ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সংখ্যায় ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি সমাচার

রুহুল আমিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:১৩, ২ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সংখ্যায় ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি সমাচার

রুহুল আমিন : গেল বছর ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এক বর্ষ পঞ্জিকায় সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা হয়েছে। ১০০ টি ম্যাচ খেলা হয়েছে গেল বছর। ক্রিকেটের এই সংস্করণের প্রতি সবারই একটু বেশি আগ্রহ। কম সময়ে খেলা শেষ হয়ে যাওয়ায় যারা আগে সময়ের অজুহাতে ক্রিকেট খেলা দেখতে পারত না, তারাও এখন টি-টোয়েন্টি খেলা দেখে। এছাড়া ক্রিকেট প্লেয়িং দেশে টি-টোয়েন্টি লিগের কারণে এই সংস্করণ আরো বেশি জনপ্রিয় হয়েছে। সদ্য বিদায় নেওয়া ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন রেকর্ডগুলো সংখ্যায় পড়ুন :

 

১. ২০১৬ সালে ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি হয়। টি-টোয়েন্টিতে এই প্রথম এক ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি হয়েছে।

 

৪.  ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টিতে দুইবার ৪ উইকেট নিয়েছেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবি। তিনি চতুর্থ ক্রিকেটার যিনি টি-টোয়েন্টির এক বর্ষ পঞ্জিকায় দুবার চার উইকেটে পেলেন। শ্রীলংকার অজান্তা মেন্ডিস দুই বছর এই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। 

 

৫/১৪. দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এক ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিম ১৪ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন। ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টিতে এটা সবচেয়ে কম খরচে বেশি উইকেট শিকারের রেকর্ড।

 

 

৭. ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টিতে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ৭ বার ৫০ রানের বেশি করেছেন ভারতের বিরাট কোহলি। এক বর্ষ পঞ্জিকায় কোনো খেলোয়াড়ের জন্য এটা সর্বোচ্চ সংখ্যক অর্ধশতক। এর আগে চারজন খেলোয়াড় এক বছরে ৫ বার করে ৫০ এর বেশি রান করেছিলেন।

 

৮. ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টিতে ৮টি সেঞ্চুরি হয়েছে। এক বছরে এটা সর্বোচ্চ। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে এক বছরে চারটি সেঞ্চুরি হয়েছিল।

 

১৩. ২০১৬ সালে শ্রীলংকা ১৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পরাজিত হয়েছে। এক বর্ষ পঞ্জিকায় এটা যেকোনো দলের জন্য সর্বোচ্চ হারের রেকর্ড। এর আগে পাকিস্তান ২০১০ সালে এক বছরে ১২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হেরেছিল।

 

১৪.  অকল্যান্ডে শ্রীলংকার বিপক্ষে ১৪ বলে করা কলিন মুনরোর হাফসেঞ্চুরিটি ২০১৬ সালের সবচেয়ে দ্রুততম । এ ছাড়া এটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। ২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যুবরাজ সিংয়ের ১২ বলে করা হাফসেঞ্চুরিটি টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটি। 

 

 

১৫. ২০১৬ সালে ১৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতেছে ভারত। এক বর্ষ পঞ্জিকায় এটা যেকোনো দলের জন্য সর্বোচ্চ। একই বছর আফগানিস্তান ১১টি ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

 

২৫. ২০১৬ সালে আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শাহজাদ সর্বোচ্চ ২৫টি ছক্কা হাকান। এক বর্ষ পঞ্জিকায় এটা যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। এর আগে ২০১২ সালে শেন ওয়াটসন ২৮টি ছক্কা হাকিয়ে তালিকায় শীর্ষে আছেন।

 

২৭. ২০১৬ সালে ভারতীয় উইকেট রক্ষক মহেন্দ্র সিং ধোনি সর্বোচ্চ ২৭টি ডিসমিসাল করেন। এক বর্ষ পঞ্জিকায় এটা সর্বোচ্চ। এর আগে ২০০৭ সালে ১৬টি ডিসমিসাল করে এক বর্ষ পঞ্জিকায় প্রথম ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট।

 

২৮. ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টিতে ভারতের জসপ্রিত বুমরাহ ২৮টি উইকেট নেন। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এক বর্ষ পঞ্জিকায় এটি সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১০ সালে ডার্ক ন্যানিস ২৭টি উইকেট নিয়েছিলেন।

 

 

৪৬.  ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে ৪৬ বলে করা ভারতের লোকেশ রাহুলের সেঞ্চুরিটি ২০১৬ সালের সবচেয়ে দ্রুততম। আর এটা টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে ‍যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি। দক্ষিণ আফ্রিকার ফাফ ডু প্লেসিসও ৪৬ বলে সেঞ্চুরি করেছেন। আর প্রথম দ্রুততম সেঞ্চুরিটি করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার রিচার্ড লেভি। তিনি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৫ বলে সেঞ্চুরি করেন।

 

৭০. ২০১৬ সালে কলকাতায় বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭০ রানে অলআউট হয়। এটা গত বছরের দলীয় সর্বনিম্ন স্কোর। তবে টি-টোয়েন্টিতে ৭০ রানের নিচে আরো ৮টি দলীয় ইনিংস আছে।

 

১০০. ২০১৬ সালে ১০০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা হয়েছে। এক বর্ষ পঞ্জিকায় এটা সর্বোচ্চ সংখ্যক। এর আগে ২০১২ সালে সর্বোচ্চ ৮২টি ম্যাচ খেলা হয়েছিল।

 

১৪৫. ২০১৬ সালে পাল্লেকেলেতে শ্রীলংকার বিপক্ষে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের করা অপরাজিত ১৪৫ রান ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। এমনকি টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান এটি। আর প্রথম ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চের দখলে। তিনি ১৫৬ রান করেন।

 

 

১৭১. হ্যামিলটনে গত জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গপটিল ও কেন উইলিয়ামসন প্রথম উইকেট জুটিতে ১৭১ রান তোলেন। এটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেকোনো উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের জুটি। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটিটি দক্ষিণ আফ্রিকার লোটস বসম্যান ও গ্রায়েম স্মিথের দখলে। সেঞ্চুরিয়ানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম উইকেট জুটিতে তারা ১৭০ রান করেন।

 

২৬৩/৩. ২০১৬ সালে পাল্লেকেলে শ্রীলংকার বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে ২৬৩ রান করেন। এটা কেবল ২০১৬ সালেরই সর্বোচ্চ না, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে এটি দলীয় সর্বোচ্চ রান। এর আগে অবশ্য কোনো দলের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি শ্রীলংকার দখলে ছিল। ২০০৭ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে শ্রীলংকা ২৬০ রান করেছিল।

 

৪৮৯. ২০১৬ সালে ফ্লোরিডায় ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ম্যাচে দুই ইনিংসে মোট রান ওঠে ৪৮৯ রান। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এক ম্যাচে এটি সর্বোচ্চ রান। এর আগে ২০১৫ সালে জোহানসবার্গে অনুষ্ঠিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪৬৭ রান ছিল সর্বোচ্চ।

 

৬৪১. ২০১৬ সালে ভারতের বিরাট কোহলি টি-টোয়েন্টিতে ৬৪১ রান করেন। এক বর্ষ পঞ্জিকায় যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্য এটি সর্বোচ্চ রান। এ ছাড়া একই বছরে আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শাহজাদ ৫২০ রান করে দ্বিতীয় ও ভারতের রোহিত শর্মা ৪৯৭ রান করে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।
 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ জানুয়ারি ২০১৭/রুহুল/ইয়াসিন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়