ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সিলেটে আকস্মিক বন্যায় ঈদ আনন্দ নেই

নোমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৩, ১৫ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সিলেটে আকস্মিক বন্যায় ঈদ আনন্দ নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট : সিলেটের বেশ কয়েকটি উপজেলায় ঈদের আগে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। কোথাও বাঁধ ভেঙে, আবার কোথাও নদীর পানি উপচে লোকালয় তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিভিন্নস্থানের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফলে ঈদের আনন্দ বিষাদে রূপ নিয়েছে।

টানা বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে জেলার কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কানাইঘাটে বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার কারণে তলিয়ে গেছে বহু জমির ফসল, মানুষের বসতঘর এবং রাস্তাঘাট। বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন পাথর কোয়ারিও। এ কারণে বেকার হয়ে পড়েছে এসব কোয়ারির শ্রমিকরা। ঈদের আগ মুহূর্তে এমন আকস্মিক বন্যা কেড়ে নিয়েছে এসব এলাকার মানুষের আনন্দ। এতে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।

গোয়াইনঘাটের স্থানীয় সাংবাদিক মঞ্জুর আহমদ বলেন, উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাতায়াতের উপায় নেই। বিভিন্ন বাজারে পানি উঠে গেছে। ঈদের আর এক দিন বাকি। কিন্তু বন্যার কারণে এই উপজেলায় ঈদের আনন্দ নেই বলে জানান তিনি।

উপজেলার বারহাল গ্রামের আমানউল্লাহ জানান, ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। চারিদিকে শুধু পানি আর পানি। এ কারণে ঈদের কেনাকাটা দূরে থাক, ঘরের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য কিনতে পারছেন না তারা।

বন্যায় বন্ধ হয়ে পড়েছে উপজেলার দুটি পাথর কোয়ারি। এ কারণে বেকার হয়ে পড়েছে এ সব কোয়ারির শ্রমিকরা। এতে মাটি হয়ে গেছে তাদের ঈদ আনন্দ। শ্রমিক আলী আহমদ জানালেন, কোয়ারি বন্ধ থাকায় কাজ নেই। এ কারণে তাদের মাঝে ঈদের আনন্দও নেই।

কানাইঘাট উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিক আলা উদ্দিন জানান, গত তিন দিন ধরে কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে পৌরশহরসহ উপজেলার বেশির ভাগ গ্রামে বন্যা দেখা দিয়েছে। সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় উপজেলা শহরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। তবে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর পানি কিছুটা কমায় সড়ক যোগাযোগ ফের চালু হয়েছে বলে জানান তিনি।

বন্যার চার দিন হলেও সরকারি ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছায়নি আক্রান্ত এলাকায়। অবশ্য সিলেটের জেলা প্রশাসক নুমেরি বলছেন, পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রীর মজুদ রয়েছে। এগুলো দিয়ে সাপোর্ট দিতে পারবেন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সরকারের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি পাঁচ পয়েন্টেই বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/সিলেট/১৫ জুন ২০১৮/নোমান/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়