ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শিক্ষা অফিসার পেটালেন প্রধান শিক্ষককে!

রফিক সরকার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:২৯, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিক্ষা অফিসার পেটালেন প্রধান শিক্ষককে!

আহত প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) সংবাদদাতা : গাজীপুরের কালীগঞ্জে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. শামীম আহমেদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই প্রধান শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে এবং ওই শিক্ষা অফিসারের বিচারের দাবিতে ব্রাহ্মণগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক ও শিক্ষকরা বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।

অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, গত মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শামীম আহমেদ স্কুল চলাকালীন বালীগাঁও মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. কাউছার মিয়ার ক্লাস বন্ধ করে তাকে সঙ্গে নিয়ে ব্রাহ্মণগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যান। সেখানে তিনি প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বিভিন্ন তথ্য দিতে বলেন। কিন্তু তথ্য দিতে দেরি হওয়ায় শিক্ষা অফিসার রেগে গিয়ে টেবিলে থাকা স্ট্যাপলার দিয়ে প্রধান শিক্ষকের মাথায় আঘাত করেন। এতে প্রধান শিক্ষকের মাথা ফেঁটে যায় এবং রক্ত ঝরে পড়ে। এ অবস্থায় শিক্ষা অফিসার দ্রুত স্কুল এলাকা ত্যাগ করেন। পরে স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষককে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামীম আহমেদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ব্রাহ্মণগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে কোন শিক্ষার্থী পাওয়া যায়নি। ছুটির আগেই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী না থাকার বিষয়ে তিন দিনের মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শানোর কথা বলা হলে প্রধান শিক্ষক আমার উপর চড়াও হন।’

                                 প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শামীম আহমেদ


স্কুল চলার সময় বালীগাঁও মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষককে নিয়ে ব্রাহ্মণগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি নতুন, ওই স্কুলটা চিনিনা। অফিসের সহকারী শিক্ষা অফিসাররা কেউ ছিলেন না বিধায় বালীগাঁও মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. কাউছার মিয়াকে সাথে নিয়েছিলাম।’

বালীগাঁও মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. কাউছার মিয়া বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমাকে আদেশ করলে সে আদেশ তো আমাকে মানতেই হবে।’  

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগের কপি পেয়েছি। সেটি ডিসি স্যারের কাছে পাঠানো হয়েছে।’



রাইজিংবিডি/কালীগঞ্জ (গাজীপুর)/৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/রফিক সরকার/টিপু/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়