‘শিক্ষিকাকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেন ব্যাংক কর্মকর্তা’
মো. মনিরুল ইসলাম টিটো || রাইজিংবিডি.কম
ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরে বহুল আলোচিত কলেজ শিক্ষিকা ও ব্যাংকার হত্যা মামলার চূডান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুক হাসান (৩৩) তার প্রেমিকা কলেজ শিক্ষিকা সাজিয়া বেগমকে (৩৪) প্রথমে হত্যা করে পরে নিজে কক্ষের ফ্যানের সাথে নাইলনের দড়ি গলায় ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।’
গত বছরের ৬ মে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলী মহল্লার নূরুল ইসলামের দোতলা বাড়ির নিচ তলার একটি কক্ষ থেকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় সাজিয়ার লাশ এবং সিলিং ফ্যানের হুকের সাথে গলায় নাইলনের রশি বাঁধা ফারুকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই বছরের ৭ মে রাতে নিহত সাজিয়ার ফুপু আফসারী আহমেদ বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি ডিবি-ফরিদপুর) বিপুল চন্দ্র দে জানান, আলোচিত এ হত্যার ঘটনায় ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কলেজ শিক্ষিকা সাজিয়া বেগমকে হত্যা ও ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুক হাসানের আত্মহত্যা সম্পর্কিত মৃত্যু বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া, মামলার আসামি সাদিয়ার স্বামী শহীদুল ইসলামকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আদালতে সুপারিশ করা হয়েছে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ফরিদপুরের এক নম্বর আমলি আদালতে বিচারিক হাকিম অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক মাসুদ আলীর আদালতে এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার জমা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, নিহত কলেজ শিক্ষিকা সাজিয়া বেগম ফরিদপুর সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি (সাজিয়া) ঢাকার সূত্রাপুর থানার বানিয়ানগর মহল্লার শেখ শাজাহানের মেয়ে এবং একই এলাকার শেখ শহীদুল ইসলামের স্ত্রী। সাজিয়া ১১ বছর ও সাড়ে ৪ বছর বয়সি দুই ছেলের মা ছিলেন। আর ফারুক হাসান সোনালী ব্যাংক ঢাকার মতিঝিল শাখার প্রিন্সিপাল কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মৃত্যুর ঘটনার কয়েক দিন আগে ওই ব্যাংক কর্মকর্তা নিজের পরিচয় গোপন করে ফরিদপুরে সাজিয়ার ভাড়া বাসার পাশের ফ্লাটটি ভাড়া নেন।
রাইজিংবিডি/ফরিদপুর/২৫ জানুয়ারি ২০১৯/মো. মনিরুল ইসলাম টিটো/সাইফুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন