সূচক ও লেনদেনের নিম্নগামী প্রবণতায় সপ্তাহ পার

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : দেশের উভয় পুঁজিবাজারে গত সপ্তাহ গেছে নিম্নমুখী প্রবণতায়। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ৪ দিনই কমেছে সূচক।

তবে ১ কার্যদিবস সূচক বাড়লেও এর মাত্রা ছিল খুবই সামান্য। গত সপ্তাহে এই শেয়ারবাজারে সব ধরনের  মূল্য সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেন। আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন কমার পরিমাণ ছিল ১৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই অবস্থা। এরই ধারাবহিকতায় সূচকের পাশাপাশি ডিএসইতে গড় লেনদেনের পরিমান কমেছে ১৯.১৪ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে উভয় শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছে ৫ কার্যদিবস এবং এর আগের সপ্তাহের ১০ মে সরকারি ছুটি থাকায় মোট লেনদেন হয়েছে ৪ কার্যদিবস।

জানা গেছে, গত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ২ হাজার ৯৭০ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার। যা এর আগের সপ্তাহে ৪ কার্যদিবসে ছিল ২ হাজার ৮৩১ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার। ৪ কার্যদিবস হিসাবে তুলনা করলে দেখা যায়, গত সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৪৫৪ কোটি ৮৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকা বা ১৬.০৬ শতাংশ।

সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ।

ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বা ৯৬.৫৫ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই ৩০ সূচক কমেছে ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ বা ৩২.১৬ পয়েন্ট। অপরদিকে, শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ বা ১৮.২২ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৩টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ২০২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির। আর লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির শেয়ার।

এদিকে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৭৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার। তবে সার্বিক সূচক কমেছে ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। গত সপ্তাহজুড়ে এই শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মোট ২৮১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৭টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৯০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির।

ডিএসই’র পিই রেশিও কমেছে: সাপ্তাহিক ব্যবধানে ডিএসই সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। আগের সপ্তাহের চেয়ে পিই রেশিও কমেছে ১.৭৩ শতাংশ।

সূত্র মতে, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৫.৩০ পয়েন্টে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৫.৫৭ পয়েন্ট। সে হিসেবে সাপ্তাহিক ব্যবধানে পিই রেশিও কমেছে ০.২৭ পয়েন্ট বা ১.৭৩ শতাংশ।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৯.৩৪ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩১.১৬ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৭.১৫ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ২২.৪৪ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ১৮.৯১ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের ২০.০৮ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ১৩.২০ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১৪.৯৪ পয়েন্টে, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ২৬.৬৬ পয়েন্টে, পাট খাতে ২৮১.৫৬ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২৭.০৭ পয়েন্টে, কাগজ খাতের মাইনাস ৫৬.২৫ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৯.৫৪ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৩.৩১ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ২৫.১৩ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৭.৬৪ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৮.৮০ পয়েন্টে এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ২৭.৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ মে ২০১৭/আশিক/সাইফ