ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শুক্রবার বিশ্ব ইজতেমা শুরু, মুখরিত তুরাগ তীর

হাসমত আলী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫১, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শুক্রবার বিশ্ব ইজতেমা শুরু, মুখরিত তুরাগ তীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : টঙ্গীর তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে তাবলিগ জামাতের চার দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা।

এবার ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীগণ। ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে তাদের আখেরি মোনাজাত। পরে ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন সা’দপন্থি মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলামের অনুসারীগণ। ১৮ ফেব্রুয়ারি তাদের আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমা কার্যক্রম।



দেশ-বিদেশের মুসল্লিরা গত বুধবার থেকেই ইজতেমার ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন স্থান থেকে মুসুল্লিরা জামাতবদ্ধ হয়ে ময়দানে এসে খিত্তায় খিত্তায় অবস্থান নিচ্ছেন। মুসল্লিদের ইজতেমা ময়দানে আসা অব্যাহত রয়েছে। মুসল্লিরা বাস-ট্রাক, কার-পিক আপসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে দলে দলে ইজতেমাস্থলে আসছেন। পরে গাড়ি থেকে নেমে তারা কাঁধে-পিঠে প্রয়োজনীয় মালামালের গাইট (গাট্টি) ও ব্যাগ নিয়ে মাঠের নির্ধারিত স্থানে অবস্থান নিচ্ছেন। মুসুল্লিদের পদচারণায় টঙ্গীর তুরাগ তীরের ইজতেমাস্থল এখন মুখরিত হয়ে উঠেছে।

তাবলিগ জামাতের উদ্যোগে প্রতি বছর টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে এ বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। ১৬০ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ইজতেমা ময়দানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশর তাবলিগ জামাতের অনুসারী ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নেন। তারা এখানে তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি/আলেমদের বয়ান শুনেন এবং ইসলামের দাওয়াতি কাজ বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়ার জন্য জামাতবদ্ধ হয়ে এখান থেকেই দ্বীনের দাওয়াতি কাজে বেরিয়ে যান।

বরাবরের মতো ইজতেমা মাঠের পশ্চিম-উত্তর কোণে গড়ে তোলা হয়েছে বিদেশি মেহমানদের (মুসল্লি) আবাসন ব্যবস্থা। ময়দানের বাকি অংশে অবস্থান নিচ্ছেন/নেবেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মুসল্লিরা। ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের তুরাগ নদী পারাপারের সুবিধার জন্য ময়দান এলাকায় তুরাগ নদীর সাতটি স্থানে পন্টুন ব্রিজ (ভাসমান সেতু) স্থাপন করা হয়েছে।



ঢাকার লাগবাগ থেকে ইজতেমায় এসেছেন মো. সেলিম মিয়া। তিনি বুধবার দিবাগত রাত ৩টার ইজতেমা মাঠে পৌঁছান বলে জানান। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি দ্বীনের কথা শুনতে, আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য। দ্বীনের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।’

বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ইজতেমা মাঠে পৌঁছান ঢাকার মিরপুরের রায়হান। তিনি জানান, ৪৫ জনের জামাতের সঙ্গে তিনি এসেছেন। তিনি বলেন, ‘ইজতেমায় আসার উদ্দেশ্য ধর্মীয় কাজ করে গুনাহ মাফ এবং আল্লাহ ও রাসুলকে রাজি-খুশি করা।’

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান জানান, নিরাপত্তায় নিয়োজিত সদস্যরা সকাল থেকেই কর্তব্যরত আছেন। পোশাকে এবং সাদা পোশাকে আগের তুলনায় অনেক বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়ে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। একইসাথে ওয়াচ টাওয়ার এবং সিসি ক্যামেরা দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ময়দানের প্রতিটি জায়গা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। ময়দানের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা অত্যন্ত ভালো এবং পর্যাপ্ত নেওয়া হয়েছে।’



তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো থ্রেট নেই। তারপরও আমরা যাবতীয় জিনিস বিবেচনায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি।’




রাইজিংবিডি/গাজীপুর/১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/হাসমত আলী/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়