ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

সৈয়দ হকের জলেশ্বরী || পিয়াস মজিদ

পিয়াস মজিদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৭, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সৈয়দ হকের জলেশ্বরী || পিয়াস মজিদ

সকল প্রাপ্তির ভিড়েও কানে কানে কে যেন প্রতিনিয়ত বলে যায়-‘মানুষ এমনই। একবার পেলে তার কাছে নিতান্তই মাটির মনে হয় সোনার মোহর’। তার সাথে অজানিতে আমার কণ্ঠ একাকার হয়ে যায়। কাকে যেন সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা-রাত্রি জিজ্ঞেস করতে থাকি ‘সে ক্যান দুঃখ দ্যায়?’ উত্তর পাই না। হয়ত উত্তর প্রত্যাশাও করি না। আমি বরং উত্তরের অধিক গুরুত্বে জীবনভর বয়ে নিয়ে চলি এই গূঢ়-সরল প্রশ্ন। চলতে চলতে সামনে দেখি ধু-ধু জলেশ্বরী। সেখানে করিমন বেওয়া ঘুমোবার জায়গা পাচ্ছে না এবং তার সাথে সাথে গোটা উত্তর বাংলা, পর্যায়ক্রমে দক্ষিণ বাংলা এবং শেষ পর্যন্ত গোটা বাংলাদেশই অনিদ্র কারণ ভূমিহীন করিমন বেওয়াই বাংলাদেশ। আবার বাংলাদেশই করিমন বেওয়া।

 

আর দূর আকাশে সবাই যখন নক্ষত্রবিলাসে ব্যস্ত তখন আমি নীলিমা জুড়ে মঞ্চস্থ হতে দেখি গাধাজ্যোৎস্নার পূর্বাপর। কারণ জলেশ্বরীবাস আমাকে এই অভিজ্ঞান দিয়েছে যে, দুনিয়াব্যাপী গাধাকুলের রাজত্ব থাকলে জ্যোৎস্নাতেও তার দাগ পড়ে। তারপর অজস্র দেয়ালের দেশ পেরিয়ে দেখি খেলারামকে খেলতে বলে প্রকারান্তরে সে আমার তথাকথিত রুচির নাবালক কোষগুলো গুঁড়িয়ে দেয়। নিষিদ্ধ লোবানের ঘ্রাণে উন্মাতাল আমি বৃষ্টি ও বিদ্রোহের সমার্থকতা উপলব্ধি করি। রক্ত ও জলের  যুগলবন্দি এই চুরাশির জাতককে নিক্ষেপ করে অশেষ একাত্তরে। সেই কবে সে মন্ত্র শুনিয়েছিল-‘ভাষাই আপন করে আবার সেই ভাষা করে পর’।

 

শুধু মন্ত্র পড়িয়েই ক্ষান্তি দেয় নি সে। ভাষার গোলকধাঁধা তো সে-ই ফাঁস করে মার্জিনের টুকরোটাকরা মন্তব্যে। সামান্য কথায় শিল্পের চোরাপথে পৌঁছবার সংকেত রেখে যায় আমার জন্য। খল সময় যখন বিচ্ছিন্নতার ইন্ধন জোগায় তখন সে আমায় জানান দেয়-মানুষ আইতাছে। বানের লাহান মানুষ আইতাছে। যূথবদ্ধ স্বপ্নেরা আসছে। তাদের পায়ের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। যখন আমার দেশ ছেয়ে যায় রঙবেরঙের দালালের আলখেল্লায়, তখন সে নূরলদীনের কথা মনে করিয়ে দেয়। কালপূর্ণিমার রাতে সে ভুলতে দেয় না যে আমার জনকের নাম শেখ মুজিবুর রহমান।

 

তেরোশত নদীর দেশে এমনভাবে আর কার পাল তোলা,

সৈয়দ শামসুল হক ছাড়া?

 

‘সব্যসাচী লেখক’ নামে দীর্ঘদিন তাঁকে আমরা ব্র্যাকেটবন্দি করে রেখেছি। ‘সব্যসাচী’ বলাটা যতটা সহজ ততটাই কঠিন সাহিত্যের শাখায় শাখায় সৈয়দ হকের বর্ণাঢ্য সফরকে বিশ্লেষণ-সংশ্লেষণ। একদা এক রাজ্যে থেকে তরঙ্গের অস্থির নৌকায় কবিতাগ্রন্থ পর্যন্ত, তাস থেকে বুকের ভেতর আশাবৃক্ষ গল্পগ্রহ পর্যন্ত, এক মহিলার ছবি থেকে কুয়াশায় শাদা ঘোড়া উপন্যাস পর্যন্ত, পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় থেকে চম্পাবতী কাব্যনাট্য পর্যন্ত তিনি নিয়ত নবায়িত। সৈয়দ শামসুল হক সর্বাধুনিক সাহিত্যরীতির আশ্রয়ে অর্ধশতকেরও বেশি সময় ধরে যে নিজস্ব-নতুন শিল্পপথ সৃষ্টি করে চলেছেন তা নিঃসন্দেহে উদাহরণীয়। এ পথে সৈয়দ হক একক ও অনন্য। প্রচল ভাষা ও রীতিকে সর্বতোরূপে প্রত্যাখ্যান করে ব্যক্তি আর গণকণ্ঠ যুগপৎ তিনি ধারণ করে চলেছেন অবিরত।

