ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রায়ের বিরুদ্ধে রাগীব আলীর আপিল

রফিকুল ইসলাম কামাল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫৭, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রায়ের বিরুদ্ধে রাগীব আলীর আপিল

রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাই

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট : সিলেটের তারাপুর চা-বাগান বন্দোবস্ত নিয়ে ভূমি জালিয়াতির মামলায় কারাদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাই।

বৃহস্পতিবার সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালতে এ আপিল করা হয়েছে।

রাগীব আলী ও তার ছেলের আইনজীবী এটিএম মাসুদ টিপু ও আবদুর রহমান আফজাল জানান, আপিলে রাগীব আলী ও আবদুল হাইয়ের জামিন আবেদনও জানানো হয়েছে। আদালত আগামী ৮ মার্চ শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির মামলায় গত ২ ফেব্রুয়ারি রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইকে চারটি ধারায় মোট ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দেন সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে এক বছর কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

জালিয়াতি মামলায় সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর শেষ হয় সাক্ষ্য। পরে সাফাই সাক্ষ্য শেষে ১ ফেব্রুয়ারি মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়।

তারাপুর চা-বাগান পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। ১৯৯০ সালে রাগীব আলী ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে এ বাগান দখল করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ১৯৯৯ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি রাগীব আলীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে।  ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম আবদুল কাদের বাদী হয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি এবং সরকারের এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করেন।

উচ্চ আদালত গিয়ে রাগীব আলী মামলা দুটিকে নিষ্ক্রিয় করে রাখেন। তবে গত বছরের ১৯ জানুয়ারি ওই মামলা দুটি পুনরুজ্জীবিত করার নির্দেশ দেন সুপ্রিমকোর্ট। এ ছাড়া তারাপুর চা বাগানের সকল স্থাপনা সরিয়ে নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে ১৫ মে চা বাগান সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে বুঝিয়ে দেয় জেলা প্রশাসন।

গত বছরের ১০ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পিবিআইয়ের অতিরিক্ত সুপার সরোয়ার জাহান। স্মারক জালিয়াতি মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া প্রতারণার মামলায় রাগীব আলী, তার ছেলে আবদুল হাই, মেয়ে রুজিনা কাদির, জামাতা আবদুল কাদির, নিকটাত্মীয় দেওয়ান মোস্তাক মজিদ, চা বাগানের সেবায়েত পঙ্কজ গুপ্তকে আসামি করা হয়।

১০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। তবে ওই দিনই রাগীব আলী তার ছেলে আবদুল হাইকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান। পরে ১২ নভেম্বর জকিগঞ্জ সীমান্তে গ্রেপ্তার হন আবদুল হাই। আর রাগীব আলী ২৩ নভেম্বর ভারতের করিমগঞ্জে গ্রেপ্তার হন। বর্তমানে তারা জেলহাজতে রয়েছেন।

মামলা দুটির আসামির মধ্যে রাগীব আলী, আবদুল হাই ও দেওয়ান মোস্তাক মজিদ কারাগারে এবং পঙ্কজ গুপ্ত জামিনে রয়েছেন। রুজিনা কাদির ও আবদুল কাদির পলাতক।

 

 

 

রাইজিংবিডি/সিলেট/১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/কামাল/উজ্জল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়