ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

২৩৬৭ গেরিলার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বহাল

মেহেদী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ৩ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
২৩৬৭ গেরিলার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি, ছাত্র ইউনিয়ন সদস্যদের নিয়ে গঠিত বিশেষ গেরিলা বাহিনীর ২ হাজার ৩৬৭ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি  দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

 

মঙ্গলবার হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

 

আদালতে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধরী, আইনজীবী তবারক হোসেন, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার উর্মি রহমান।

 

এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর বিশেষ গেরিলা বাহিনীর ২ হাজার ৩৬৭ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

 

বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। পরে এই রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।

 

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

 

আজ মঙ্গলবার আপিল বিভাগ শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।

 

আইনজীবী তবারক হোসেন বলেন, তিনটি সংগঠনের সদস্যেদের নিয়ে গঠিত ২ হাজার ৩৬৭ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাদের সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান ও যথাযথ সম্মান প্রদানের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।

 

২০১৩ সালের ২৪ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিশেষ গেরিলা বাহিনীর ২৩৬৭ জন মুক্তিযোদ্ধাকে স্বীকৃতি দেয় তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। তবে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর ওই প্রজ্ঞাপনকে ত্রুটিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে তা বাতিল করে আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রণালয়।

 

নতুন এই প্রজ্ঞাপন জারির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ঐক্য ন্যাপের সভাপতি ও বিশেষ গেরিলা বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার পঙ্কজ ভট্টাচার্য ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর রিট দায়ের করেন। সেই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট নতুন প্রজ্ঞাপনটি স্থগিত করে রুল জারি করেন। রুলে নতুন প্রজ্ঞাপনটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। সরকার, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

 

সেই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর রায় দেন আদালদত।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ জানুয়ারি ২০১৭/মেহেদী/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়