 

মার্কেসের যেমন মাকান্দো, দেবেশ রায়ের যেমন তিস্তা সৈয়দ শামসুল হকের তেমনি জলেশ্বরী। কল্পনায় গড়ে তোলা জনপদ। আধকোশা নদীর (তারই কল্পিত নাম) তীরে কেন্দ্রভূমি জলেশ্বরী। ভারত সীমান্ত পর্যন্ত উত্তরে চলে গেছে মান্দার বাড়ি, হরিশাল, হস্তিবাড়ি; দক্ষিণে নবগ্রাম, শকুনমারি, বুড়িরচর। উত্তর বাংলার পরিবেশ, রোদছায়া, গাছপালা, মানুষের সারল্য আর সংগ্রামকে ল্যান্ডস্কেপ করে সৈয়দ শামসুল হক তার কথাভুবন বিস্তৃত করেছেন। যে উত্তর বাংলার আরেক নাম মঙ্গা, সে উত্তর বাংলার অঘোষিত মুখপাত্র কথাকার সৈয়দ হক। জলেশ্বরীর জীবনকে আমরা যতই দূরের মনে করি ততই তা আমাদের অংশী হয়ে ওঠে। ‘কোথায় ঘুমোবে করিমন বেওয়া’ গল্পের ভুখা করিমন বেওয়ার লাশ জলেশ্বরীর কোথাও দাফন হয় না আবার একই সময় জলেশ্বরীর সর্বত্র করিমন বেওয়ার লাশের গন্ধ পাওয়া যায় এবং ‘...আমরা বিকটভাবে আবিষ্কার করি, করিমন বেওয়া আমাদেরই পাশে ঘুমিয়ে আছে, কারণ-সে আর কোথায় ঘুমোবে?’

 

১৯৯০-এ প্রকাশিত হয়েছিল সৈয়দ শামসুল হকের জলেশ্বরীর গল্পগুলো। তারপর ২০১০-এ ননফিকশনাল গদ্য সংকলন জলেশ্বরীর দিনপত্রী। বইয়ের নামত জলেশ্বরী হাতে গোনা হলেও ভাবগত দিক থেকে সৈয়দ হকের জলেশ্বরী সিরিজ বহুবিস্তৃত। তার সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপনে এখানে জড়ো করা যায় জলেশ্বরী সিরিজের বইপত্রের নামসমুদয়- দূরত্ব, দ্বিতীয় দিনের কাহিনি, নিষিদ্ধ লোবান, অন্তর্গত, ত্রাহি, শকুনমারির খবরাখবর, না যেয়ো না, স্তব্ধতার অনুবাদ, শঙ্খলাগা যুবতী ও চাঁদ, চোখবাজি, ময়লা জামার ফেরেশতারা, বকুল রঙিন স্টুডিও, গুপ্ত জীবন প্রকাশ্য মৃত্যু, উড়ে যায় মালতি পরি, কুয়াশায় শাদা ঘোড়া ইত্যাদি।

 

এর মধ্যে ছয়টি উপন্যাস- দূরত্ব, নিষিদ্ধ লোবান, দ্বিতীয় দিনের কাহিনি, ত্রাহি, স্তব্ধতার অনুবাদ, উড়ে যায় মালতি পরি ও একটি কথাকাব্য অন্তর্গত নিয়ে জলেশ্বরী ১-এর এ আয়োজন। পরবর্তী খণ্ডগুলোতে জলেশ্বরী সিরিজের সমস্ত রচনাই অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আশা রাখি।

 

বান্দরবানে এক হাজার আসনবিশিষ্ট সৈয়দ শামসুল হক মঞ্চ উদ্বোধনের পর। আলোকচিত্র : সাইফুদ্দিন সাইফ

 

স্তব্ধতার অনুবাদ-সূত্রে সৈয়দ হক জানান দেন-

আমাদের ভেতরে এক উলঙ্গ মানুষ বাস করে, অতঃপর এই উলঙ্গ মানুষটিকে স্মরণ করে আমাদের কথা শুরু করি-আপনি কি তাকে চেনেন?

