ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সীমাহীন লোডশেডিং, অতিষ্ঠ জনজীবন

কাঞ্চন কুমার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:১২, ২২ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সীমাহীন লোডশেডিং, অতিষ্ঠ জনজীবন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় পল্লী বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকছে না।

এতে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে মাত্রা ছাড়া লোডশেডিংয়ের কারণে ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে অফিসগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম।

কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের বিদ্যুৎ সরবরাহের কোনো নিয়মনীতি নেয়। প্রতিদিনই অসংখ্যবার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে, সন্ধ্যা হলে এমনকি গভীর রাতেও যেন বিদ্যুৎ আসতে চায় না। প্রচণ্ড দাবদাহে মানুষের ত্রাহিত্রাহি অবস্থার মধ্যে বিদ্যুতের প্রয়োজন হলেও লোডশেডিংয়ে অস্থির হয়ে পড়ছে মানুষ।

জেলার মিরপুর, ভেড়ামারা, দৌলতপুর, খোকসা, কুমারখালীসহ সদর উপজেলায় ঘনঘন বিদ্যুতের ভেলকিবাজি ও আসা-যাওয়ার কারণে গ্রাহকদের বৈদ্যুতিক বাল্ব, ফ্যান, টিভি, ফ্রিজসহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। লোডশেডিং হলেও তার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। ঘনঘন বিদ্যুতের যাওয়া-আসা ছাড়াও কোনো কোনো সময় একবার বিদ্যুৎ গেলে ৪/৫ ঘণ্টা পর্যন্ত আসার কোনো খবর থাকে না।

সদর উপজেলার হাটশহরিপুর এলাকার সম্রাট ইসলাম জানান, বিদ্যুৎ মানেই সোনার হরিণ! ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিন থেকে চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাই, আর এই তিন থেকে চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া মানেই, সোনার হরিণ পাওয়া। আর এই ভোগান্তি যেন হরিপুরবাসির নিত্য দিনের সাথী হয়ে আছে। যা দেখার কেউ নেই।

তিনি আরো জানান, সারা দিনের ক্লান্তি নিয়ে মানুষ যখন বাড়ি ফিরে আসে, তখন তারা একটু আরাম চায়। কয়েকদিন হলো প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে মানুষ একটু স্বস্তিতে বাড়িতে বসতেও পারছে না।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে এই অবস্থা যদি হয়, তাহলে আমাদের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ করে লাভ কি হলো?

শাহাবুদ্দিন মিলন নামে এক পরিবেশবিদ জানান, বিদ্যুৎই তো সব। বিদ্যুৎ ছাড়া আমরা এক মুহূর্ত চলতে পারি না। অটোরিকশা, পাখিভ্যান এরা সবাই বিদ্যুতের চার্জ নিয়ে রাস্তায় ছুটে বেড়ায়! যার জন্য বর্তমানে বিদ্যুতের এই শোচনীয় অবস্থা। সারা দেশে লাখ লাখ অটো, যার ভোগান্তির শিকার হচ্ছি আমরা সাধারণ মানুষ। আবার এগুলো বন্ধ করলে লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে যাবে! তবে বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে আরো বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করার তাগিদ দেন।

পল্লী বিদ্যুতের মিরপুর জোনাল অফিসের এজিএম আবু নাছের আলী জানান, এই অবস্থা আরো কয়েক মাস চলবে। কারণ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ার যতদিন পর্যন্ত না আগের অবস্থায় ফিরে না আসে। মুলতঃ ওই টাওয়ার দিয়ে দক্ষিণবঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ হতো। ফলে বিকল্প পথে সামান্য ও দক্ষিণবঙ্গে যা উৎপাদন হয় তাই দিয়ে লোডশেডিং করে আপদকালীন ব্যবস্থা করা হয়েছে।



রাইজিংবিডি/কুষ্টিয়া/২২ মে ২০১৭/কাঞ্চন কুমার/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়