ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

দেশব্যাপী ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’

রুহুল আমিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৩০, ২৫ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দেশব্যাপী ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’

ডেস্ক রিপোর্ট : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি উদযাপনে দেশব্যাপী আয়োজিত হয়েছে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। রাইজিংবিডির প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো সংবাদ-

শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাগেরহাট শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়াম থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মোজাম্মেল হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশাসহ আরো অনেকে অংশ নেন।

 



বরিশালে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর স্থায়ী ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর নগরীতে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কর্মসূচির শুরুতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, পুলিশ কমিশনার মো. রুহুল আমিন, পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম।

গোপালগঞ্জে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য দান করা হয়। পরে সেখান থেকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকারের নেতৃত্বে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় পৌর পার্কে এসে শেষ হয়। সেখানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দীন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনসহ জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

 



পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মুখে ‘দূর্জয় পাবনা’ স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসনসহ সরকারি বেসরকারি সর্বস্তরের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে পাবনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সুধীজনেরা ভিন্ন ভিন্ন ব্যানার নিয়ে অংশ নেন।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা স্কুল বড় মাঠে গিয়ে শেষ হয়। আনন্দ শোভাযাত্রায় জেলা পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিশু-কিশোর, ক্রীড়া সংগঠক ও খ্যাতিমান ক্রীড়াবিদ, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠক, শিল্পকলা একাডেমি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, এনজিও, স্কাউটস ও রোভারের সদস্যরা অংশ নেয়।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন চত্বর থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের শহীদ ড. সামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

 



এর আগে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন চত্বরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ, জেলা জজ মো. গাজী রহমান, পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গোলাম রসুল, পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বশির আহম্মেদসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

ময়মনসিংহে বেলুন উড়িয়ে জেলা প্রশাসন আয়োজিত বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। শোভাযাত্রাটি সার্কিট হাউজ মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রেলওয়ে চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন, ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, জেলা প্রশাসক খলিলুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠানসহ বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তা, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শ্রেণি পেশা ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও রাজনৈতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেন।

 


বিভাগীয় শহর খুলনায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর আগে বেলা ১১টায় নগরীর শিববাড়ী মোড় থেকে শহীদ হাদিস পার্ক পর্যন্ত ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ বের করা হয়। 

খুলনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রায় খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক এমপি, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান এমপি, খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন, ডিআইজি অফিস, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ সব পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়।

এ সময় তাদের হাতে ছিল নিজ নিজ দপ্তর এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লাকার্ড। শোভাযাত্রার সম্মুখভাগে ছিল বিভিন্ন ব্যান্ড পার্টির সুসজ্জিত বাদক দল।

শোভাযাত্রা শেষে সকাল ১১টায় নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক এমপি।  

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ নভেম্বর ২০১৭/রুহুল/এনএ/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়