ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

রশিদ-ম্যাজিকের পর মোসাদ্দেক-তাইজুলের লড়াই

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:০১, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রশিদ-ম্যাজিকের পর মোসাদ্দেক-তাইজুলের লড়াই

আবু হোসেন পরাগ: চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে আফগানিস্তানের থেকে ১৪৮ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।

রশিদ-ম্যাজিকের পর মোসাদ্দেক-তাইজুলের লড়াই

রশিদ খানের জাদুকরী বোলিংয়ে দেড়শর আগে ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে প্রতিরোধ গড়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন ও তাইজুল ইসলাম। দ্বিতীয় দিনের শেষ ১৫.৪ ওভারে কোনো বিপদ হতে দেননি এই দুজন। নবম উইকেটে ৪৮ রানের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন আছেন তারা। মোসাদ্দেক ৭৪ বলে ৪৪ ও তাইজুল ৫৫ বলে ১৪ রানে অপরাজিত আছেন। রশিদ ৪৭ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

দ্বিতীয় দিন শেষে

আফগানিস্তান ১ম ইনিংস: ১১৭ ওভারে ৩৪২ (ইব্রাহিম ২১, ইহসানউল্লাহ ৯, রহমত ১০২, হাশমতউল্লাহ ১৪, আসগর ৯২, নবী ০, আফসার ৪১, রশিদ ৫১, কাইস ৯, ইয়ামিন ০, জহির ০*; তাইজুল ৪/১১৬, সাকিব ২/৬৪, মিরাজ ১/৭৩, নাঈম ২/৪৩, মাহমুদউল্লাহ ১/৯, সৌম্য ০/২৬, মুমিনুল ০/৯, মোসাদ্দেক ০/১)

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৬৭ ওভারে ১৯৪/৮ (সাদমান ০, সৌম্য ১৭, লিটন ৩৩, মুমিনুল ৫২, সাকিব ১১, মুশফিক ০, মাহমুদউল্লাহ ৭, মোসাদ্দেক ৪৪*, মিরাজ ১১, তাইজুল ১৪*; ইয়ামিন ১/২১, নবী ২/৫৩, জহির ০/৪৬, রশিদ ৪/৪৭, কাইস ১/২২)।

আবার খেলা শুরু

বৃষ্টি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পাঁচ মিনিট পরই আবার শুরু হয়ে গেছে খেলা।

বৃষ্টির আগে রশিদে দিশেহারা বাংলাদেশ

বৃষ্টির কারণে বিকেল সোয়া চারটায় বন্ধ হয়ে গেছে খেলা। তার আগে রশিদ খানের স্পিনে এলোমেলো হয়ে গেছে বাংলাদেশের ব্যাটিং।

বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৫২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৪৬ রান। এখনো ১৯৬ রানে পিছিয়ে আছে স্বাগতিকরা। মোসাদ্দেক হোসেন ১৩ ও তাইজুল ইসলাম শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।

কাইসের শিকার মিরাজ

উইকেট শিকারের মিশনে যোগ দিলেন কাইস আহমেদও। তার শিকারে পরিণত হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সুইপ করতে গিয়ে শরীরের পেছন দিয়ে বোল্ড হন তিনি।

বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৮ উইকেটে ১৪৬ রান। মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।

ফলোঅন এড়াল বাংলাদেশ

যেভাবে একের পর এক উইকেট পড়ছিল, ফলোঅনের শঙ্কাটা পেয়ে বসেছিল ভালোভাবেই। মুমিনুল হক ফিফটি করে ফেরার পর মোসাদ্দেক হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে ফলোঅন এড়িয়েছে বাংলাদেশ।

৪৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৪৪ রান। আফগানিস্তানের থেকে এখনো ১৯৮ রানে পিছিয়ে আছে স্বাগতিকরা। মোসাদ্দেক ১২ ও মিরাজ ১০ রানে অপরাজিত আছেন।


ফিফটির পর আউট মুমিনুল

পাল্টা আক্রমণে ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন। তবে ফিফটির পর আর টিকলেন না মুমিনুল হক। তাকে ফিরিয়েছেন মোহাম্মদ নবী।

অফ স্পিনার নবী খানিকটা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন বলটা। মিড অনের ওপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মুমিনুল। কিন্তু ক্যাচ চলে যায় সেখানে দাঁড়ানো আসগর আফগানের হাতে।

৭১ বলে ৮ চারে ৫২ রান করেন মুমিনুল। তার বিদায়ের সময় ৪১ ওভার ৪ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৩০ রান। মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

পাল্টা আক্রমণে মুমিনুলের ফিফটি

ব্যক্তিগত ৪৩ থেকে রশিদ খানের এক ওভারে দুই চার হাঁকিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেছেন মুমিনুল হক। ৬৯ বলে ফিফটি করতে ৮টি চার মারেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।   

রশিদের শিকার মাহমুদউল্লাহও

মুমিনুল হক ও মাহমুদউল্লাহর প্রতিরোধের চেষ্টা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। রশিদ খানের চতুর্থ শিকার হয়ে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ।

লেগ স্পিনারের বলটা বেশ নিচু হয়ে এসেছিল। সময় মতো ব্যাট নামাতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। ভেঙে যায় স্টাম্প।

১৩ বলে একটি চারে মাহমুদউল্লাহ করেন ৭ রান। তখন ৩৮ ওভার ১ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১০৪ রান। মুমিনুল ৩৪ রানে অপরাজিত আছেন। নতুন ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন।


বাংলাদেশের একশ

৩৪ ওভার ৫ বল দলীয় শতরান পূর্ণ করেছে বাংলাদেশ। চা বিরতির পর বাংলাদেশকে বিপদ থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করছেন মুমিনুল হক ও মাহমুদউল্লাহ।

৩৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ঠিক ১০০ রান। মুমিনুল ৩২ ও মাহমুদউল্লাহ ৭ রানে অপরাজিত আছেন।

চা বিরতির আগে বিপদে বাংলাদেশ

চা বিরতির আগে রশিদ খানের একই ওভারে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। বিরতির সময় ৩৩ ওভারে ৮৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে স্বাগতিকরা। ২৭ রানে অপরাজিত আছেন মুমিনুল হক।

টিকলেন না মুশফিক

সাকিব আল হাসানের পর একই ওভারে মুশফিকুর রহিমকেও সাজঘরে ফিরিয়েছেন রশিদ খান। মুশফিক টিকেছেন মাত্র দুই বল।

লেগ স্পিনারের বলটা সোজা ব্যাটে ব্লক করেছিলেন মুশফিক। বল তার বুটের মাথায় লেগে ধুলো উড়িয়ে চলে যায় শর্ট লেগ ফিল্ডারের হাতে। সঙ্গে সঙ্গে উদযাপন শুরু করে দেন আফগান খেলোয়াড়রা।

আম্পায়ার অবশ্য আউট দেননি। তবে সফট সিগন্যাল ছিল আউট। টিভি রিপ্লে দেখে সেটা বদলানোর যথার্থ প্রমাণ পাননি থার্ড আম্পায়ার।


রশিদের শিকার সাকিব

আরো একটি উইকেট নিয়েছেন রশিদ খান। এবার আফগান অধিনায়কের শিকার বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান (১১)।

লেগ স্পিনারকে ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করেছিলেন সাকিব। বল তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে প্যাডে। এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু উইকেট তো বাঁচাতেই পারেননি, উল্টো নষ্ট হয়েছে একটি রিভিউ।

এসেই রশিদের উইকেট

প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই লিটন দাসকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান।

লেগ স্পিনারের বলের লেংথ বুঝতে ভুল করেছেন লিটন। শর্ট বল ভেবে খেলতে গিয়েছিলেন ব্যাকফুটে। বল তার ব্যাটের নিচ দিয়ে আঘাত করে স্টাম্পে।

৬৬ বলে ৩ চার ও একটি ছক্কায় লিটন করেন ৩৩ রান। তখন ২৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের রান ৫৪। মুমিনুল হকের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। 


নবীর শিকার সৌম্য

সৌম্য সরকারকে ফিরিয়ে ১৯ ওভার স্থায়ী ৩৮ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভেঙেছেন মোহাম্মদ নবী।

