ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

হবিগঞ্জে চায়ের বাম্পার ফলন

মো. মামুন চৌধুরী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৬, ১ নভেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হবিগঞ্জে চায়ের বাম্পার ফলন

চান্দপুর বাগানে চা পাতা উত্তোলন

মো. মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ : চা-পাতার ভাল ফলনে প্রয়োজন নিয়মিত বৃষ্টি। এবার নিয়মিত বৃষ্টি হওয়ায় হবিগঞ্জে চায়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। বছরের মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে চা-পাতার উৎপাদন শুরু হয়। চলে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সেই কাক্সিক্ষত বৃষ্টি হচ্ছে।

 

বৃষ্টির পর রোদ পেলেই চা-গাছে কুঁড়ি আসে। রুপ নেয় সবুজের সমারোহে। সময়মত গাছ থেকে এসব কুঁড়ি সংগ্রহ করেন শ্রমিকরা। মেশিনে প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়।

 

সূত্রে জানা গেছে, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ, বাহুবল, চুনারুঘাট, মাধবপুর উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলের প্রায় ১৫,৭০৩.২৪ হেক্টর জমিতে প্রায় ২৪টি ফ্যাক্টরিযুক্ত চা বাগান রয়েছে। এ ছাড়াও ফাঁড়িসহ প্রায় ৩৫টি বাগানের প্রায়টিতেই  উপরে প্রতি হেক্টর জমিতে ২২/২৫’শ কেজি ও নিচে ১৫০/১১৬’শ কেজি চা-পাতা উৎপাদন হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় প্রত্যেক বাগানেই পতিত জমি আবাদ করে চা-গাছ রোপন করা হচ্ছে।

 

লস্করপুর, সিলেট, জুড়ী, লংলা, মনু-ধলাই, বালিশিরা ও চট্রগ্রামসহ ৭টি ভ্যালির মাধ্যমে দেশের প্রায় ৩৫৮টি বাগান রয়েছে। এরমধ্যে ১৫৮ টি বাগানে ফ্যাক্টরি রয়েছে। আর শ্রমিক রয়েছে প্রায় ২০ লাখ। এরমধ্যে হবিগঞ্জের বাগানগুলোতে চা-পাতা উৎপাদনে লক্ষাধিক শ্রমিক জড়িত রয়েছেন। বেশীর ভাগ নারী শ্রমিক চা-পাতা উত্তোলনে জড়িত।

 

জেলার বাহুবলের আমতলী চা-বাগানের ম্যানেজার কাজী মাসুদুর রহমান বলেন, ‘এবার বছরের শুরু থেকেই নিয়মিত বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ কারণে চায়ের ভাল ফলন হয়েছে। ’

 

দেউন্দি চা-বাগানের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘নিয়মমাফিক বৃষ্টির সাথে রয়েছে চা-পাতা উৎপাদনের সম্পর্ক। আবার অতি বৃষ্টি হলে হবে না। এছাড়া চা-পাতার উৎপাদন বাড়াতে বাগান কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শ্রমিকদের আন্তরিকতা বিরাট ভূমিকা রাখে।

 

 

বৃষ্টির সাথে সম্পর্ক রেখে সারা দেশের ন্যায় হবিগঞ্জের প্রায় ছোট বড় ৩৫টি বাগানে এ বছর চা-পাতার উৎপাদন শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

 

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন,  ‘হবিগঞ্জের বাগানগুলো লস্করপুর ও বালিশিরা ভ্যালির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। সরকারী হিসেবে এ জেলায় প্রতি বছর এককোটি কেজি চা-পাতা উৎপাদন হয়। এসব পাতা দেশের চাহিদা পূরণের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশে বিক্রি বাবদ দেশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে।

 

পরিদর্শনকালে জেলার চান্দপুর বাগানের শ্রমিক শিলা উড়াং, রুমা উড়াং, সাগরী রায়, সন্ধ্যা মহালী, বিনা সাওতালসহ অর্ধশত শ্রমিকও এ মৌসুমে চায়ের ভাল ফলনে তাদের সন্তুষ্টির কথা জানালেন। তারা সকাল হলে ঘর থেকে বের হয়ে চা-পাতা উত্তোলন করতে ছুটে যান। নিয়মনীতি মেনে তারা গাছ থেকে পাতা উত্তোলন করছেন। পরে ওজন করে ফ্যাক্টরিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চায়ের ভাল ফলনে তাদের মুখেও হাসি।

 

 

রাইজিংবিডি/ হবিগঞ্জ/১ নভেম্বর ২০১৬/মামুন/টিপু

মো. মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ : চা-পাতার ভাল ফলনে প্রয়োজন নিয়মিত বৃষ্টি। এবার নিয়মিত বৃষ্টি হওয়ায় হবিগঞ্জে চায়ের বাম্পার ফলন হয়েছে।

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়