ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শুল্ক ফাঁকিতে আপন জুয়েলার্সের গাড়ি জব্দ

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৫, ২৩ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শুল্ক ফাঁকিতে আপন জুয়েলার্সের গাড়ি জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক : শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে এবার আপন জুয়েলার্সের মালিকের একটি মার্সিডিজ গাড়ি জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার সিলেটের জিন্দাবাজারের বাসা থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানিয়েছেন।

রেইনট্রি হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ মো. আদনান হারুনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আপন জুয়েলার্সের মালিকের অস্বচ্ছ অর্থের উৎসের সন্ধান করতে গিয়ে প্রথমে শুল্ক ফাঁকি ধরা পড়ে। এরপর দেখা যায় গাড়িটির ম্যানুফ্যাকচার ২০১১ সালের কিন্তু ২০০২ সালের দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা। তাই গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে।

এর আগে সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত বিভাগের সদর দপ্তরে হাজির হন রেইনট্রি হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ মো. আদনান হারুন। অবৈধভাবে মদ রাখা ও শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে তাকে তলব করে সংস্থাটি।

এর আগে গত ১৪ ও ১৫ মে শুল্ক গোয়েন্দা আপন জুয়েলার্সের গুলশানের দুটি শাখায়, উত্তরা, মৌচাক ও সীমান্ত স্কয়ারের শাখায় অভিযান পরিচালনা করে সাড়ে ১৩ মন স্বর্ণালংকার ও ৪২৭ গ্রাম ডায়মন্ড ব্যাখ্যাহীনভাবে মজুদ থাকার দায়ে সাময়িকভাবে আটক করা হয়। এই মূল্যবান সামগ্রী সরবরাহের বিষয়ে কোনো ধরনের বৈধ দলিলাদি আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ দেখাতে না পারায় এবং আমদানি ও ক্রয়ের উৎস সন্দেহজনক হওয়ায় ওগুলো সাময়িকভাবে জব্দ করা হয়।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সিলেটের জিন্দাবাজারের একটি ভবনের বেইসমেন্ট থেকে শুল্ক গোয়েন্দারা সাদা কাপড়ে ঢাকা অবস্থায় শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি করেছে।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, চেসিস নম্বর অনুযায়ী গাড়িটির তৈরির সন ২০০২। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন কাগজপত্রে এই সন উল্লেখ আছে ২০১১। গাড়িটির আনুমানিক মূল্য এক কোটি ৫০ লাখ টাকা।

প্রসঙ্গত, বিদ্যমান আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী, ৫ বছরের পুরনো গাড়ি আমদানি নিষিদ্ধ।

২০১১ সালের ২৫ মে চট্টগ্রাম বন্দর হতে খালাসকৃত ৭টি গাড়িতে মোট ৯৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। আটক গাড়িটি ঐ ৭টির একটি। গাড়িটিতে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। এই গাড়িতে জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

গাড়িতে প্রাপ্ত দলিলাদি পর্যালোচনায় আরো দেখা যায়, গাড়িটির রেজিষ্ট্রেশন নম্বর: ঢাকা-মেট্রো ৩১-৮৮৫৬।

গাড়িটির মালিক আপন জুয়েলার্স এর সত্ত্বাধিকারী দিলদার আহমেদ। গাড়িটি বেশকিছু দিন ধরে উক্ত কমপ্লেক্স এর বেইসমেন্টে ফেলে রাখা ছিল। তার ছেলে সাফাত আহমেদ ঢাকা থেকে এই গাড়িটি এনে সিলেটের উক্ত কমপ্লেক্সে লুকিয়ে রেখেছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ মে ২০১৭/এম এ রহমান/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়