ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

রোববারও ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৭, ২৫ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রোববারও ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন কিংবা নিজেই বড় কোনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তাই সময় করতে পারছিলেন না। তারা আজ রোববার রাজধানী ছাড়ছেন। আবার এমনও অনেকে আছেন যারা দ্বিধায় ছিলেন ঈদ কোথায় করবেন, তারাও আজ বাড়ির পানে ছুটছেন।

রোববার দুপুরে মানিকনগর, টিটিপাড়া ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে বাড়ি ফেরা কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে এমন বিষয় পাওয়া গেছে। এসব এলাকার বাস টার্মিনাল ও বাস কাউন্টারগুলো থেকে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষেরা বাড়ি ফিরছেন।

কয়েকটি কাউন্টারে কথা বলে জানা গেছে, আজ বাড়িফেরা অধিকাংশ যাত্রীই এসে টিকিট কেটে গাড়িতে উঠছেন। অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছিল গতকাল শনিবার পর্যন্ত। রোববারেরও অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে, তবে তা খুব বেশি নয়। তবে বাড়িফেরা মানুষের সংখ্যা কিন্তু কম নয়।

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে দেখা গেছে, বাড়িফেরা মানুষের মোটামুটি ঢল। তবে তা আগের তিন দিনের থেকে কিছুটা কম বলে মন্তব্য করেছেন যাত্রীসেবা পরিবহনে কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল, শুক্রবার সারাদিন এবং গতকাল শনিবার সকালে যাত্রীদের চাপ বেশি ছিল। আজও যাত্রীরা ফিরছে, তবে চাপ একটু কম।

একই ধরনের কথা বলছেন, এনা পরিবহন, শ্যামলী, হানিফ পরিবহন, স্টার লাইন, ড্রিম লাইন পরিবহনের কর্মকর্তারা। একই চিত্র রাজধানীর গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনালের।

এনা পরিবহনের কাউন্টারে বাড়ি ফেরার জন্য অপেক্ষারত যাত্রী আমজাদ হোসেন বলেন, পোশাক কারখানায় কাজ করি আমি। আজই ছুটি পেয়েছি। তাই পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ কাটাতে মীরসরাইয়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারব বলে অনেক ভালো লাগছে।

এদিকে পরিবহনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পথে যানবাহনের বাড়তি চাপ থাকলেও যানজটের ভোগান্তি নেই। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কিছু পয়েন্টে ছোটখাটো যানজট রয়েছে। তবে তা খুব বেশি নয়। সব মিলিয়ে এবার বিড়ম্বনা ছাড়াই ঈদযাত্রা হচ্ছে।

এদিকে, কমলাপুর রেল স্টেশনে আজও ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সকাল থেকে দেখা গেছে, কমলাপুর রেলস্টেশনে মানুষের ভিড় বেশি। অধিকাংশ যাত্রীই যাচ্ছেন টিকিট কেটে দাঁড়িয়ে। এর বাইরে টিকিট প্রত্যাশী যাত্রীরাও ভিড় করেছেন কমলাপুর রেলস্টেশনে।

কাউন্টার ও অনুসন্ধান কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অধিকাংশ রুটের ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। তবে দুটি ট্রেন ছেড়েছে দেরিতে। এর মধ্যে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ভোর ৬টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও তা ৭টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে গেছে।

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ধূমকেতু, ঢাকা-খুলনা রুটের সুন্দরবন, ঢাকা-সিলেটের পারাবত, ঢাকা-চট্টগ্রামের সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে যথাসময়ে। তবে ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটের তিস্তা একপ্রেস আধা ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে যায়। নীলসাগর, এগারো সিন্ধুর, প্রভাতী এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেসও ছেড়েছে দেরিতে। নির্ধারিত সময়েই ছেড়ে গেছে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস। ঈশা খান, জয়ন্তীকা, রাজশাহী এক্সপ্রেস, চট্টলা, কুমিল্লা এক্সপ্রেস, জয়দেবপুর কমিউটার ও মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের যাত্রীরা ভিড় করেছেন কমলাপুর রেলস্টেশনে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষও ভিড় জমিয়েছে সদরঘাটে। যে যার মতো বাড়ি যেতে উঠছেন লঞ্চে। ঈদের আগে ভালোভাবে বাড়ি পৌঁছানোই লক্ষ্য। আর পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়া।

এদিকে সন্ধ্যায় বৈঠক করতে যাচ্ছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। দেশের আকাশে চাঁদ দেখা কিংবা না-দেখা সাপেক্ষে ঈদের তারিখ ঘোষণা আসবে বৈঠক থেকে। বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে (বাদ মাগরিব) এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। সভায় ১৪৩৮ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে ঈদুল ফিতর পালনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

তবে সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ জুন ২০১৭/হাসান/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়