ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

এই বাংলায় দুর্গাপূজা

রিদওয়ান আক্রাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ৪ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এই বাংলায় দুর্গাপূজা

ইউরোপীয়দের সম্মানার্থে কলকাতায় দুর্গাপূজায় নাচ-গানের আয়োজন করা হতো। উইলিয়াম প্রিন্সেপ, ১৮৩০-৪০ সালে আঁকা

দুর্গাপূজার সূচনা হয়েছিল ঠিক কবে থেকে এ নিয়ে আছে বিভিন্ন জনের  বিভিন্ন মত। তবে এটা ঠিক, দুর্গাপূজার প্রাচীনত্ব নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই। হয়তো প্রাচীনকালে যে দুর্গাপূজা হতো তার প্রকৃতি ও রূপ ছিল ভিন্ন, কিন্তু বাংলাদেশে যে দুর্গাপূজা হয় তা একান্তই বাঙালি সংস্কৃতির অংশবিশেষ। বাংলায় দুর্গাপূজা কবে চালু হয়েছিল সে বিষয়ে গবেষক ও পণ্ডিত ব্যক্তিরা মোটামুটিভাবে একটি মতে পৌঁছেছেন। সম্রাট আকবরের শাসনামলে (ষোড়শ শতকে) বাংলার দেওয়ান হন রাজশাহী জেলার তাহিরপুরের সামন্ত রাজা কংস নারায়ণ। এতো বড় এক পদ পাওয়ার আনন্দে রাজা চাইলেন সেই পৌরাণিক যুগের মতো  মহাযজ্ঞ করতে। রাজার পুরোহিত বাসুদেবপুরের ভট্টাচার্য বংশের রমেশ শাস্ত্রী জানালেন, বিশ্বজিৎ, রাজসূর্য, অশ্বমেধ ও গোমেধ- এই চার রকমের যজ্ঞ করার নিয়ম আছে। কিন্তু রাজার জন্য এই চার যজ্ঞের কোনোটাই করা সম্ভবপর নয়। তাহলে উপায়?

পুরোহিত রাজাকে অভয় দিয়ে বললেন, যজ্ঞের বদলে দুর্গাপূজা করুন। রাজা খুশি মনে দুর্গাপূজার আয়োজন করলেন। সেকালে এই পূজার জন্য খরচ হয়েছিল আট থেকে নয় লাখ টাকা। সেই হলো দুর্গাপূজার শুরু। দুর্গাপূজা তিন প্রকার। ‘সাত্ত্বিক’ (জপ, যজ্ঞ, নিরামিষ ভোগ দিয়ে করা হয় যে পূজা), ‘তামসিক’ (কিরাতদের জন্য বিহিত। এতে জপ, যজ্ঞ ও মন্ত্র নেই) এবং ‘রাজসিক’ (পশুবলি ও আমিষ ভোগ দিয়ে এই পূজা করা হয়)। অতীতে দুর্গাপূজার সময় মেষ, ছাগ, মহিষ, হরিণ, শূকর, গণ্ডার, বাঘ, গোসাপ, কচ্ছপ বা পাখি বলি দেয়া হতো। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে নরবলিরও নিয়ম আছে। তবে এখন স্বাভাবিকভাবেই বলির প্রচলন নেই বললেই চলে।

মোগলরা যখন ঢাকা এলো বাংলার রাজধানী স্থাপন করতে, তখনও আমরা দেখি এখানে দুর্গাপূজা হতো। গল্প না কি ইতিহাস? নিশ্চিত হওয়ার আজ আর কোনো উপায় নেই। গল্পটির সঙ্গে আবার জড়িয়ে আছে ঢাকার পরিধি নির্ণয়ের এক মজার আখ্যান। ১৬১০ সাল। ঢাকায় এসে নামলেন মোগল বাংলার সুবেদার ইসলাম খান। বুড়িগঙ্গার তীরে নেমে দেখতে পেলেন দুর্গাপূজা হচ্ছে। ঢাকীরা ঢাক বাজাচ্ছে। এই ঢাক বাজানোর শব্দ শুনে সুবেদারের মাথায় এক বুদ্ধি এলো- ঢাকের শব্দ দিয়েই না হয় সুবা বাংলার নতুন রাজধানী ঢাকার আয়তন ঠিক করা যাক। যেই ভাবা সেই কাজ। শহরের তিন দিকে ঢাকীদের ঢাক বাজাতে বাজাতে যেতে বললেন। ঢাকের আওয়াজ যতদূর শোনা যাবে ঠিক তত দূরত্ব পর্যন্তই হবে ঢাকা শহরের পরিধি।

