ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘পলিথিন বন্ধে কাজ করছে সরকার’

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৩, ৩১ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘পলিথিন বন্ধে কাজ করছে সরকার’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় সরকার পলিথিন বন্ধে কাজ করছে। সারাদেশে গত ছয় মাসে পরিবেশ অধিদফতর ১২২টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১২৬ টন পলিথিন জব্দ ও ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। ঢাকা শহরের চারপাশের ৬৫ ভাগ ইটভাটা যুগোপযোগী করা হয়েছে, যাতে বায়ুদূষণ না হয়। বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন বন্ধে সারাদেশে আটটি টাস্কফোর্স কাজ করছে। সব পলিথিন কারখানা বন্ধ করা সম্ভব নয়। আমরা পলিথিন নিষিদ্ধ করেছি। তবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে পলিথিন ব্যবহারের সুযোগ আছে। সব পলিথিনই তো সমস্যা তৈরি করে না। সরকারের নীতিমালার আওতায় যেসব পলিথিন নিষিদ্ধ, সেগুলোর উৎপাদন বন্ধ করে দেবো। আর যেগুলো তৈরির পক্ষে আইন আছে, সেগুলো তৈরি করতে পারবে। যা নিষিদ্ধ নয়, তা তো বন্ধ করতে পারবো না। তবে পলিথিনের ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, পাট দিয়ে আমরা বিকল্প ব্যাগ তৈরি করছি। পাটের ব্যাগ ব্যবহারে মানুষকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। পলিথিনের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে আগামী ৪ আগস্ট কারওয়ানবাজারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়রকে নিয়ে একটি সচেতনতামূলক সভা করা হবে। পর্যায়ক্রমে আমরা এ ধরনের আরও সভা করবো।

মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, সরকার বায়ুদূষণ রোধে পরিকল্পনা নিয়েছে। বায়ুর মান নির্ণয়ে ঢাকাসহ সারাদেশে ১৬টি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। বায়ুর মান উন্নয়নের জন্যও পরিকল্পনা রয়েছে। শতকরা ৫৮ ভাগ বায়ুদূষণ হয় ইটভাটার জন্য, বিশেষ করে ঢাকা সিটির আশপাশের ইটভাটা বায়ুদুষণের অন্যতম প্রধান কারণ। এগুলো বন্ধের জন্য পরিকল্পনা ও আইন করা হয়েছে।

যানবাহনের হাইড্রোলিক হর্ন শব্দ দূষণের বড় কারণ :

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেন, যানবাহনের হাইড্রোলিক হর্ন শব্দদূষণের একটি বড় কারণ। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে হাইড্রোলিক হর্ন আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারপরও এটা বন্ধ হচ্ছে না। তবে, আমরা চেষ্টা করছি। এটি মানুষের মানসিকতারও বিষয়। বাইরের দেশে কেউ হর্ন বাজালে অন্যরা প্রতিবাদ করে। মানুষ সচেতন হলে এটা থাকবে না, শব্দদূষণও কমে যাবে। রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিনা জানতে চাইলে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে এখনও পর্যন্ত সেখানে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু হয়নি। বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে পরিবেশ ও সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না। সব বুঝেশুনেই প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় রাখতে যেসব শর্ত দেয়া হয়েছে, সেগুলোও আমরা বাস্তবায়নে সক্ষম।

পরিবেশ সুরক্ষায় আগামী বছর সারাদেশে এক কোটি গাছ লাগানো হবে বলেও জানান তিনি।

এসময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরীসহ উর্ধতনরা উপস্থিত ছিলেন। সচিব বলেন, বায়ুদূষণ রোধে কোনো আইন নেই। একটি আইনের খসড়া তৈরি হয়েছে। সেটি পাস হলে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিবেশের সুরক্ষায় আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পর পশুর বর্জ্য ভালোভাবে পরিষ্কার করতে সবার প্রতি আহবান জানান তিনি।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩১জুলাই ২০১৯/নঈমুদ্দীন/নবীন হোসেন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়