ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

প্রতীক বরাদ্দ আজ

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রতীক বরাদ্দ আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ আজ। আর এই প্রতীক নিয়ে আজ থেকেই প্রার্থীরা প্রচারণার কাজ শুরু করতে পারবেন।

নির্বাচনী আচরণ বিধি অনুযায়ী, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রচার কাজ শুরু করতে হবে। আর এই প্রচারণার কাজ বন্ধ করতে হবে ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার কাজ চালাতে পারবেন।

তিনি জানান, সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৮টায়। তাই প্রচারণা বন্ধ করতে হবে ২৮ ডিসেম্বর রাত ১২টায়।

ইসির দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীদের পোস্টার রঙ্গিন করা যাবে না। পোস্টারে প্রার্থী ছাড়া দলীয় প্রধানের ফটো ব্যবহার করা যাবে। যা দড়িতে ঝুলিয়ে প্রচার করতে হবে। ৪০০ বর্গফুট এলাকার বেশি বড় কোনো প্যান্ডেল করে প্রচার চালানো যাবে না। তবে কাপড়ের তৈরি ব্যানার করে প্রচার চালানো গেলেও ডিজিটাল ডিসপ্লে ব্যবহার করা যাবে না। জনসাধারণের চলাচলের অসুবিধা হয়, এমন কোনো কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবে হবে।

মাইকে প্রচার চালানো যাবে দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। পাশাপাশি একই নির্বাচনী এলাকাতে কোনো অবস্থাতেই তিনটির বেশি লাউড স্পিকার নয়। নির্বাচনী এলাকায় প্রতি ইউনিয়ন আর পৌর এলাকার ওয়ার্ড প্রতি নির্বাচনী ক্যাম্প করতে হবে একটি।

মোটরসাইকেলসহ যে কোনো মোটরগাড়িতে করে মিছিল, মশাল মিছিল বা শোভাযাত্রা একদম নিষিদ্ধ। বিদ্যুৎ ব্যবহার করে কোনো প্রকার আলোকসজ্জা করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতীক হিসেবে জীবন্ত কোনো প্রাণী ব্যবহার নিষিদ্ধ।

পোস্টারের সাইজ দৈর্ঘ্যে ৬০ সেন্টিমিটার ও প্রস্থে ৪৫ সেন্টিমিটার এবং ব্যানার কোনোভাবেই তিন মিটারের বেশি হবে না। প্রচারের অংশ হিসেবে যেকোনো প্রকার দেয়াল লিখন, পোস্টানো সাঁটানো দণ্ডনীয় অপরাধ।

প্রচারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপাসনালয় ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অন্য কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি সম্মানহানীকর কিছু করতে পারবে না। দেওয়া যাবে না কোনো উস্কানীমূলক ব্যক্তব্যও।

প্রচারণায় সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সব সুবিধা ত্যাগ করে প্রচার কাজে অংশ নিতে হবে। কোনো ডাক বাংলা ব্যবহার, সরকারি গাড়ি ব্যবহারসহ প্রটোকলও ছাড়তে হবে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ আইনে অনুমতি থাকায় নিরাপত্তার কারণে প্রটোকল পাবেন।

সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশনের মেয়রাও সুবিধাভোগের বাইরে থাকবেন। তবে সরকারি কাজে তারা সরকারি সুবিধা পারেন। কিন্তু সরকারি কাজে গিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন না।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ ডিসেম্বর ২০১৮/হাসিবুল/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়