নিজের সহজাত ব্যাটিংয়ের সঙ্গে আপোষ করে এদিন মাটি কামড়ে উইকেটে পড়ে ছিলেন সৌম্য। যদিও খুব একটা স্বস্তিতে ছিলেন না। নবীর জোরের ওপরে করা বলটা খেলেছিলেন জায়গায় দাঁড়িয়ে। ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে তার প্যাডে। এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আম্পায়ার আঙুল তুলে দিতে দেরি করেননি। সৌম্যও ভাবেননি রিভিউ নেওয়ার কথা।

সৌম্য ৬৬ বলে ১৭ রান করে ফেরার সময় ১৯ ওভার ৪ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৮। ২১ রানে ব্যাটিং করা লিটন দাসের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মুমিনুল হক।

রিভিউ নিয়ে রক্ষা লিটনের

লাঞ্চের পর আরেকটি উইকেট হারাতে পারত বাংলাদেশ। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেছেন লিটন দাস।

টানা দুই মেডেনে বোলিং শুরু করা মোহাম্মদ নবীর তৃতীয় ওভারে লেংথ বল ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে গিয়েছিলেন লিটন। ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে তার প্যাডে। এলবিডব্লিউয়ের জোরালো আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার নাইজেল লং।

সৌম্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে লিটন নেন রিভিউ। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লেগ স্টাম্প মিস করে যেত। ১ রানে বেঁচে যান লিটন।

  


সাদমানকে হারিয়ে লাঞ্চে বাংলাদেশ

লাঞ্চ বিরতির আগে চার ওভার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যেই হারিয়েছে সাদমান ইসলামের উইকেট। বিরতির সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১ রান। লিটন দাস ১ ও সৌম্য সরকার শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।

চতুর্থ বলেই আউট সাদমান

ইনিংসের চতুর্থ বলেই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। শূন্য রানে ফিরে গেছেন সাদমান ইসলাম।

পেসার ইয়ামিন আহমাদজাইয়ের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়েছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ব্যাটের কানায় লেগে বল জমা হয় উইকেটকিপারের গ্লাভসে। সৌম্য সরকারের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন লিটন দাস।


৩৪২ রানে থামল আফগানিস্তান

রশিদ খানকে দারুণ এক ফিরতি ক্যাচে আউট করে আফগানিস্তানের ইনিংস গুটিয়ে দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৬১ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৫১ রান করেন রশিদ।

দ্বিতীয় দিনে বাকি ৫ উইকেটে আফগানিস্তান যোগ করতে পারে ৭১ রান। সব মিলিয়ে আফগানিস্তান অলআউট হয়েছে ৩৪২ রানে।

তাইজুল ইসলাম নিয়েছেন ৪ উইকেট। সাকিব আল হাসান ও নাঈম হাসান নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। একটি করে উইকেট মাহমুদউল্লাহ ও মিরাজের।


সংক্ষিপ্ত স্কোর

আফগানিস্তান: ১১৭ ওভারে ৩৪২ (ইব্রাহিম ২১, ইহসানউল্লাহ ৯, রহমত ১০২, হাশমতউল্লাহ ১৪, আসগর ৯২, নবী ০, আফসার ৪১, রশিদ ৫১, কাইস ৯, ইয়ামিন ০, জহির ০*; তাইজুল ৪/১১৬, সাকিব ২/৬৪, মিরাজ ১/৭৩, নাঈম ২/৪৩, মাহমুদউল্লাহ ১/৯, সৌম্য ০/২৬, মুমিনুল ০/৯, মোসাদ্দেক ০/১)

রশিদের আক্রমণাত্মক ফিফটি

টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ফিফটি করেছেন রশিদ খান। ঠিক ৫০ বলে ফিফটি করতে ২টি চারের সঙ্গে তিনটি ছক্কা হাঁকান আফগান অধিনায়ক। তাইজুল ইসলামকে দুবার ও সাকিব আল হাসানকে একবার ছক্কায় উড়ান তিনি।

 


সাকিবের দ্বিতীয় শিকার ইয়ামিন

কাইস আহমেদের পর ইয়ামিন আহমাদজাইকেও ফিরিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ উইকেটটা পেয়েছে রিভিউ নিয়ে।

