ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

হয়রানি বন্ধের দাবি বাজুসের

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৬, ২৫ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হয়রানি বন্ধের দাবি বাজুসের

নিজস্ব প্রতিবেদক : একটি যুগোপযোগী ও ব্যবসাবান্ধব স্বর্ণ নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত সোনার দোকানে অভিযান চালিয়ে হয়রানি না করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় বাজুস।

আসন্ন ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে স্বর্ণ আমদানির বিষয়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা না দিলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছে বাজুস।

সংবাদ সম্মেলনে সমিতির মুখপাত্র ডা. শাহীন বলেন, আমরা সরকারের কোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে নই। তবে তা হতে হবে নির্দিষ্ট নিয়মনীতির আওতায়। আমরা এ দেশের ব্যবসায়ী সমাজ। সরকারকে সকল ভ্যাট, আয়কর পরিশোধ করে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখে চলেছি। আমরা যেন ইতিহাস হয়ে না যাই, তাই সকলের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।

সমিতির পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি প্রস্তাবও তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো- এইচএস কোড ৭১০৮.১২.০০ ও ৭১০৮.১৩.০০ এর আওতায় ব্যবসায়ী পর্যায়ে জটিলতা নিরসন করে প্রতি ১১.৬৬৪ গ্রামের জন্য ৫০০ টাকা এবং অন্যান্য কর শূন্য নির্ধারণ পূর্বক স্বর্ণবার বা স্বর্ণপিণ্ড আমদানির সুযোগ প্রদান, এলসির মাধ্যমে স্বর্ণ আমদানি সহজীকরণ ইত্যাদি।

এলসির মাধ্যমে কেন স্বর্ণ আমদানি করা হয় না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাজুসের সদস্যরা জানান, এলসির মাধ্যমে স্বর্ণ আমদানি করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সেজন্য তাঁতিবাজারের পোদ্দারদের কাছ থেকে এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে আসা স্বর্ণ কিনে ব্যবসা করা হয়।

এভাবে স্বর্ণ ব্যবসা বৈধ নাকি অবৈধ, এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, স্বর্ণ ব্যবসা বৈধ। যদি বৈধ না হয়, তাহলে আমরা সরকারকে কীভাবে ভ্যাট দেই। এ ছাড়া সরকার কখনো বলেনি স্থানীয় ব্যবসায়ী বা প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয় আসা স্বর্ণ কেনা যাবে না। আগামীতে সরকার যেভাবে নীতিমালা দেবে, আমরা সেভাবেই ব্যবসা করব।

সম্প্রতি আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শাখা থেকে যে ২৫০ কোটি টাকার সোনা জব্দ করা হয়েছে, তা অবৈধ বলে জানিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাজুস সদস্যরা আরো বলেন, আপন জুয়েলার্সের স্বর্ণ বৈধ নাকি অবৈধ তা সর্বোচ্চ আদালত নির্ধারণ করবেন।

আপন জুয়েলার্সের মালিকও জাসুজের সদস্য, তিনি অবৈধভাবে স্বর্ণ এনে ব্যবসা করছেন এটি আদালতে প্রমাণিত হলে আপনারা কী ব্যবস্থা নেবেন? জানতে চাইলে তারা আরো বলেন, সমিতির নীতিমালা অনুযায়ী সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় জুয়েলার্স সমিতির সদস্যরা জানান, সারা দেশে ১৭ হাজার নিবন্ধিত জুয়েলার্স রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রায় ২৮ লাখ মানুষ সম্পৃক্ত। কাজেই তাদের হয়রানি করলে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাজুসের সভাপতি গঙ্গা চরণ মালাকার, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালসহ সমিতির অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ মে ২০১৭/নাসির/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়