উনিশ শতকের শেষের দিকে কলকাতায় দুর্গা পূজার আলোকচিত্র

গেই বলেছি ঘটনা কতটুকু সত্য এ ব্যাপারে ইতিহাস জোর গলায় কিছু বলে না। তবে এটা ঠিক- একসময় দুর্গাপূজা ঢাকায় হতো, সারা বাংলাতেই হতো। তাই বলে দুর্গাপূজা কিন্তু তখনই বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। এর একটা কারণ হতে পারে এ পূজার সঙ্গে বেশ অর্থ-কড়ি খরচের একটা বিষয় ছিল। ধনী ছাড়া এই পূজার আয়োজন করাটা সবার সামর্থ্য ছিল না বললেই চলে। মোদ্দাকথা দুর্গাপূজা জনপ্রিয় আর সর্বজনীন হয়ে ওঠার জন্য উনিশ শতক পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল। বিশেষ করে বললে সেই শতকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। তৎকালীন ভারতের শাসক ইংরেজদের রাজধানী কলকাতা তখন বেশ জাঁকজমকপূর্ণ। তাদের শাসনযন্ত্রের অন্যতম সহকারী হিসেবে হিন্দুদের কাছে টাকাকড়িও ছিল বেশ। ফলে দুর্গাপূজায় অন্যান্য উৎসবের মতো জৌলুসও যুক্ত হয়। সঙ্গে নিজস্ব মান-মর্যাদা আভিজাত্য প্রর্দশনের একটা বড় সুযোগ হয়ে ওঠে এই পূজা। এই আনন্দোৎসবে হিন্দুরা বেশ ঘটা করেই আমন্ত্রণ জানাতেন শাসকগোষ্ঠী ইংরেজদের। ফলে উৎসবের ব্যাপকতা আর জাঁকজমকতাও বৃদ্ধি পেতে থাকে বহুগুণে।

উৎসব শুরু হওয়ার প্রায় তিনশ বছর আগে যে ইংরেজরা ছিল হিন্দুদের উৎসবে অগ্রহণযোগ্য, ভারতবর্ষের শাসনব্যবস্থা আর শাসকের পরিবর্তনের ফলে তারাই হয়ে ওঠে আদরণীয়। এছাড়াও দুর্গাপূজা করার ক্ষেত্রে উচ্চ এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির হিন্দুদের সঙ্গে যোগ হলেন জমিদাররাও। সবকিছু মিলিয়ে বলা চলে দুর্গাপূজার উৎসবের ব্যাপকতা দিনকে দিন বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং তারই ধারাবাহিকতায় এর রেশ ছড়িয়ে পড়ে এই বাংলাতেও। বাংলাদেশের যে সমস্ত ভূ-স্বামী জমিদাররা বাস করতেন কলকাতায় তারাও চাইলেন নিজ নিজ জমিদারি এলাকাতে এ ধরনের উৎসব চালু করতে। এখানেও বলা চলে, ধর্মীয় অনুভূতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল নিজস্ব প্রভাব প্রতিপত্তি দেখানোর বিষয়টি। নিজেদের জমিদারীর শৌর্ষ-বীর্য প্রজাদের কাছে দেখানোর একটা চেষ্টা! সেসব জমিদারের সঙ্গে আরো যুক্ত হয়েছিল স্থানীয় ম্যধবিত্ত এবং ধনাঢ্য ব্যক্তি। ফলে তাঁদের যৌথ প্রচেষ্টায় উৎসব হিসেবে পূর্ববঙ্গে দুর্গাপূজা এক ধরনের প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায়। আগেই বলা হয়েছে এসব পূজায় কাড়ি কাড়ি টাকা ঢালতে কুণ্ঠা বোধ করতেন না ধনীরা। অনেক সময় তা অপচয়ের দিকেও চলে যেত। উচ্চবিত্তদের অর্থের অপচয় হলেও পল্লীসমাজের একঘেয়ে জীবনে বাৎসরিক এ পূজা জনগণের মনে নিয়ে আসতো অশেষ আনন্দের বারতা। উৎসবের কয়েকটা দিন লোকজন মেতো থাকতো অপার আনন্দে। এ উপলক্ষে আয়োজন করা হতো ভোগ, যাত্রা, থিয়েটার, সংকীর্তন, কবিগান, ঢপকীর্তন প্রভৃতি। অনেক সময় বিজয়ার দিনে বের হতো হাতির মিছিল।

