লক্ষ্মীপুরের এক ওসি ও ইউপি চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টে তলব
নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুরে মাটি কাটার এক শ্রমিককে গ্রাম্য শালিসে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত ও নাকে খত দিতে বাধ্য করার ঘটনায় চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি ও ওই থানার দত্তপাড়া ইউপি চেয়ারম্যানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ৩ জুলাই তাদের সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া আদালত নির্যাতিত নুরুল আমিনের পরিবারটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপারকে (এসপি) নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার এ বিষয়ে করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তাছেব হোসাইন জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন।
গত ১৮ জুন একটি জাতীয় দৈনিকে 'এ কেমন বিচার!' শিরোনামে এক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিট করা হয়।
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আহসানুল কবির রিপন ২য় রমজান গ্রাম্য শালিসে শ্রমিক নুরুল আমিনকে বাড়ি থেকে ধরে এনে প্রকাশ্যে নাকে খত দিতে বাধ্য করেন। এ সময় তার (চেয়ারম্যান) নির্দেশে গ্রামপুলিশ জাহাঙ্গীর আলম ওই শ্রমিককে ১০ থেকে ১১টি বেত্রাঘাত করে। অভিযোগকারী শহীদ ও তার স্ত্রীর পায়ে ধরে দুই দফায় ক্ষমা চেয়েও রক্ষা পাননি তিনি। শহিদ নামে আরেক মাটি কাটা শ্রমিকের সঙ্গে বিবাদকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করলে তিনি ইউনিয়নের বড় আউলিয়া গ্রামে শালিসের আয়োজন করেন। সেখানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বুলবুল ইসলাম খান, নির্যাতিত নুরুল আমিনের স্ত্রী-সন্তানসহ শতাধিক গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ জুন ২০১৭/মেহেদী/মুশফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন