ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

‘২০১৬ সালে কোনো যাত্রীবাহী নৌযান ডোবেনি’

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫৬, ২১ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘২০১৬ সালে কোনো যাত্রীবাহী নৌযান ডোবেনি’

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত বছর ২০১৬ সালে দেশে কোনো যাত্রীবাহী নৌযান ডোবেনি বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।

তিনি বলেন, সব প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আগের চেয়ে নৌপথ এখনও সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। আগের তুলনায় নৌ দুর্ঘটনা কমে এসেছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিশেষ করে নৌযান মালিক, শ্রমিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা, বিআইডব্লিউটিএ, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড কর্মকর্তাদের কার্যকরি পদক্ষেপ এবং জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে ২০১৬ সালে কোনো যাত্রীবাহী নৌযান ডোবেনি।

রোববার মন্ত্রী শিশু একাডেমি মিলনায়তনে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০১৭ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নূর-ই-আলম চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ড. প্রকৌশলী জ্ঞান রঞ্জন শীল, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার সভাপতি মাহবুবউদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম, বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া টিপু, বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল হক, শ্রমিক নেতা শাহ আলম ও মো. জাহাঙ্গীর আলম বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, নৌ দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে জনসচেতনতা গড়ে তোলা হয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে কেউ যাতে লঞ্চে ভ্রমণ না করতে পারে সে বিষয়ে সবাইকে আরো সচেতন হতে তিনি পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, আগে লঞ্চ তৈরি করে নৌপরিবহন অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিত। এতে করে নৌযানে অনেক ত্রুটি থেকে যেত। কিন্তু এখন তা আর সম্ভব নয়, এখন নৌযান তৈরির জন্য প্রথমেই নৌ অধিদপ্তর থেকে নকশা অনুমোদন করে নিতে হয়।

শাজাহান খান আরো বলেন, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৯০ ভাগ কাজ শেষ করতে পেরেছি। বাকি কাজ শিগগিরই সম্পন্ন করা হবে।

তিনি বলেন, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সার্ভেয়ার আছে মাত্র ৪ জন, আর নৌযান রয়েছে ১০ হাজারের বেশি। যা দিয়ে ঠিকমত নৌযান সার্ভে করা সম্ভব নয়।

মন্ত্রী বলেন, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের জন্য নতুন ২১টি সার্ভেয়ার, ৫৪টি ইন্সপেক্টর, ১০টি পরীক্ষক, সম্পূর্ণ নতুন করে ৬টি নেভাল আর্কিটেক্ট, সার্ভে অফিস ৯টি, ইন্সপেক্টর অফিস ১০টি, মেরিন কোর্ট একটি এবং দুটি ম্যাজিস্ট্রেটের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এগুলোর বাস্তবায়ন হলে নৌ সেক্টরে সুশৃংখলা ফিরে আসবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে নৌপরিবহন অধিদপ্তরে ৪টি সার্ভেয়ার, ৭টি ইন্সপেক্টর, ২টি পরীক্ষক, ৪টি সার্ভে অফিস, ৭টি ইন্সপেক্টর অফিস, একটি মেরিন কোর্ট এবং দুজন ম্যজিস্ট্রেট রয়েছে।

রোববার থেকে ২৭ মে পর্যন্ত দেশব্যাপী ৯ম বারের মতো ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ’ পালন করা হচ্ছে। এ বছরের নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহের মূল প্রতিপদ্য হচ্ছে ‘দেশ যাবে এগিয়ে যাত্রা হোক নিরাপদ, নৌআইন মানব মোরা এটাই হোক অঙ্গীকার’।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ মে ২০১৭/হাসান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