ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সাকিব ও শিশিরকে নিয়ে ফেসবুকে অপপ্রচার

রাব্বি খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৭, ৭ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সাকিব ও শিশিরকে নিয়ে ফেসবুকে অপপ্রচার

রাব্বি খান : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ঘিরে নিন্দা, বিভিন্ন প্রকারের সমালোচনা হওয়ার ব্যাপারটা যেন খুবই নিয়মিত হয়ে পড়েছে। কিন্তু এই ব্যাপারগুলো যেন কখনোই ছুঁয়ে যায়নি সাকিব কিংবা তার স্ত্রী শিশির উম্মে আল হাসানকে। আর গেলেও প্রকাশ্যে তা নিয়ে কমই কথা বলেছেন এ দম্পতি।

বেশ কয়েকবারই টিভি টকশো’তে এসব ব্যাপারে কিছু বলার আগে আফসোসই করেছেন সাকিব এবং শিশির। যারা এমন সব কীর্তি করে তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না রেখে বরং তাদের জ্ঞানবুদ্ধি হওয়ার প্রার্থনাই করেছেন তারা। কিন্তু রোববার আর নিজেকে সামলাতে পারলেন না সাকিবের স্ত্রী। নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে মনের সব রাগ ঢেলে দিয়েছেন একসাথে।

ঘটনার শুরু একটি অনুষ্ঠানে সাকিব পরিবারের একটি ছবির মাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছিল সাকিব তার সন্তান আলায়নাকে কোলে নিয়ে খাবার টেবিলে বসে আছেন। তার পাশেই বসা সহধর্মিনী শিশির। তাদের পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন তাদের বাসার কাজের মেয়েটি।

আর এতটুকু দেখেই শুরু হয়ে যায় সাকিবের মুন্ডুপাত করা। ফেসবুকে বিভিন্ন বড় বড় পেজে লেখা হয় অসহায় বলে না খাইয়ে কাজের মেয়েকে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন সাকিব। তার মতো একজন আইডল ক্রিকেটারের কাছ থেকে এমন আচরণ ঠিক হয়নি।



অথচ সেসব পেজ তদন্ত করে দেখেনি আসল ঘটনা। তাদের মাধ্যমেই রোববার সারাদিন ধরে ফেসবুকের সব জায়গায় ছড়িয়ে যায় সাকিবের এই ছবি। সবখানেই হেনস্তা করা হয় বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডারকে। কিন্তু এসব দেখে আর স্থির থাকতে পারেননি সাকিব পত্নী শিশির।

নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে সারাদিন চলতে থাকা নোংরামির জবাব দেন শিশির। তিনি বর্ণনা করেন আসল সত্য ঘটনা।

‘কাজের মেয়েটি আসলে বেসিনে গিয়ে হাত ধুয়ে আবার টেবিলে ফেরত আসছিল। সে সাকিবের কাছাকাছি থাকতেই ছবি ক্লিক করে ফেলায় মনে হচ্ছিল তাকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু আসলে কাজের মেয়েটিকে ঠিকই শিশিরের পাশে বসিয়ে একসাথেই খাবার খাইয়েছেন সাকিব’ লেখেন শিশির।

এমন কাজে সাকিবের প্রশংসা করার বদলে অবাঞ্ছিত নিন্দার ফুলঝুড়ি ছোটানোর কারণেই মূলত সাকিব পত্নী এই ব্যাপারটি নিয়ে মাথা ঘামিয়েছেন। নয়তো এসব ব্যাপারে তার কোনো আগ্রহই নেই বলেই জানান তিনি।

একই সাথে জানিয়ে রাখেন যে শুধুমাত্র সবার মন ভোলানো মিষ্টি কথা বলতে পারেননা বলেই সাকিবকে খারাপ মানুষ হিসেবে ব্যখ্যা করা হয়। এতে তাদের কিছুই যায় আসেনা। কিন্তু সাকিব পরিবারকে নিয়ে কিছু বলা হলে সেটা সহ্য করেন না সাকিব।

এবং শিশিরও জানান যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব নোংরামির কারণে দেশের বাইরে গেলে প্রায়শই তাদের শুনতে হয়, ‘তোমার দেশের মানুষ তো তোমাকে প্রাপ্য সম্মান দেয় না সাকিব!’ – এই ব্যাপারটি খুবই লজ্জার হয় তাদের জন্য।

কিন্তু আসলে এই লজ্জা তো ষোল কোটি বাংলাদেশির। যারা কিনা নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা একজন খেলোয়াড়কে প্রাপ্য সম্মান দেওয়ার বদলে অবাঞ্ছিত এবং খুবই বাজে রকমের সমালোচনা এবং নিন্দায় ব্যস্ত থাকে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ আগস্ট ২০১৭/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়