ঢাকা     বুধবার   ০৮ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

শিক্ষকের কারণে পরীক্ষা দিতে পারেনি মাদ্রাসা ছাত্রী

ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৯, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিক্ষকের কারণে পরীক্ষা দিতে পারেনি মাদ্রাসা ছাত্রী

ভোলা সংবাদদাতা: শিক্ষকের কারণে এবারের দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে ভোলার এক মাদ্রাসা ছাত্রী।

ভোলার বোরহানউদ্দিন দেউলা শিবপুর দারুল আমান ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে এবারের দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল তার। পরীক্ষার প্রবেশপত্র আনতে গিয়ে সে জানতে পারে তার ফরমই পূরণ হয়নি।

ঘটনায় ওই মাদ্রাসার সুপার ও শিক্ষক একে অপরকে দায়ী করছেন।

শিক্ষার্থী এছমেতারা বেগমের মা নুরজাহান বলেন, ‘আমার মেয়ের দাখিল পরীক্ষার ফরম ফিলাপের জন্য মাদ্রাসার সুপার পিয়নকে আমাদের বাড়ীতে পাঠায়। ফরম ফিলাপের জন্য ৫ হাজার টাকা দিতে বলে। আমি ৩ হাজার টাকা সংগ্রহ করে পরদিন মাদ্রাসায় যাই। সুপারকে না পেয়ে সহকারী শিক্ষক (বিপিএড) মো: আবুল হোসেন তুহিনের কাছে টাকা জমা দেই। মেয়ে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়। গত বৃহস্পতিবার মেয়ে প্রবেশপত্রের জন্য মাদ্রাসার নির্ধারিত ৭০০ টাকা নিয়ে প্রবেশপত্র চাইলে সুপার জানান আমার মেয়ের নাকি ফরম পূরণ হয়নি। এতে আমার মেয়ে কান্না করতে করতে বাড়িতে আসে। আমার মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। পরে আমি সহকারী শিক্ষক আবুল হোসেন তুহিন কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি রাতে বাড়িতে এসে কথা বলবেন বলে জানান। আমার মেয়েটি পরীক্ষা দিতে পারবে না জানতে পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে দু:চিন্তায় রয়েছি।’

এ ব্যাপারে শিক্ষক আবুল হোসেন তুহিন বলেন, ‘সহকারী শিক্ষক আকতার হোসেনের কাছে এ ছাত্রীর ফরম পূরণ বাবদ ৩ হাজার টাকা রেখে সুপারকে অবহিত করে আমি ট্রেনিংয়ে চলে যাই।’

এদিকে এ ব্যাপারে সুপার মাওলানা মো: ইদ্রিস জানান, এ ছাত্রীর ফরম পূরণ বাবদ সহকারী শিক্ষক আবুল হোসেন তুহিন কোন টাকাই জমা দেয়নি।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ ভোলা/২ জানুয়ারি ২০১৯/ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়