ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ষাড়ের নাম লক্ষ্মী বাবু

রফিক সরকার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২৮, ৬ আগস্ট ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ষাড়ের নাম লক্ষ্মী বাবু

লক্ষ্মী বাবুর সাথে রেবেকা

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) সংবাদদাতা: ষাড়ের নাম লক্ষ্মী বাবু । ষাড়টির দেখা মিলবে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের ভাটিরা গ্রামে গেলে।

ষাড়টির মালিক ওই গ্রামেরই মাঝি বাড়ির সৌদি প্রবাসী আবু বকর মাঝির স্ত্রী রেবেকা বেগম। তার যত্ন-আত্তিতে ষাড়টি এখন দর্শণীয় বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

ষাড়টি যখন বাছুর অর্থাৎ ৮ মাস বয়সে রেবেকা বেগম স্বামীর সহযোগীতায় ৫০ হাজার টাকায় কিনে বাড়িতে আনেন। ফ্রীজাম জাতের এই গরুটিকে বাড়িতে এনে সবাই মিলে নাম দেন লক্ষ্মী বাবু।

পাক্কা দুই বছর লালন-পালনের পর সেই ছোট্ট লক্ষ্মী বাবু এখন দেখার মতোই এক মস্ত ষাড়ে পরিণত হয়েছে। আশে-পাশে দু’চার দশ গ্রামেও এমন বিশাল আকৃতির গরুর দেখা মেলেনা। সঙ্গত কারণে এ অঞ্চলে বেশ ছড়িয়েছে ষাড়টির খবর। যে শুনছেন এক নজর দেখে যাচ্ছেন। প্রতিদিনই কেউ না কেউ লক্ষ্মী বাবুকে দেখে যাচ্ছেন। শহর থেকে গাড়ি হাঁকিয়ে আসছেন। কেউ কেউ কেনার প্রস্তাবও করছেন। কোনো প্রস্তাবই এখনো রেবেকা বেগমের মনপুত হয়নি। তার এক কথা ‘সঠিক মূল্য পেলে তবেই লক্ষ্মী বাবুর রশি উঠবে অন্যের হাতে।’

রেবেকা ২ মেয়ে ১ ছেলের জননী। এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছেলেটি স্থানীয় হাইস্কুলে ৮ম শ্রেণিতে পড়ছে আর মেয়েটা পড়ছে বাড়ির পাশের প্রাইমারিতে। লক্ষ্মী বাবুর যত্ন-আত্তি সন্তানদের চেয়েও কম করেন না এই জননী। নিয়ম করে গোসল করানো, খাওয়ানো, অসুস্থ্ হলে ডাক্তার দেখানো, ঔষধ খাওয়ানো, একটু গরম পড়লে বাতাসের ব্যবস্থা- এ সবের কোনো কিছুতেই ত্রুটি নেই তার। সহযোগীতা করছেন বাড়ির অন্যরাও। আর এ খবরটিও স্থানীয়ভাবে সর্বজনবিদিত।

স্থানীয়রা জানান, এত বিশালাকৃতির ষাড় আশপাশের কোন উপজেলায়ও নেই। প্রায় ৩৫ মন ওজনের ষাড়টি এবারে এখানকার কোন না কোন কোরবানি পশুর হাটের প্রধান আকর্ষন হতে পারে। তবে ক্রেতারা যেভাবে বাড়িতে আসছে তাতে মনে হচ্ছে কোন গরুর হাটের দেখা লক্ষ্মী বাবু নাও পেতে পারে।

রেবেকা জানান, স্বামী প্রবাসে থাকেন। শখের বশেই তিনি লক্ষ্মী বাবুকে লালন-পালন শুরু করেন। প্রতিদিন খাবার তালিকায় ভূষি, সবজি, ফল ছাড়াও আছে সবুজ ঘাস। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের লোকজনেরও আসা-যাওয়া রয়েছে বাড়িতে। তারাও ষাড়টির ব্যাপারে খোঁজখবর রাখেন।

তিনি জানান, প্রতিদিনই দূর-দূরান্তের লোকজন আসছে লক্ষ্মী বাবুকে দেখতে। এতে তিনি মোটেই বিরক্ত হচ্ছেন না। তবে এখন লক্ষ্মী বাবুকে ঘরের বাহির করছেন না। ঘরেই নিয়ম করে সব পরিচর্যা চলছে। এই ঈদে বিক্রি করবেন বলে তিনি মনস্থির করেছেন। রেবেকার প্রত্যাশা ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।




রাইজিংবিডি/কালীগঞ্জ (গাজীপুর)/৬ আগস্ট ২০১৮/রফিক সরকার/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়