ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

শেবাচিম হাসপাতালের কর্মচারীরা ১ জুলাই থেকে আমরণ অনশনে যাচ্ছে

জে.খান স্বপন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০১, ২৫ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শেবাচিম হাসপাতালের কর্মচারীরা ১ জুলাই থেকে আমরণ অনশনে যাচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: উচ্চ আদালত, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় ও অধিদপ্তরের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বেতন-ভাতা না পাওয়ায় ১ জুলাই থেকে আমরণ অনশনে যাচ্ছেন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।

সোমবার পূর্ব নির্ধারিত এক ঘন্টা কর্ম বিরতি, বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচী পালন শেষে এই ঘোষণা দেন হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ। এই কর্মসূচীর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সরকারি চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, বরিশাল জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।

এ সময় কর্মচারীরা হাসপাতাল পরিচালককে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত ২১২ কর্মচারীকে বেতন-ভাতা প্রদানের আল্টিমেটাম দিয়েছেন।

এর আগে বেলা ১১ টায় শেবাচিম হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ে সভাপতি মো. মোদাচ্ছের কবিরের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশ বক্তারা জানান, ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর শেবাচিম  হাসপাতালের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির বিভিন্ন পদে ২১৫ জন কর্মচারী যোগদান করেন। ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্মচারীদের কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ প্রদান করলে কর্মচারীরা উচ্চ আদালতে রিট করেন।

ওই বছরের ২২ আগস্ট উচ্চ আদালত কর্মচারীদের পক্ষে রায় প্রদান করলে ওই রায়ের বিরুদ্ধে সরকার সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে। আদালত ওই আপিলটি খারিজ করে দেয়।

চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অধিদপ্তরের ডিজি ওই রায় বাস্তবায়নের জন্য পরিচালককে নির্দেশ দেন । আদেশ পেয়ে পরিচালক ২৪ ফেব্রুয়ারি কর্মচারীদের বিভিন্ন দপ্তরে কার্যাদেশ প্রদান করেন। পরবর্তিতে পরিচালককে গত ৪ এপ্রিল ওই কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি।

কিন্তু রহস্যজনক কারণে পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বেতন-ভাতা প্রদান করছেন না। কাজে যোগদানের পরও বেতন ভাতা বন্ধ থাকায় ওইসব কর্মচারী পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।

শেবাচিম হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাহেব আলী হাওলাদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে সাড়ে ১১টায় হাসপাতালের নতুন ও পুরাতন কর্মচারীরা পরিচালকের কার্যলয়ের সামনে অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে।

এ সময় পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন কর্মচারীদের দাবির  সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধের আশ্বাস দেন।

অবস্থান বিক্ষোভ শেষে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা ৩০ জুনের মধ্যে পরিচালকের আশ্বাস বাস্তবায়ন না হলে ১ জুলাই থেকে আমরণ অনশনে যাওয়ার ঘোষণা দেন।




রাইজিংবিডি/ বরিশাল/২৫ জুন ২০১৮/জে.খান স্বপন/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়