ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

১১ ইউপি নির্বাচনের প্রচারণা তুঙ্গে

মো. মনিরুল ইসলাম টিটো || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ২৬ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১১ ইউপি নির্বাচনের প্রচারণা তুঙ্গে

ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের প্রচারণা জমে উঠেছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে প্রচার। প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে যাচ্ছেন।

আগামী বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে সেখানে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। প্রতিটি এলাকার অলিতে-গলিতে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পোস্টার ঝুলছে।

বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই জমে উঠছে নির্বাচনের প্রচারণা। প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।

নারী ভোটারদের গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন প্রার্থীরা। উঠান বৈঠকসহ নির্বাচনী বিভিন্ন কর্মসূচিতে নারীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নৌকা আর ধানের শীষের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে জানিয়েছেন ভোটাররা। তবে কয়েকটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থীরাও আলোচনায় আসতে পারেন। 

নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় উত্তাপ বাড়ছে। স্বতন্ত্র ও বিএনপির প্রার্থীরা তাদের কর্মীদের হয়রানি করার অভিযোগ তুলেছেন অন্য প্রার্থীদের বিরুদ্ধে।  ডিক্রিরচর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান মিন্টু জানান, তার কর্মীদের স্বাধীনভাবে ভোট চাইতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ভোটারদের মধ্যে তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

যদিও নির্বাচনে প্রতিপক্ষের কর্মী-সমর্থকদের হুমকি-ধামকির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা। তাদের দাবি, তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই এই ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। তারা মনে করেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে। কানাইপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ফকির মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, কোথাও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে প্রচারণায় বাধা দেওযা হচ্ছে না। নির্বাচনে নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে অবান্তর অভিযোগ তুলছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।

তবে ভোটাররা সচেতন রয়েছেন।  মিষ্ট কথায় ভুলে নয়, ভোট দিতে চান যোগ্য প্রার্থী দেখে। কানাইপুর, আলীয়াবাদ, নর্থচ্যানেল ও ডিক্রিরচর এলাকার কয়েকজন ভোটার জানান, যে ব্যক্তি মানুষের পাশে থেকে সেবা নিশ্চিত করতে পারবেন, এমন প্রার্থী দেখে ভোট দেবেন।

জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মো. হাবিবুর রহমান জানান, ২৯ মার্চ ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১১টি ইউনিয়নে মোট ১০১টি ভোটকেন্দ্র থাকবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৭ জন, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর ১১৩ জন এবং সাধারণ মেম্বর পদে ৩২৭ জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। প্রতিটি কেন্দ্র ২০ জন করে পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর সদস্য থাকবে। প্রতিটি ইউনিয়নে বিজিবি ও র‌্যাবের পাশাপশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে থাকবে।

সদর উপজেলার আলিয়াবাদ, ডিক্রিরচর, নর্থচ্যানেল, চরমাদবদিয়া, আম্বিকাপুর, কৃঞ্চনগর, ইশান গোপালপুর, মাচ্চচর, কানাইপুর, কৈজুরী এবং গেরদা ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে মোট ভোটার ২ লাখ ৯০৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২ হাজার ২৫৬ জন এবং মহিলা ভোটার ৯৮ হাজার ৬৪৭ জন।



রাইজিংবিডি/ফরিদপুর/২৬ মার্চ ২০১৮/মো. মনিরুল ইসলাম টিটো/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়