বাঁহাতি স্পিনারকে ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। বল তার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে প্যাডে লেগে চলে যায় স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে। আম্পায়ার শুরুতে আউট না দিলেও সাকিব রিভিউ নিলে পাল্টে সিদ্ধান্ত।

তখন আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৩২৭ রান। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমেছেন জহির খান। রশিদ খান অপরাজিত আছেন ৩৬ রানে।

কাইসকে ফেরালেন সাকিব

ইনিংসে নিজের প্রথম উইকেট পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি স্পিনার ফিরিয়ে দিয়েছেন কাইস আহমেদকে।

সাকিবের ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে সামনে ঝুঁকে ডিফেন্স করতে গিয়েছিলেন কাইস। ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ যায় সিলি পয়েন্টে মুমিনুল হকের হাতে।

কাইস ৯ রানে ফেরার সময় আফগানিস্তানের সংগ্রহ ১০৯ ওভারে ৮ উইকেটে ৩২২। ৩২ রানে ব্যাটিং করা রশিদ খানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ইয়ামিন আহমাদজাই।


তাইজুলের আরেকটি উইকেট

আসগর আফগানের পর আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান আফসার জাজাইকেও সাজঘরে ফিরিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।

তাইজুলের বলটা ছিল দারুণ। লেগ-মিডলে পড়া বলে সামনে ঝুঁকে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন আফসার। টার্ন করে ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত করে অফ স্টাম্পে।

১১৫ বলে ৪ চার ও একটি ছক্কায় আফসার করেন ৪১ রান। তখন ১০৫ ওভার ২ বলে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৯৯ রান। রশিদ খানের সঙ্গী হয়েছেন কাইস আহমেদ।

তাইজুলের শিকার আসগর

আসগর আফগানকে ফিরিয়ে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন সাবেক আফগানিস্তান অধিনায়ক।

আগের দিন দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন আসগর। ভুলটা করলেন দ্বিতীয় দিনের শুরুতে। বাঁহাতি স্পিনারের ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে স্লগ সুইপ করেছিলেন। ব্যাটে লাগেনি ঠিকমতো। ক্যাচ উঠে যায় ওখানেই। সামনে এগিয়ে কিছুটা বাঁ দিকে এসে ক্যাচ নেন উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিম।

১৭৪ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংসটি সাজান আসগর। তার বিদায়ের সময় ঠিক ১০০ ওভারে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৭৮ রান। ৩৮ রানে ব্যাটিং করা আফসার জাজাইয়ের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন অধিনায়ক রশিদ খান।


প্রথম দিন আফগানিস্তানের

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম দিন লাঞ্চের আগে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে আফগানিস্তানকে বেশ চাপেই ফেলেছিল বাংলাদেশ। তবে চতুর্থ উইকেটে ১২০ রানের জুটিতে চাপটা উল্টো বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দেন রহমত শাহ ও আসগর আফগান। রহমত প্রথম আফগান ব্যাটসম্যান হিসেবে তুলে নেন টেস্ট সেঞ্চুরি।

শেষ সেশনের শুরুতে একই ওভারে দুই উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফিরিয়েছিলেন নাঈম হাসান। এরপর আফসার জাজাইকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে আবার হতাশ করেন আসগর। দুজন অবিচ্ছিন্ন ৭৪ রানের জুটিতে দিন শেষ করেন। আসগর ৮৮ ও আফসার ২৫ রান নিয়ে শুক্রবার সকাল দশটায় দ্বিতীয় দিন শুরু করেছেন।

প্রথম দিন শেষে

আফগানিস্তান: ৯৬ ওভারে ২৭১/৫ (ইব্রাহিম ২১, ইহসানউল্লাহ ৯, রহমত ১০২, হাশমতউল্লাহ ১৪, আসগর ৮৮*, নবী ০, আফসার ৩৫*; তাইজুল ২/৭৩, সাকিব ০/৫০, মিরাজ ০/৫৯, নাঈম ২/৪৩, মাহমুদউল্লাহ ১/৯, সৌম্য ০/২৬, মুমিনুল ০/৯, মোসাদ্দেক ০/১)।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়