ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সাফাতসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য হয়নি

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৩৩, ২৪ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সাফাতসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে প্রথম দিনেই সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি।

সোমবার আসামিপক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক সফিউল আজম আগামী ৬ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।

আজ মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষ্য গ্রহণ পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। শুনানিতে তারা বলেন, মামলার বিচার শুরুর আদেশের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।

শুনানি শেষে আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৬ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন। আসমিপক্ষে সময়ের আবেদন করে কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, এম এ বি এম খায়রুল ইসলাম (লিটন)।

বাদীপক্ষে আইনি সহায়তা দেওয়া মহিলা আইনজীবী সমিতির আইনজীবী ফাহমিদা আক্তার রিংকি বলেন, সোমবার মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। এজন্য আমরা বাদিনীকে দিয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য তার হাজিরাও দিয়েছিলাম। কিন্তু সাক্ষ্য গ্রহণ পেছানোর জন্য সময় আবেদন মঞ্জুর করার কারণে সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। এদিকে তিনি মামলাটি ক্যামেরা ট্রায়ালে করার আবেদন করলে আদালত তা আবেদন মঞ্জুর করেন।

শুনানিকালে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে গত ১৩ জুলাই একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ২৪ জুলাই সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেন। গত ১৯ জুন একই ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

এর আগে গত ১২ জুন মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় সিএমএম আদালত থেকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ বদলি করা হয়।

গত ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটি আদালতে দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে।

অপর আসামি সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলার পাঁচ আসামিই বর্তমানে কারাগারে আছেন। আসামিদের মধ্যে রহমত আলী ছাড়া অপর আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ বন্ধুর সঙ্গে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বনানীর দ্য রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ আনেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। তারা গত ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ ও সাদমান সাকিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ জুলাই ২০১৭/মামুন খান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়