 

সে আপনার ভেতরেও বাস করে, বড় গভীরে এবং সমস্তক্ষণ প্রস্তুত হয়ে; আপনার নিদ্রা আছে, তার নেই। আপনি যখন কারফিউ দেয়া শহরে ঘরের দরজা বন্ধ করে বাতি নিবিয়ে চৌকির নিচে লুকিয়ে আছেন, সে তখন আপনার ভেতর থেকে লাফ দিয়ে বেরোয় এবং বাইরে সড়কে ঐ যে বুটের শব্দ তুলে হেঁটে যাচ্ছে ঘাতক, চোখের পলকে তাকে খতম করে সে বেতার কেন্দ্র দখল করে ঘোষণা করে স্বাধীনতা- অথচ আপনি তখনো চৌকির নিচেই আছেন। কিংবা আপনি যখন শ্রাবণের একটি প্রভাতে শোনেন আততায়ীর হাতে নিহত হয়েছে আপনার পিতা এবং তাঁর লাশ পড়ে আছে সিঁড়িতে, আপনার ভেতর থেকে সে বেরোয়, সুবাসিত পানিতে তাঁকে গোসল করিয়ে নগরীর কেন্দ্রস্থলে দাফন করে এবং তারপর এই হত্যার বিচার সে চিৎকার করে চায়­- অথচ আপনি তখন ভাষাহারা নপুংসকের ভূমিকায়।

 

এভাবে বাংলাদেশের ক্ষতলাঞ্ছিত ইতিহাস তার যাবতীয় মূক-স্তব্ধ আবরণ ছেড়ে বলিষ্ঠ ভাষারূপ পায়, সবাক হয়। শিল্পহীন ইশতেহার সৈয়দ হকে অলভ্য বরং দেখি শিল্পের ইতিবাচকে জাতীয় জীবনের নঞর্থক অধ্যায় ধবল জ্যোৎস্নার অবয়ব পায়। তখন আমাদের গূঢ় উপলব্ধি জন্মে ‘সামগ্রিক স্তব্ধতা জন্ম দেয় সামগ্রিক স্তব্ধতারই; মৃত কেবল মৃতই প্রসব করতে পারে’।

 

জলেশ্বরী সিরিজে মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ কোন আপতিক বা সূত্রচ্ছিন্ন ব্যাপার নয়, মৌলত মুক্তিযুদ্ধই যেন প্রধান বিষয় হয়ে জলেশ্বরীর হিম ও তাপ, আঙ্গিক ও ভাষাভাগ নির্মাণ করে।

 

জলেশ্বরীর ভূগোলে এসে আমাদের চেনা অভিজ্ঞতার গল্প হয়ে যায় ‘গল্প-প্রবন্ধ’। এখানে ব্যবহৃত গ্রামীণ পটভূমি থাকে না নেহায়েত আমাদের পরিচিত গ্রাম। সীমানা ছাড়িয়ে প্রেক্ষাভূমি পায় দিগন্তের বিস্তার। জলেশ্বরীর গ্রাম একই সঙ্গে বাস্তব ও অতিবাস্তবের মূর্ততামণ্ডিত। নিষিদ্ধ লোবান-এ বিলকিসসহ মুক্তিযোদ্ধাদের পদভারে প্রত্যন্ত জলেশ্বরী যেমন হয়ে ওঠে পবিত্র-মহান এক ভূমিখণ্ড।

 

জলেশ্বরী’তে আর আছে ‘আমরা’ ঘোষণাবন্ধের মধ্য দিয়ে ব্যক্তি ছাপিয়ে যূথস্বরের অনন্য প্রতিষ্ঠা। এভাবে জলেশ্বরীর মনোহর, সলিম বা সাহেব-চান্দ আর ব্যক্তি- একক থাকে না; হয়ে ওঠে ‘কালেক্টিভ ভয়েস’। আখ্যানের অন্তর্লীন অংশও তখন বিশাল ভূভাগ ও জনগোষ্ঠীর প্রতীকস্বরে ধ্বনি পায়। মানভাষার পাশাপাশি লোকভাষার অভূত ব্যঞ্জনায় ভাস্বর জলেশ্বরী কিন্তু ভাষা-প্রসাদনের দৃষ্টি-কাঙাল কসরত নয়, প্রয়োগের যাথার্থ্যই জলেশ্বরী সিরিজের কোথাও কোথাও এমন আঞ্চলিক ভাষাবিভূতির ব্যবহার ঘটিয়েছে-

 

