ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শিক্ষা বিস্তারে ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি হয়েছে : পলক

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিক্ষা বিস্তারে ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি হয়েছে : পলক

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, মাঠ পর্যায়ে আধুনিক পদ্ধতিতে শিক্ষা বিস্তারে তৈরি করা হয়েছে ডিজিটাল শিক্ষা কনটেন্ট।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তক অনুসরণে প্রস্তুতকৃত ইন্টারঅ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল কনটেন্টের কার্যকর ব্যবহারে করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শহর এবং গ্রামাঞ্চলের মধ্যে প্রযুক্তিতে যেন বৈষম্য না হয়, এজন্য সমান গুরুত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে এ ডিজিটাল শিক্ষা কনটেন্ট। এর বিশেষ দিক হলো- এটি শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক সবাই ব্যবহার করতে পারবেন। এর ফলে শৈশব থেকেই শিশুদের উদ্ভাবনী ক্ষমতার ব্যাপক উৎকর্ষ হবে। আর আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হলো- ডিজিটাল শিক্ষা কনটেন্টকে নিয়মিত আপডেট ও পরিমার্জন করা।

জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, এখন পর্যন্ত ২২ লাখ ৫০ হাজার কনটেন্ট ডাউনলোড করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা শিশু শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রযুক্তিতে আরো সমৃদ্ধ করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। আইসিটি ল্যাবের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলছি।

তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে ১৩ হাজার স্কুলে ডিভাইস দেওয়া হয়েছে। তবে এ ডিজিটাল শিক্ষা কনটেন্টের আওতায় সবাইকে আনতে হলে ৬৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিভাইসগুলো পৌঁছাতে হবে এবং এর সঙ্গে সঙ্গে স্কুলগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করাসহ ব্রডব্যান্ড কানেকশনও নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমানে আমদের ৮ হাজার স্কুলে ডিজিটাল ক্লাসরুম আছে। আমরা দৃঢ় আশাবাদী যে, ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়ন হবে।

এ ছাড়া শিক্ষা কার্যক্রমে বিশেষ (প্রতিবন্ধী) শিশুদের জন্য মোবাইল অ্যাপস তৈরি করা হচ্ছে। কারণ, এসব বিশেষ শিশু শিক্ষার্থীর উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে আমাদেরই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, যেসব বিদ্যালয়ে তথ্য প্রযুক্তির সুবিধা আছে সেসব বিদ্যালয়ে ভালো পড়াশোনা হচ্ছে। আর যেসব বিদ্যালয়ে নেই তারা পিছিয়ে আছে।

এ সময় প্রত্যেক বিদ্যালয়ে কনটেন্ট ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা।

সভাপতির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার বলেন, আগামীতে বইয়ের পরিবর্তে কনটেন্ট দেওয়া হবে। শিশু শিক্ষার্থীদের আর বই কাঁধে নিয়ে যেতে হবে না, এমন দিন আসতে খুব বেশি দেরি নেই। আমরা তথ্য প্রযুক্তিতে নিজেদের মেধা, বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে আরো এগিয়ে যেতে চাই।

ডিজিটাল শিক্ষা কনটেন্টের প্রাক্তন প্রকল্প পরিচালক মো. আকতার হোসেন বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের (প্রথম-পঞ্চম শ্রেণি) আলোকে ইন্টারঅ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল শিক্ষা কনটেন্ট তৈরি করা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকের ধারণাসহ আরো আকর্ষণীয় ও সহজবোধ্য করতে দেশের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ছবি, চার্ট, ডায়াগ্রাম, অডিও, ভিডিওসহ মাল্টিমিডিয়া উপকরণসমূহ সংযোজন করে অ্যনিমেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক, প্রশিক্ষক, এডুকেশন সেক্টর বিশেষজ্ঞ, চাইল্ড সাইকোলজিস্ট কালার, প্রোগ্রামিং ও অ্যানিমেশন বিশেষজ্ঞদের সরাসরি অংশগ্রহণ ও মতামতের ভিত্তিতে প্রতিটি অধ্যায়ের কাঙ্ক্ষিত শিখনফলের আলোকে এই ডিজিটাল শিক্ষা কনটেন্ট প্রস্তুত করা হয়েছে।

কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) ড. তরুণ কান্তি শিকদার, সেভ দ্য চিলড্রেনের উপদেষ্টা (শিক্ষা) মো. হাবিবুর রহমান, ব্র্যাক পরিচালক (শিক্ষা) কে এম মোরশেদ প্রমুখ।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/নাসির/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়