এই আনন্দের মাত্রার রেশ ছড়িয়ে পড়তো সর্বত্র। এমনকি খবরের কাগজগুলো পর্যন্ত দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যেতো। ১৯০২ সালে ঢাকার প্রভাবশালী বাংলা পত্রিকা ‘ঢাকা প্রকাশ’ থেকে সেই রকমই জানা যায়: ‘শারদীয় পূজা উপলক্ষে আগামী সপ্তাহ হইতে চার সপ্তাহের নিমিত্ত ঢাকা প্রকাশ বন্ধ থাকিবে। গ্রাহক, অনুগ্রাহক এবং পৃষ্ঠপোষকবর্গের যথাযোগ্য অভিবাদন ও সাদর সম্ভাষণ করিয়া আমরা অবকাশ গ্রহণ করিতেছি। মা সর্ব্বমঙ্গলী সকলের মঙ্গল বিধান করুন।’ তবে বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটিতে পাওয়া যেত তিন দিন পর্যন্ত বন্ধ।

পাটনা রীতিতে আঁকা ১৮০৯ সালের দুর্গাপূজা

এই ফাঁকে কথা বলা যেতে পারে দুর্গাপূজার প্রতিমার কথা। দুর্গাপূজার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হচ্ছে মা দুর্গা, তাঁর সন্তান এবং অসুরের মূর্তি। পূজায় এইসব দেব-দেবীদের মূর্তি থাকতেই হবে। না হলে কিসের পূজা? আর এসব মূর্তির ধরন শুরুর সময় থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় একরকমই আছে। প্রতিমায় সূক্ষ্ম কাজের উপর সাধারণত এর নিমার্ণের সময় নির্ভর করে। আর দুর্গাপূজার প্রতিমা নিমার্ণ কাজ ধীরে সুস্থে শুরু হয় রথযাত্রার পর থেকে। আর এই কাজ বংশ পরাম্পরা ধরে করে আসছেন পালবংশীয় কুমারেরা। তাঁরা মূর্তি নির্মাণে ব্যবহার করেন মাটি, খড়, বাঁশ, কাঠ প্রভৃতি। প্রথমে খড়, বাঁশ , কাঠ দিয়ে মূর্তির ছাঁচ তৈরি করে নিয়ে মাটি দিয়ে দেয়া হয় প্রলেপ। আর মূর্তি নির্মাণের জন্য সাধারণত এটেল, বেলে, দো-আঁশ মাটি ব্যবহার করা হয়। বুড়িগঙ্গার মাটি এখন ব্যবহারের অনুপোযোগী হওয়ায় ঢাকার কুমোরেরা সাধারণত সাভার, বিক্রমপুর, নারায়ণগঞ্জের মতো এলাকা থেকে প্রয়োজনীয় মাটি সংগ্রহ করেন। মাটি শুকিয়ে গেলে কুমোর তাঁর মুন্সিয়ানা দিয়ে প্রতিমাটিকে প্রায় জীবন্ত করে তোলেন। আগের দিনে প্রতিমা রং করার জন্য মূর্তি নির্মাতারা নির্ভর করতেন প্রাকৃতিক উৎসের ওপরে। খড়িমাটি ঘষে ঘষে বের করা গুঁড়া রঙের সঙ্গে পানি মিশিয়ে তৈরি করা হতো আসল রং। আর মূর্তিতে রং লাগানোর জন্য ব্যবহার করা হকেতা তুলি আর কাপড়। কিন্তু আধুনিক জামানায় কুমোররা এসবের পরিবর্তে ব্যবহার করেন প্লাস্টিক পেইন্ট, ব্রাশ এমনকি স্প্রে মেশিন পর্যন্ত। এবার আসা যাক প্রতিমার নির্মাণ ব্যয়ের দিকে। ১৮১৬ সালের দিকে একটি প্রতিমা বানাতে খরচ পড়তো ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। আর এখন সেই খরচ দাড়িয়েছে ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত।