বইসেন, বইসেন সংগ্রাম করি বাংলাদেশ বানায়ে কি আল্লার গোড়ত পাপ কচ্ছিনু? হিন্দু হয়া গেছেন? আগে হামারা বেশি মোছলাম ছিনু? জবাব দিবে কাই? গরীবের মুখে ভাত উইঠবে, নেংটি যায়া লুংগি হইবে, ব্যটা বেটি নিয়া দিন গুজরান কইরবে তার জন্যে সংগ্রাম কচ্ছিনু আল্লার ঘরে বাড়ি দিবার জন্যে নেয়ায় আল্লার পাওনা সেজদা ফাঁকি দিবার জন্য নোয়ার জানি রাখেন। মুই রাশিয়া আমেরিকা চেনাঁ না, রাজনীতিও বোঝোঁ না, মুই বিটিশ আমলেও খাইছে, পাকিস্তানেও খাইছে, বাংলাদেশও খায়। মানুষগুলো নিকাশ করেন। আসল বাংলাদেশ হইবে। বর্তমান চলতি থাইকলে, হামার মতো হইবেন, ব্যাটা জেলে যাইবে, বেটির ইজ্জত যাইবে, কোনদিন দেইখবেন হামার মাথা কাটি নিছে, সুপারি বাগানে পড়ি আঁছো। (ত্রাহি)

 

খণ্ড কবিতার মধ্যবিরতিতে সৈয়দ হক প্রায়ই নোঙর করেন দীর্ঘকবিতার বন্দরে। অন্তর্গত ঠিক দীর্ঘ কবিতা নয়; তারই ভাষ্যানুসারে ‘কথাকাব্য’। কথাকাব্যের অবয়বে এখানে বিধৃত হয়েছে রক্তাক্ত একাত্তর। যেখানে আমাদের অপূর্ব ও নৃশংস অভিজ্ঞান-

 

চোখ ভিজে আসে, চোখ ভিজে যায়,

চোখ ভেসে যায় মানুষের চোখ,

মানুষের তো চোখ আছে,

সে চোখ শুধু দ্যাখে না,

সে চোখ কাঁদে, সে চোখ ভিজে আসে, ভেসে যায়...।

 

এরপর প্রকরণ নিয়ে আর কোন জিজ্ঞাসা থাকে না বরং মনুষ্যচোখে জমা এই অপরিমেয় অশ্রুর উৎস সন্ধানে জলেশ্বরীর ভূগোল-গহীনে যাত্রা শুরু হয় পাঠকের।

 

অন্তর্গত’র সূচনাভাগে তিনি বলেছিলেন, সাহিত্যের কোন ফর্ম মৃত নয়, একটি বিশেষ কালে একটি বিশেষ ফর্ম তার সমস্ত সম্ভবপরতা নিঃশেষিত করে নতুন সময়ে নতুন সম্ভবপরতা আবিষ্কৃত হবার অপেক্ষায় থাকে। সে প্রেক্ষিতেই অন্তর্গত’র কাঠামোংশ যথাযথ ব্যাখ্যা হয়ে যায়। এখানে এসে পাঠক অভিনতুন আঙ্গিকে জাজ্বল্য দেখতে পাবেন তার কথামালা-নিজস্ব।

 

সারাদিন অত্যন্ত মন্থর কেটে যাবার পর আচমকা রাত নামে, কেননা দিনের ভিতরে স্মৃতি রচিত হবার অবকাশ সম্ভবত আর নেই। প্রথমে বিশাল একজোড়া ডানার মতো ছায়াপত সমস্ত বস্তু এবং অস্তিত্বের ওপর অনুভব করা যায়; পরে রোদের ভেতরে সারাদিন বিভিন্ন উৎস বেরিয়ে এসে শব্দগুলো যে স্তব্ধতাকে কুরে কুরে খাচ্ছিল অদৃশ্য পঙ্গপাল যেনবা তারা ক্ষান্ত হয়। এখন স্তব্ধতা আবার তার অলৌকিক ফলের মতো কান্তি ফিরে পায়, রাত গভীরতর হয়; স্তব্ধতা পূর্ণতর। তাহের তার গন্তব্য জলেশ্বরী পৌঁছায়। (দ্বিতীয় দিনের কাহিনি)

 

এই দেশে যতবার মঙ্গা ততবার সৈয়দ হক। যতবার খাকি উর্দি ততবার সৈয়দ হক। যতবার মোল্লাতন্ত্র ততবার সৈয়দ হক। যতবার দুঃখ ও দারিদ্র্য ততবার সৈয়দ হক। আর যতবার চড়ায় আটকা পড়বে আমাদের স্বপ্নসমুদয় ততবার ‘তাহের’ চরিত্রের মতো অনিবার্য গন্তব্য হয়ে জলেশ্বরী জেগে উঠবে মৃতের দেশে জীবনের সোচ্চার জয়মন্ত্র হয়ে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ ডিসেম্বর ২০১৬/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়