ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

শহীদ ময়েজউদ্দিনের ৩৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ

রফিক সরকার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:২৬, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শহীদ ময়েজউদ্দিনের ৩৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) সংবাদদাতা: আজ ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও রাজনীতিক শহীদ ময়েজউদ্দিন আহমেদের ৩৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী।

১৯৮৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সারাদেশে ২২ দল আহুত হরতালের আহ্বান করে। ওইদিন গাজীপুরের কালীগঞ্জে গণতন্ত্র প্র্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মিছিলে ময়েজউদ্দিন আহমেদ নেতৃত্ব দেন। এ সময় কালীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এলাকায় কতিপয় সন্ত্রাসী তার ওপর হামলা চালালে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

প্রয়াত এই জননেতার ৩৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে শহীদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ আজ  কালীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে শহীদ  ময়েজ উদ্দীন স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ও কালীগঞ্জ পৌর এলাকার শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতু সংলগ্ন দেওপাড়া গ্রামে মেহের আফরোজ চুমকি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দোয়া মিলাদ মাহফিল ও দরিদ্র ভোজ। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলার সকল ইউনিয়ন এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে দোয়া মাহফিল ও দরিদ্র ভোজের আয়োজন করা হয়েছে।

শহীদ ময়েজউদ্দিন আহমেদ ১৯৩০ সালে ১৭ মার্চ কালীগঞ্জ উপজেলার বড়হরা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছুরত আলী, মাতার নাম শহরবানু। তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপির পিতা। তিনি ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পরিচালনার জন্য গঠিত ‘মুজিব তহবিল’এর আহ্বায়ক ছিলেন। একজন বিচক্ষণ আইনজীবী ও রাজনীতিক হিসেবে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে তিনি সেই ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেন। ময়েজউদ্দিন আহমেদ উল্লেখযোগ্য সময় ধরে বৃহত্তর ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ এবং ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে গাজীপুর-কালীগঞ্জ নির্বাচনী এলাকা থেকে যথাক্রমে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কাজে জড়িত ছিলেন। ১৯৭৭ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ রেডক্রস (বর্তমানে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট) সোসাইটির নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। একাধারে বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি (এফপিএবি)’র মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে গৌরবময় ভূমিকা পালন করায় বাংলাদেশ সরকার তাকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘স্বাধীনতা পদক’ এ ভূষিত করে।

 

 


রাইজিংবিডি/কালীগঞ্জ (গাজীপুর)/২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ /রফিক সরকার/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়