ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সাধ্যের মধ্যে সাধ পূরণ হলিডে মার্কেটে

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৫৯, ২০ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সাধ্যের মধ্যে সাধ পূরণ হলিডে মার্কেটে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নিম্নবিত্তদের কেনাকাটার জনপ্রিয় স্থান হচ্ছে হলিডে মার্কেটে। তাই এই মার্কেটে অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে সাধ্যের মধ্যে সাধ পূরণ করতে।

শুক্রবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির সামনে গিয়ে এমন দৃশ্যই চোখে পড়েছে।

শিল্পকলা একাডেমি থেকে শুরু করে মৎস্য ভবন পর্যন্ত কোথাও কোনো জায়গা নেই। প্রতিটি স্থানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।

সকাল থেকেই ক্রমে ক্রমে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। কিছু কিছু দোকানের বিক্রেতাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতাদের সামাল দিতে।

মৌচাক থেকে শিল্পকলা একাডেমির হলিডে মার্কেটে ছেলে-মেয়েদের শীতের সোয়েটার কিনতে এসেছেন শ্রমিক খাদিজা বেগম।

তিনি জানান, শুক্রবার কাজ না থাকায় এই হলিডে মার্কেটে এসেছি। এখানে অন্য মার্কেটগুলোর তুলনায় কম দামে প্রায় সবই পাওয়া যায়। দাম কম হওয়ায় ঠকার সম্ভাবনা খুবই কম। অনেক বিক্রেতা বেশি দাম চাইলেও এখানে দামাদামি করে কেনার সুযোগ আছে।


তিনি বলেন, মার্কেটে শীতের পোশাক কিনতে গেলে অনেক দাম দিয়ে কিনতে হয়। কিন্তু সেই সাধ্য তো আমার নেই। তাই এখানে কিনতে এসেছি। কারণ এখানে ৫০ টাকা থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে অনেক ভালো শীতের পোশাক পাওয়া যায়।

দেখা গেছে, অনেক ক্রেতারাপণ্য কিনছেন আবার দর কষাকষি করে দাম মনের মতো না হওয়ায় যাচ্ছেন আরেক দোকানে।

মেয়েদের থ্রিপিস বিক্রেতা গোলাম মাওলা বলেন, ‘দাম কম হওয়ায় এখানে ক্রেতা পাওয়া যায়। আমার কাছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকার পর্যন্ত থ্রিপিস আছে। সকাল থেকে ভালোই বিক্রি হচ্ছে।

এই হলিডে মার্কেটে শাড়ি, নানা ধরনের সালোয়ার-কামিজ, ফ্রক, ছেলেদের শার্ট, টি-শার্ট, জুতা, বিছানার চাদর, জানালার পর্দা, সোফার কুশন কভার, ব্যাগ, প্লাস্টিকের নানা ধরনের জিনিস, শোপিস, নানা ধরনের মসলাসহ সাধারণ মানুষের প্রয়োজনীয় প্রায় সবই পাওয়া যায়।

মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই হলিডে মার্কেটে বেচা-কেনা চলে পুরোদমে। তবে দুপুরের পর থেকে এ মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। বেচা-কেনা জমজমাট হওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ছাড়াও বাইরে থেকে অনেক ব্যবসায়ী যোগ দিচ্ছেন এই হলিডে মার্কেটে।

ব্যবসায়ীরা জানান, তারা যেখানে প্রতিদিন ব্যবসা করেন, সেখান থেকে প্রায় তিনগুন বেশি বেচা-কেনা হচ্ছে এখানে। কারণ, এখানে সব ধরনের ক্রেতা আসেন। তবে যাদের বড় মার্কেটে কেনাকেটার সামর্থ্য নেই, তারাই বেশি আসেন। এ ছাড়া দূর-দূরান্ত থেকেও অনেকে কেনাকাটা করতে আসেন বলে জানা গেছে।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ জানুয়ারি ২০১৭/হাসিবুল ইসলাম মিথুন/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়