শিল্প মেলায় প্রথম পুরস্কার ওয়ালটনের
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত জাতীয় শিল্প মেলা-২০১৯ এর হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার অর্জন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রথম জাতীয় শিল্প মেলা-২০১৯ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এ পুরষ্কার তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।
ওয়ালটন গ্রুপের পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক আলমগীর আলম সরকার।
এ সময় ওয়ালটন গ্রুপের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী পরিচালক (পলিসি, এইচআরএম অ্যান্ড অ্যাডমিন) এস এম জাহিদ হাসান ও নির্বাহী পরিচালক হুমায়ুন কবির এবং ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শরীফ হারুনুর রশিদ ছনি।
শিল্পসচিব আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী প্রমুখ।
এবার মোট আট ক্যাটাগরিতে ২৪ জন বেসরকারি উদ্যোক্তাকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। ক্যাটাগরিগুলো হলো- বৃহৎ শিল্প, মাঝারি শিল্প, ক্ষুদ্র শিল্প, মাইক্রো শিল্প, হস্ত ও কারু শিল্প, কুটির শিল্প, হাইটেক শিল্প, ব্রয়লার শিল্প।
পুরস্কার প্রদান শেষে নূরুল মজিদ তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি এক সময় কৃষি নির্ভর ছিল। বর্তমানে এটি শিল্পনির্ভর অর্থনীতিতে রুপান্তর ঘটেছে। জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ইতোমধ্যে ৩৩ দশমিক ৭১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। আশা করি ২০২১ সালের মধ্যেই জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৪০ শতাংশে পৌঁছাবে। উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণ ও নারী উদ্যোক্তাদের জামানতবিহীন ঋণ প্রদান, উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, পণ্য বৈচিত্র্যময়, বাজার লিংকেজ স্থাপন, প্রকল্প গ্রহণে সহায়তা প্রদান, ডিজাইন ও নকশা উন্নয়নসহ বিভিন্ন নীতি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘দেশে শিল্প ঋণের সুদের হার তুলনামূলক বেশি বলে এসএমই উদ্যোক্তারা অভিযোগ করেছেন। এর প্রতিকারে সরকার কঠোর অবস্থান ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাংক ঋণের হার নিয়ে খোলামেলা বক্তব্য দিয়েছেন এবং সরকারের অবস্থান পরিষ্কার। যেসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সুদের হার এক অংকে নামিয়ে আনেনি, তাদের তিনি ক্লিয়ার মেসেজ দিয়েছেন। আশা করছি আপনাদের অর্থায়ন সংক্রান্ত সমস্যা কেটে যাবে।’
মেলায় সারা দেশ থেকে বৃহৎ, মাঝারি, ক্ষুদ্র, মাইক্রো, কুটির, হস্ত ও কারু এবং হাইটেক ক্যাটাগরিতে ২৩৫ জন উদ্যোক্তা ৩২৪টি স্টলে অংশ নিয়েছেন।
উদ্যোক্তাদের মধ্যে ১১৬ নারী এবং ১০৭ জন পুরুষ রয়েছেন। অর্থাৎ মেলায় ৫২ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করছেন।
কোনো বিদেশি পণ্য এ মেলায় প্রদর্শন কিংবা বিক্রয় করা হয়নি। ৩১ মার্চ শুরু হওয়া এ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাত দিনব্যাপী এ মেলা দুদিন বাড়িয়ে শেষ হবে ৮ এপ্রিল। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলায় কোনো প্রবেশমূল্য নেই।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ এপ্রিল ২০১৯/নাসির/সাইফুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন