক্রি করছিল। তাদের কাছে গিয়ে পরিচয় দিতেই খুব আন্তরিকভাবে খুচরো দিয়ে দিল। স্টেডিয়ামে ঢুকেই গ্যালারিতে চলে গেলাম। সেখানে আমাদের বাঘ মিলনরা শ্রীলঙ্কানদের সাথে গলা মিলিয়ে কোরাস গাইছে। ক্রিকেট নামক ধর্মের অনুসারী কিছু মানুষ জাতপাত, দেশ, ভাষা সব ভুলে এক হয়ে ক্রিকেটের বন্দনা গাইছে। এক অন্যরকম ভালো লাগার দৃশ্য। দেখতে দেখতে দুপুরের খাবারের বিরতি হয়ে গেল। ক্রিকেটের লাঞ্চ ব্রেক আর আমাদের দেহের লাঞ্চ ব্রেক একসঙ্গে আসে না। তাই আবারও পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিলাম। ওই কাজটাতে মিলটন আহমেদ আমার প্রিয় সঙ্গী। এর আগেও ব্যাংকক গিয়ে একেক দিনে আমরা ২০-২২ কিলোমিটার করে হেঁটেছি। আসলে হেঁটে হেঁটে যেকোনো শহর যেভাবে চেনা যায়, কোনো যানবাহনে চেপে তা প্রায় অসম্ভব। আমার কাছে পর্যটক হওয়ার চেয়ে পথিক হওয়াটাই বেশি আনন্দের।

 



কলম্বোর পরিচ্ছন্ন ফুটপাথগুলো বেশ প্রশস্ত। কোথাও তেমন কোনো দোকানপাট মানুষের চলার পথের প্রতিবন্ধক হয়ে নেই। নির্বিঘ্নে সবাই চলছে। জেব্রা ক্রসিংয়ে দাঁড়ালেই সব গাড়ি থেমে যাচ্ছে। কেউ অহেতুক হর্ন বাজাচ্ছে না। ভুটানেও দেখেছি একই অবস্থা। পরিচ্ছন্ন পথ, সাজানো ট্রাফিক সিস্টেম। আমাদের কাছাকাছি দেশগুলোতেই এত সুন্দর ব্যবস্থা থাকলে আমরা কেন পারি না? এমন সব ভাবতে ভাবতেই সুন্দর একটা পার্কের সামনে চলে এলাম। কতক্ষণ হেঁটেছি খেয়াল নেই। ঘড়িতে দেখলাম প্রায়  ৩০ মিনিট হেঁটেছি আমরা। পার্কের সামনেই এক ভারতীয় রেস্তোরাঁ পেলাম। সেখানে খেয়ে পার্কে ঢুকে পড়লাম।

ভিহারা মাহাদেবী পার্ক, যা পূর্বে ‘ভিক্টোরিয়া পার্ক’ নামে পরিচিত ছিল। শ্রীলঙ্কা জাতীয় জাদুঘরের পাশে অবস্থিত এই পার্কটি কলম্বোর প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম পার্ক। সবুজ ঘাসে ঢাকা পার্কটিতে প্রচুর পাখি রয়েছে। কোথা থেকে যেন এক বিরোহী কোকিলের ডাক ভেসে আসছে। সব পাখির ভাষাই সারা পৃথিবীতেই একই রকম সুমিষ্ট। হঠাৎ কোকিলের এই কুহু কুহু ধ্বনি আমাকে কিছুটা ঘর কাতর করে দিল। সেই কাতরতা আরো বাড়িয়ে তুলল কোন স্কুল থেকে এসকারশনে আসা ছোট ছোট মেয়েরা। শিক্ষকদের সাথে ঘুরতে আসা সব বাচ্চাই নিজেদের দুপুরের খাবার পাখিদের সাথে ভাগাভাগি করে খাচ্ছিল। একই রকম স্কুল ড্রেস পরা বাচ্চাগুলোকেও পাখি মনে হচ্ছিল। নিজের দুই কন্যার কথা মনে পড়ে গেল। এর একটি আবার স্কুলে যায়। সবগুলো শিশুর মুখেই আমি আমার কন্যার মুখ দেখতে লাগলাম।

 



বাংলাদেশের শততম টেস্টের তৃতীয় দিন। বেলা ৩টার বেশি বাজে।খেলার উত্তেজনা ও সাকিবের সেঞ্চুরির অপেক্ষায় এতক্ষণ ক্ষুধা টের পাইনি। সহকর্মী মিলটন যখন খাওয়ার কথা জিজ্ঞেস করল, তখন যতটা পেটের তাগিদ তার চেয়ে ঘড়ির তাগিদেই পি. সারা ওভাল থেকে বেরোলাম। গেটে দাঁড়িয়ে যখন ট্যাক্সির জন্য অপেক্ষা করছি তখন কয়েকটি শিশু স্টেডিয়ামে ঢোকার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের টিকিট নেই বলে সিকিউরিটি ঢুকতে দিচ্ছে না। অথচ কি তীব্র তাদের খেলা দেখার আগ্রহ। দেখে মায়া লাগল। আমি আর মিলটন যখন সবাইকে টিকিট দিলাম ওরা একরাশ ভুবনজয়ী হাসি উপহার দিল। দেখে মনটা এত ভালো হয়ে গেল বলে বোঝাতে পারব না। ভালো লাগাটা আরো বাড়িয়ে দিল কয়েকজন ভারতীয় তরুণ। তারা আমাদের দূর থেকে খেয়াল করছিল। ওরা এসে আমাদের ধন্যবাদ দিল। ওরাও নাকি শিশুগুলোর জন্য টিকিট কিনতে যাচ্ছিল। অল্প টাকায় অনেক সুখ কিনলাম আর ভেবে দেখলাম আমরা সবাই ক্রিকেট জাতি। হোক  শ্রীলঙ্কা কিংবা ভারত। আমাদের এক বিনি সুতোর মালায় বেঁধে দিয়েছে ক্রিকেট। যেখানে প্রতিযোগিতা আছে কিন্তু প্রতিহিংসা নেই। (চলবে)

ছবি : লেখক



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ মার্চ ২০১৭/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়