আবার ফিরে আসি বাংলায় দুর্গাপূজার প্রসারের বিষয়ে। এটা ঠিক বাংলায় দুর্গাপূজা শুরু হলেও আপামর হিন্দুদের কাছে এটি বৃহত্তর পূজা হয়ে ওঠেনি। উনিশ শতকের মধ্যভাগে বিভিন্নজনের আত্মজীবনীতে এ পূজার তেমন একটা বর্ণনাও পাওয়া যায় না। সে হিসেবে বলা যায়, তখনো এটি হিন্দুদের প্রধান উৎসবে পরিণত হতে পারেনি। পূর্ববঙ্গের জন্য তো এ কথা আরো প্রবলভাবে খাটে। পূর্ববঙ্গের প্রধান শহর বা রাজধানী ঢাকাতে দুর্গাপূজার কথা তো শোনাই যায় না। ঢাকার সিভিল সার্জন জেমস টেলর সেই ১৮৩৯ সালে লেখা তাঁর ‘ট্রপোগ্রাফি অব ঢাকা’ বইতে ঢাকার প্রধান ধর্মীয় উৎসব হিসেবে-‘মহররম’, ‘বেরা’ এবং  ‘বৈষ্ণ’ উৎসবের কথা বললেও দুর্গাপূজার ব্যাপারে ছিলেন নিশ্চুপ। তাঁর সঙ্গে সুর মিলিয়ে ঢাকার বাসিন্দা হৃদয়নাথ মজুমদার উনিশ শতকের সত্তর দশকেও দুর্গাপূজার ব্যাপারে কিছু বলেননি। বরং বলেছেন ‘হোলি’, ‘ঝুলন’, ‘মহররম’-এর মতো ধর্মীয় উৎসবের কথা। আর দুর্গাপূজা তখনো ঢাকার প্রধান ধর্মীয় উৎসব না হয়ে ওঠার কারণ হিসেবে বলেছেন, ‘ঢাকা মূলত বৈষ্ণব শহর।’ আর এ ধারাটি  বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকেও বজায় ছিল। সেসময়কার কথা স্মরণ করে প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ভবতোষ দত্ত তাঁর ‘আট দশক’ বইতে লিখেছেন, ‘ঢাকার মতো বৈষ্ণব প্রধান শহরে সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা নয়। আসল উৎসব ছিল ঝুলন আর জন্মাষ্টমী। শহরে অনেক মন্দির ছিল, সেগুলো ঝুলনের সময়ে উৎসবের সাজে সাজানো হতো।’ তবে তাই বলে যে ঢাকাতে দুর্গাপূজা একদমই হতো না তা কিন্তু নয়। ভবতোষ বাবু আরো লিখেছেন, ‘বারোয়ারি দুর্গাপূজার প্রচলন তখনো হয়নি- অন্তত ঢাকাতে। পূজা দেখতে যেতাম সূত্রাপুরের ঢাকার বাবু নন্দলালের বাড়িতে যেখানে দোতালা প্রমাণ বড় প্রতিমা হতো। সবচেয়ে বেশি যেতাম টিকাটুলি ছাড়িয়ে রামকৃষ্ণ মিশনের পূজোয়। আমরা সবাই মিলে কাজ করতাম। ভিড় সামলানো থেকে দর্শনার্থীদের জুতোর খবরদারি করা পর্যন্ত। সন্ন্যাসীরা কীর্তন করতেন: আমরাও তাতে যোগ দিতাম।’

১৯৪৬ সালে নোয়াখালিতে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর ধনাঢ্য হিন্দু পরিবারগুলো এদেশ ত্যাগ করে। এরপর থেকে এখানে একক ও পারিবারিকভাবে দুর্গাপূজা করাটা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষভাবে বললে, জমিদারী প্রথা উঠে গেলে বন্ধ হয়ে যায় দুর্গাপূজায় জমিদারদের একক পৃষ্ঠপোষকতা। ফলে চাঁদা তুলে সার্বজনীন বা বারোয়ারি পূজা আয়োজনের সূচনা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঢাকায় ঢাকেশ্বরী মন্দির ঘিরে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশ দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি। ঢাকার প্রাচীনতম এই মন্দিরে প্রতি বছর মহাসমারোহে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়। পূজার সময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা, সাংসদ ও বিখ্যাত ব্যক্তিরা এই মন্দির পরিদর্শনে আসেন। অন্যদিকে সারা দেশে প্রায় ত্রিশ হাজার মন্দিরে দুর্গাপূজা হয়ে থাকে। পূজা উপলক্ষ্যে গরীবদের মাঝে খাবার ও পোশাক বিলানো হয়ে থাকে। ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশন মন্দিরে অষ্টমীর দিনে আট-নয় বছরের কুমারী মেয়েকে দুর্গা সাজিয়ে কুমারী পূজা করা হয়। দশমীর দিনটি বাংলাদেশে সরকারি ছুটি। এই দিনের সকাল থেকে চলে দেবীকে বিসর্জন দেবার আয়োজন। নগর ভ্রমণ শেষে ভক্তরা বিকেলে প্রতিমা কাছের কোনো নদী, পুকুর, খালে বিসর্জন দেন। ঢাকার অধিকাংশ প্রতিমা বুড়িগঙ্গা নদীতে বিসর্জন দেয়া হয়। এই বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় শারদীয় দুর্গাপূজা।  

 

তথ্য সূত্র

ভবতোষ দত্ত, আট দশক, কলকাতা ১৯৮৮
মনুতাসীর মামুন,হৃদয়নাথের ঢাকা শহর, ঢাকা, ১৯৮৫
জেমস টেলর, কোম্পানি আমলে ঢাকা, ঢাকা
সংকলক : পরাগ আজিম, ১০০ বছর আগে ঢাকা প্রকাশ, ঢাকা, ২০০৫
ঢাকার একজন প্রতিমা নির্মাতার সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার, ২০০৫
বাংলাপিডিয়া

 

ঢাকা/তারা              

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়