ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

রূপপুরে পরিবেশের নিরাপত্তায় বিশাল কর্মযজ্ঞ

শাহীন রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:২১, ১৯ আগস্ট ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রূপপুরে পরিবেশের নিরাপত্তায় বিশাল কর্মযজ্ঞ

পাবনা প্রতিনিধি: দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ স্থাপনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবেশের নিরাপত্তায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘কোর ক্যাচার’ স্থাপনে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে।

‘কোর ক্যাচার’ বা ‘মেল্ট ট্র্যাপ’ নামের এই বিশাল ডিভাইসটি রিয়্যাক্টর ভবনের তলদেশে স্থাপিত হচ্ছে। যা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

জনগণ ও পরিবেশের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে শনিবার ব্যয়বহুল ডিভাইসটি স্থাপনের কাজ শুরু হয়।

এ সময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ শওকত আকবর এবং রূপপুর প্রকল্পের জেনারেল কন্ট্রাক্টর এটমস্ত্রয় এক্সপোর্ট (এএসই) এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, ওভারসিজ প্রজেক্টস আলেস্কান্দার খাজিনসহ বিভিন্ন উর্ধতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আলেস্কান্দার খাজিন বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তায় এটি একটি অনন্য ব্যবস্থা এবং প্রায় ২০০ টন ওজনের এমন একটি বড় আকারের ডিভাইস আমরা প্রথমবারের মতো প্রকল্পের ১নং ইউনিটের রিয়্যাক্টর ভবনে স্থাপন করছি। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এটি স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হবে।’

তিনি আরো জানান, ইউনিট-১ এর নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সিডিউল অনুযায়ী এগিয়ে চলছে। বর্তমানে প্রকল্পটিতে প্রায় ৪ হাজার লোক কর্মরত রয়েছেন এবং প্রতিদিন ৫ হাজার টনের অধিক সিমেন্ট নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।

কোর ক্যাচার সর্বপ্রথম স্থাপিত হয় রুশ নকশায় নির্মিত চীনের তিয়ানওয়ান পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে। কোর ক্যাচার আধুনিক পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নিষ্ক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি অংশ। রূপপুরে স্থাপিত হবে আধুনিক ৩+ প্রজন্মের পারমাণবিক রিয়্যাক্টর ভিভিইআর-১২০০। রিয়্যাক্টরটিতে রয়েছে সক্রিয় ও নিষ্ক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার অনন্য সমন্বয়, যার ফলে এটি যেকোন অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বিপর্যয় থেকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দেবে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতিটি ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দু’টি ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হবে।

২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত চুক্তির অধীনে রসাটমের প্রকৌশল শাখা- এএসই প্রকল্পের জেনারেল কন্ট্রাক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপ কঠোরভাবে মনিটরিং করছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (বায়েরা)।

২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের মাধ্যমে রূপপুর প্রকল্পের ১নং ইউনিটের মূল পর্বের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের ১৪ জুলাই ২নং ইউনিটেরও প্রথম কংক্রিট ঢালাই অনুষ্ঠিত হয়।



রাইজিংবিডি/পাবনা/১৯ আগস্ট ২০১৮/শাহীন রহমান/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