ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শাহীদ হত্যায় খালাস পেলেন চাচাতো ভাই

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:২৭, ২৪ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শাহীদ হত্যায় খালাস পেলেন চাচাতো ভাই

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর সূত্রাপুর থানাধীন জাস্টিস লালমোহন দাস লেনে শেখ মনির হোসেন শাহীদ হত্যা মামলায় চাচাতো ভাই শেখ ওয়াহিদ হোসেন বাদ্দুকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক সাঈদ আহমেদ বাদ্দুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ আদেশ দেন।

রায় প্রদানকালে বিচারক বলেন, হত্যাকাণ্ড ঘটলেও রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়। এজন্য তাকে খালাসের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী শেখ শামসুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘কী নৃশংসভাবে একজনকে মেরে ফেলল। আর সে খালাস পেল। তাকে দশবারও যদি ফাঁসি দেওয়া হয়, তাও কম হবে। রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানান।’

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভিকটিম শেখ মনির হোসেন শাহীদ এবং আসামি শেখ ওয়াহিদ হোসেন বাদ্দু সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই। শাহীদ তার বাবার শেখ জাহিদ হোসেনের প্রথম সংসারের একমাত্র সন্তান। শাহীদের মায়ের মৃত্যুর পর তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে পাকিস্তানে চলে যান। সেখানেই স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি। শেখ জাহিদের দ্বিতীয় সংসারের মেয়ে মেরীকে ২০০৫ সালে পাকিস্তানে গিয়ে বিয়ে করে তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসে বাদ্দু।

বাদ্দু পিতা শেখ জহির উদ্দিনের অবাধ্য হওয়ায় পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া আড়াই কাঠা জমি তিনি তার ছেলেকে না দিয়ে মেয়ে নাসিমাকে দিয়ে যান। বাদ্দু পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ায় তার শ্বশুরের আড়াই কাঠা জমি গ্রাস করতে শাহীদের সঙ্গে শত্রুতা সৃষ্টি হয়। এরই সূত্র ধরে ২০১৫ সালের ২৫ মে রাতে শাহীদকে নিজ কক্ষে ধারালো ছোঁড়া দিয়ে আঘাত ও গলা কেটে খুন করে পালিয়ে যায় বাদ্দু। ওই ঘটনায় শাহীদের চাচা শেখ শামসুদ্দিন বাদী হয়ে সূত্রাপুর থানায় বাদ্দুকে একমাত্র আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত করে সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক আকরাম হোসেন ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওই বছরের ৩০ অক্টোবর আদালত বাদ্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন মাহবুবুর রহমান। তাকে সহযোগিতা করেন কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, আব্দুর রঊফ, মেহেদী হাসান। আর আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নুরুল আলম খোকন ও আজিমুদ্দিন।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ জুলাই ২০১৭/মামুন খান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়