ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য গৃহনির্মাণ ঋণের নতুন সিলিং

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০০, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য গৃহনির্মাণ ঋণের নতুন সিলিং

কেএমএ হাসনাত : সরকারি চাকরিজীবীদের গৃহনির্মাণ ঋণের সিলিং পুনঃনির্ধারণ করার সুপারিশ করেছে অর্থ বিভাগ। আর এজন্য প্রয়োজন হবে ২০ থেকে ২৮ হাজার কোটি টাকা।

এ সংক্রান্ত একটি সুপারিশ খুব শিগগির অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে পেশ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সরকারি চাকরিজীবীদের গৃহনির্মাণ ঋণের পরিমাণ সর্বনিম্ন ২০ লাখ আর সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছে অর্থ বিভাগ। এ ঋণে সুদের হার প্রস্তাব করা হয়েছে সাড়ে ৮ শতাংশ, যার ৫ শতাংশ দেবেন ঋণগ্রহীতা এবং সাড়ে ৩ শতাংশ ভর্তুকি হিসেবে পরিশোধ করবে সরকার। প্রস্তাবে চাকরি গ্রেড ও বেতনের ভিত্তিতে ঋণের পরিমাণ নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে।

যেসব সরকারি চাকরিজীবীর চাকরির বয়স ১৫ বছর হয়েছে তারাই এ ঋণ নিতে পারবেন। সরকারি চাকরিজীবীদের গৃহনির্মাণ ঋণে সুদের ভর্তুকিবাবদ বছরে ব্যয় হবে ৭০০ থেকে ৯৮০ কোটি টাকা। ঋণ দিতে মোট প্রয়োজন হবে ২০ হাজার থেকে ২৮ হাজার কোটি টাকা।

সরকারি চাকরিতে মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে গৃহঋণে সুদের হার কমিয়ে পরিমাণ বাড়ানো প্রয়োজন। এ প্রস্তাবনাটি বাস্তবায়ন করতে সরকারের খুব বেশি অতিরিক্ত টাকারও প্রয়োজন হবে না। কারণ এখন চাকরিজীবীরা পেনশনের অর্ধেকের বেশি টাকা তুলতে পারবেন না। পেনশনের বাকি যে অর্ধেক টাকা সরকারের কোষাগারে জমা থাকবে সেখান থেকেই এ অর্থের সংস্থান যোগান দেওয়া হবে বলে প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বর্তমানে ব্যাংকিং সেক্টরে অসল টাকার পরিমাণ অধিক। একই সঙ্গে অবিক্রীত ফ্ল্যাটের সংখ্যাও বাড়ছে। আর একজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য একটি বাসস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফলে এ প্রস্তাবটি অনুমোদিত হলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপকারের পাশাপাশি ব্যাংকিং খাত ও আবাসন নির্মাণ খাতও উপকৃত হবে।

এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকারি কর্মকর্মতা-কর্মচারীদের গৃহঋণ বাড়ানোর বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষাধীন। খুব শিগগির এ বিষয়টি নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।

অর্থ বিভাগের ওই প্রস্তাবনায় পঞ্চম গ্রেড থেকে উপরের কর্মকর্তা, যাদের বেতন ৪৩ হাজার টাকার বেশি, তাদের ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য ৭৫ লাখ টাকা, অন্য সিটি করপোরেশনের জন্য ৬০ লাখ এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের জন্য ৫০ লাখ টাকা গৃহঋণ বরাদ্দের সুপারিশ করা হয়েছে।

একইভাবে ৯ম গ্রেড থেকে ৬ষ্ঠ গ্রেড পর্যন্ত কর্মকর্তা, যাদের বেতন ২২ হাজার থেকে ৩৫ হাজার বা তারও বেশি, তাদের ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য ৬৫ লাখ টাকা, অন্য সিটি করপোরেশনের জন্য ৫৫ লাখ এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জন্য ৪৫ লাখ টাকা গৃহঋণ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

এছাড়া ১০ম গ্রেড থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত  কর্মকর্তা, যাদের বেতন ১১ হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকা, তাদের ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য ৫৫ লাখ টাকা, অন্য সিটি করপোরেশনের জন্য ৪০ লাখ এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের জন্য ৩০ লাখ টাকার সুপারিশ করা হয়েছে।

১৪তম গ্রেড থেকে ১৭তম গ্রেড পর্যন্ত কর্মকর্তা, যাদের বেতন ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার ২০০ টাকা, তাদের ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য ৪০ লাখ টাকা, অন্য সিটি করপোরেশনের জন্য ৩০ লাখ এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের জন্য ২৫ লাখ টাকা গৃহঋণ বরাদ্দের সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮তম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেড পর্যন্ত কর্মকর্তা, যাদের বেতন ৮ হাজার ২৫০ থেকে ৮ হাজার ৮০০ টাকা, তাদের ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য ৩০ লাখ টাকা, অন্য সিটি করপোরেশনের জন্য ২৫ লাখ এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের জন্য ২০ লাখ টাকা গৃহঋণ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭/হাসনাত/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়