রাবি শিক্ষক রেজাউল হত্যা মামলার রায় ৮ মে
ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আগামী ৮ মে।
রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শিরীন কবিতা আখতার আজ বুধবার দুপুরে রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত সোমবার থেকে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। বুধবার যুক্তিতর্ক শেষ হলে আদালত রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৮ মে দিন ধার্য করেন।
তিনি জানান, এ মামলায় ৩২ জন সাক্ষী ছিলেন। তবে আদালত ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। ২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল সকালে রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয় রাবির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে। তিনি ‘কোমলগান্ধার’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। ‘সুন্দরম’ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনেরও উপদেষ্টা ছিলেন। অধ্যাপক রেজাউল ভালো সেতার বাজাতেন। তিনি একটি গানের স্কুল প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছিলেন।
এরপর ২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর আটজনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা রাজশাহী মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক রেজাউস সাদিক। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার অভিযুক্ত আট আসামির মধ্যে খায়রুল ইসলাম বাঁধন, নজরুল ইসলাম ওরফে হাসান ওরফে বাইক হাসান এবং তারেক হাসান ওরফে নিলু ওরফে ওসমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মাসকাওয়াত হাসান ওরফে আব্দুল্লাহ ওরফে সাকিব, নীলফামারীর মিয়াপাড়ার রহমত উল্লাহ, রাজশাহী মহানগরীর নারিকেলবাড়িয়া এলাকার আবদুস সাত্তার ও তার ছেলে রিপন আলী, রাবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী শরিফুল এখনো পলাতক। আবদুস সাত্তার রয়েছেন জামিনে। আর বাকি আসামিরা কারাগারে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, এ হত্যার সঙ্গে জীবিত এবং মৃত আসামিদের সম্পৃক্ততা তিনি প্রমাণ করতে পেরেছেন। রায়ে জীবিত আসামিদের সবার সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে আশা করছেন।
তবে এ মামলার আসামি জেএমবির শরিফুল এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন নিহত শিক্ষক রেজাউল করিমের মেয়ে রিজওয়ানা হাসিন শতভি। তিনি বলেন, ‘‘শরিফুল বাবাকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। সে এখনও গ্রেপ্তার হলো না। এই বিষয়টা আমাদের খুব পীড়া দেয়। আমরা তো তার বিচারই আগে দেখতে চাই।’’
শরিফুল অধ্যাপক রেজাউলের ছাত্র ছিল। রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় তার বাড়ি। অধ্যাপক রেজাউলের গ্রামের বাড়িও বাগমারায়। তাই তাদের মধ্যে বেশ ভালো সম্পর্ক ছিল। এই হত্যার পর থেকেই শরিফুল পলাতক।
রাইজংবিডি/রাজশাহী/১১ এপ্রিল, ২০১৮/তানজিমুল হক/বকুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন