ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মোনালিসার চোখ

শিহাব শাহরিয়ার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৬, ২০ অক্টোবর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মোনালিসার চোখ

শিহাব শাহরিয়ার: বইটির নামকরণই মনে করিয়ে দেয়, ফ্রান্সই হলো- ছবির দেশ, কবিতার দেশ’। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ভ্রমণ বিষয়ক এই বইটি অন্তত তিন বার পড়েছি, কিন্তু ভালো লাগা শেষ করতে পারিনি। আমার মনে হয়েছে ভ্রমণের ওপর বাংলা সাহিত্যে সর্বশ্রেষ্ঠ রচনা এটি। এতো সত্য, এতো তথ্য, এতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা, সত্যি আমি মুগ্ধ হয়েছি বইটি পাঠ করে! বার বার ভেবেছি, আমি শিল্প-সাহিত্যের ঐ দেশে যেতে কি পারবো কখনো? ভাবনায় ব্যাকুল হয়েছি, কখনো কি দেখতে পাবো মোনালিসার চোখ। ভাবনার অবসান হলো, আমি সত্যি সত্যি একদিন প্রবেশ করলাম ফরাসি দেশে। তারিখটি ছিল ২৫ আগস্ট ২০১৬।

ঢাকা থেকে জার্মানি যাবার সময়ই পরিকল্পনা করেছিলাম যে, বার্লিন থেকে প্যারিস যাবো। প্যারিসের ল্যুভ মিউজিয়াম আর আইফেল টাওয়ার- এই তো? না, এই দুটো নয়, আছে আরো অনেক কিছু। প্যারিসের পথে পথে হাঁটবো এবং দেখবো চোখ মেলে।

তখন অনেক রাত। কবি শামীম রেজাকে সঙ্গে নিয়ে বার্লিন থেকে ফ্লিক্স বাসে ছুটে চললাম প্যারিসের উদ্দেশ্যে। দীর্ঘ পথ। সারা রাত ধরে যেতে হবে। ভোর বেলা গিয়ে নামবো। বাংলাদেশের দুই নগন্য লেখক প্যারিস যাচ্ছি, থাকবো কোথায়? হোটেলে? সেটি সম্ভব নয়। প্যারিসে অসংখ্য বাঙালি থাকেন? এদের মধ্যে প্রথম নামটিই আসে পৃথিবীখ্যাত চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দীনের। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে আসিনি। তবে ঢাকা থেকেই কবি কামাল চৌধুরীর মাধ্যমে ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব শহীদুল ইসলাম ও ফ্রান্স প্রবাসী স্নেহভাজন কবি ও আবৃত্তিশিল্পী রবিশঙ্কর মৈত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে প্যারিসে থাকার ব্যবস্থা করেছি। রবি বলল, শিহাব ভাই, আমি ফ্রান্স থেকে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরের একটি শহর আলেসে থাকি। তবে প্যারিসে আপনাদের থাকা-খাওয়া ও ঘোরাঘুরি করার কোনো অসুবিধা হবে না। মাহমুদ দোলন নামে এক তাজা তরুণ থাকে, সে আপনাদের সব ব্যবস্থা করে দেবে। বার্লিন থেকে বের হবার সময় রাষ্ট্রদূতকে ফোন করলাম। তিনি বললেন, শিহাব বাস থেকে নামলেই আপনাকে রিসিভ করে আমাদের অফিসে নিয়ে আসবে দূতাবাসের লোক। তারপর আপনারা আমার সঙ্গে দুপুরে খাবেন। বললাম, বাহ্ চমৎকার! আরো দারুণ খবর, একইসঙ্গে বিক্রমপুরের সন্তান মাহমুদ দোলন ও তার বন্ধু চুয়াডাঙ্গার সন্তান মোয়াজ্জেম হোসেন তারাও আসবেন আমাদের রিসিভ করতে। এটুকু ভেবেই বসে বসে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিলাম, কারণ তখন গভীর রাত।

ঘুম ভাঙল যখন ভোরের ফর্সা আভা জানালা দিয়ে এসে চোখে লাগল। ইতোমধ্যে জার্মানি থেকে ফ্রান্সে ঢুকে পড়েছি এবং প্যারিসের কাছাকাছি চলে এসেছি। জানালা দিয়ে চোখ মেলে প্যারিসের সূর্যোদয় দেখছি আর ভাবছি, ফ্রান্স নামক পৃথিবীর একটি উন্নত দেশ নিয়ে। ভাবনার পাখা ছড়িয়ে দিলাম সুদূরে; ফ্রান্স হলো- ইউরোপ বা পশ্চিমা বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। এই গুরুত্ব ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবেও। আন্তর্জাতিকভাবেও এই ফরাসি প্রজাতন্ত্র ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে বিশেষ করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উপনিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে কৃতিত্ব দেখিয়ে। এখনো বিশ্বের দশটি দেশে প্রাক্তন ফরাসি সাম্রাজ্যের উপনিবেশ রয়েছে। ফ্রান্সকে ঘিরে আছে আটলান্টিক মহাসাগর, ভূমধ্যসাগর, আল্পস পর্বতমালা ও পিরেনিজ পর্বতমালা। ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক ও ভাষিক সংযোগসূত্র হিসেবে উত্তর ও দক্ষিণ ইউরোপের মাঝে বিশাল ভূমিকাও পালন করছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের পরেই ফ্রান্স আয়তনের দিক থেকে ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ। ষড়ভূজাকৃতির এই দেশটির চতুর্দিকে রয়েছে উত্তর-পূর্বে বেলজিয়াম ও লুক্সেমবুর্গ, পূর্বে জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও ইতালি, দক্ষিণ-পশ্চিমে অ্যান্ডোরা ও স্পেন, উত্তর-পূর্বে ইংলিশ চ্যানেল, পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর, উত্তরে উত্তর সাগর, এবং দক্ষিণ-পূর্বে ভূমধ্যসাগর।

 


পৃথিবীর প্রাচীন জাতি-রাষ্ট্রের এই দেশটি সবুজ উপত্যকা, পাহাড়ি উঁচুভূমি, বিস্তৃত সমভূমি, উপকূলীয় নিম্নভূমি, সেন, লোয়ার, গারন, রোনসহ চারটি প্রধান নদী আর আল্পসের সুউচ্চ বরফাকৃত পর্বতমালার সমন্বয়ে ভূ-প্রকৃতির এক বিচিত্র দেশ ফ্রান্স। দেশটির রাজধানী প্যারিস। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ শহর। ফ্রান্স মূলত নগরভিত্তিক রাষ্ট্র। দেশের জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশ বাস করে শহরে। প্যারিস একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, যে শহরটিকে পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে। নাগরিকদের প্রধান ভাষা ফরাসি। আমরা সকলেই জানি, ফরাসি সংস্কৃতি জগদ্বিখ্যাত; শিল্পকলা, সাহিত্য, বিজ্ঞান, নৃবিজ্ঞান, দর্শন ও সমাজবিজ্ঞানের উন্নয়নে ও প্রসারে ফ্রান্সের সংস্কৃতি ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। মধ্যযুগ থেকেই প্যারিস পাশ্চাত্যের সাংস্কৃতিক জীবনের কেন্দ্রবিন্দু। ফরাসি রান্না ও ফ্যাশন বিশ্বের সর্বত্র অনুসৃত হয়। আর ফ্রান্স ফরাসি বিপ্লবের মাধ্যমে বিশ্বে প্রথম গণতন্ত্র উপহার দেয়। ইতিহাসটা সবারই জানা যে, ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লবে রাজতন্ত্রের পতন ঘটে এবং এরপর বহু দশক ধরে ফ্রান্স রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলায় নিমজ্জিত হয়। এ সত্ত্বেও নেপোলিয়ন বোনাপার্ট-এর শাসনামলে ফ্রান্স একটি সংহত প্রশাসনিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বাংলাদেশের মতো কৃষি উৎপাদনে ইউরোপের প্রধান এই দেশটির ভূমিতে পা রাখার অনুভূতিতে ক্রমশই যেন পুলকিত হচ্ছিলাম। সূর্যের আলো চোখে পড়ার সাথে সাথে। ঘুম ঘুম চোখ মেললাম প্যারিসের শরীরে। মনে পড়ল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা। কত কাঠখড় পুড়িয়ে প্রথম বার এই  প্যারিসে তিনি এসেছিলেন। তার অনুভূতির সঙ্গে আমারটা মেলাচ্ছি। অবশেষে প্যারিস এলাম। প্যারিসের মাটিতে পা দেবার আগে আরেকটি কথা মনে পড়ল- ঐতিহাসিকভাবে এই প্যারিস শহরেই রচিত হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তিসূচক শান্তিচুক্তি, যেটি ‘প্যারিস পিস কনফারেন্স’ নামে পরিচিত। এই কনফারেন্সেই স্বাক্ষরিত হয়েছিলো ‘ভার্সাই চুক্তি’। আর ‘লিগ অফ নেশনস’-এর ধারণা বেরিয়ে আসে এই পিস কনফারেন্স থেকেই।

বাস যখন থামল, তখন দেখলাম দূতাবাসের লোক ও দোলন-তারা দুই বন্ধু আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা গাড়িতে উঠেই সরাসরি চলে গেলাম দূতাবাসের অফিসে। পরিচয় হলো সকল কর্মকর্তার সাথে। এরপর সোজা চলে গেলাম রাষ্ট্রদূতের অফিসে। গাড়ি থেকে নেমেই দেখলাম দূতাবাস বিল্ডিঙের সামনে উড়ছে লাল সবুজের প্রিয় পতাকা। উপরে উঠে যার সঙ্গে প্রথমেই আলাপ হলো, তিনি আমার পূর্ব পরিচিত। এই ভদ্রমহিলার স্বামী রুহুল আমিন, সর্বশেষ যিনি এখানকারই রাষ্ট্রদূত ছিলেন, কিছু দিন আগে হার্টঅ্যাটাকে তিনি মারা গেছেন। তার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় হয় বাহরাইনে। ২০০৬ সালে যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকা ফেরার পথে বাহরাইনে ট্রানজিটে একদিন অবস্থানকালে অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকীর মাধ্যমে পরিচয় হয় জনাব রুহুল আমিন ও তার স্ত্রীর সঙ্গে, তিনি তখন বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত। তিনি বাহরাইন থেকে পরে ফ্রান্সে যান। রুহুল আমিন সাহেবের মৃত্যুর পর বাংলাদেশ সরকার তার স্ত্রীকে এখানে চাকরি দিয়েছেন। তো সেই ভদ্র মহিলার সঙ্গেই প্রথম দেখা হলো, অনেক কথা হলো। এরপর ফার্স্ট সেক্রেটারি ও সবশেষে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপ হলো। তিনি নিয়ে গেলেন তার বাসায়। গিয়েই দেখলাম দুপুরের খাবারের চমৎকার আয়োজন করেছেন। ভোজ শেষে দোলন ও তারার সঙ্গে তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলাম ওদের বাসায়। ওরা থাকে প্যারিসের একটি প্রান্ত এলাকায়। আমরা প্রথমে সাবওয়েতে ও পরে ট্রামে করে ওদের ওখানে গেলাম। ট্রাম স্টেশনটির নাম নেরুদা। পাবলো নেরুদা। জায়গাটি নিরিবিলি, শান্ত ও সুন্দর। এক নজরে যতটা দেখলাম, তাতে এই এলাকায় নিগ্রোদের বসবাস বেশি। দোলনও তাই-ই বলল।

 


দোলন ও তারা দুজন খুবই প্রাণবন্ত তরুণ। ওরা ৫ জন বাংলাদেশি তরুণ একটি বাড়ির বড় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকে। সেই ফ্ল্যাটে আমাদের নিয়ে গেল। ফ্ল্যাটটি নেরুদা স্টেশন থেকে মাত্র কয়েকশ গজ দূরে। খুবই নিরিবিলি। ওরা আমাদের একটি রুম ছেড়ে দিল। আমরা একটু ফ্রেশ হয়ে নিলাম। তারপর খাওয়া-দাওয়া করে বেরিয়ে পড়লাম প্যারিস দর্শনে। সেই একই পথে, অর্থাৎ প্রথমে ট্রাম ও পরে সাবওয়েতে করে প্যারিসের মূলে প্রবেশ করলাম। যেতে যেতে চোখে পড়ছে নানা রঙের মানুষ, বিশেষ করে দেখতে পাচ্ছি কালো মানুষদের। মনে মনে ভেবে নিলাম, যে সব দেশে ফ্রান্সের কলোনি ছিল, বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলোতে, সেসব দেশ থেকে ধীরে ধীরে হয়ত এইসব কালো রঙের মানুষরা এখানে এসে থাকবে। মনে পড়ল, এটি প্যারিস! পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষ এই শহরে বাস করে, বিশেষ করে সাম্প্রতিককালে ফ্রান্স জার্মানির সাথে একত্রে মিলে গোটা ইউরোপের অর্থনীতি ও রাজনীতির সমন্বয়ে প্রধান ভূমিকা রেখে চলেছে। সময়টা গ্রীষ্মকাল, কাজেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশসহ আমেরিকা-এশিয়ার নানা দেশ থেকেও প্রচুর পর্যটকে ঠাসা এই শিল্প-সাহিত্যের শহর। বিশেষ করে রাস্তার মোড়ে মোড়ে চোখে পড়ল কিছু অসহায় মানুষ। এই মানুষেরা এসেছে সুদূর সিরিয়া থেকে। যুদ্ধ বিতাড়িত এই মুসলিম শিশু-নারী-পুরুষেরা কেউ কেউ ভিক্ষা করছে। কি ফর্সা সুন্দর কিশোরী বোরখা পরে হাত পেতেছে মাতৃভূমির মাটি ছেড়ে আসা, আহা! আমাদের বুকের গভীরে কেঁদে উঠল কষ্ট। হায় যুদ্ধ! হায় মানবতা!

হাঁটতে হাঁটতে ওরা আমাদের নিয়ে এলো প্যারিসের সেন্ট্রাল পয়েন্টে। হাঁটছি আর দেখছি শিল্প-সাহিত্যের পোড়-খাওয়া প্যারিস নগরী। যদিও সমস্ত ইউরোপের ধরন একই রকম, তারপরও প্যারিস এক অন্য রকম ঐশ্বর্যে লালিত। টের পাচ্ছি, এই শহরের মেজাজ। সন্ধ্যা হয়ে এলো, আমরা গেলাম সেন্ট্রাল পাবলিক লাইব্রেরির দিকে। বিশাল জায়গাজুড়ে, বিশাল বড় বিল্ডিং-এর লাইব্রেরিটি তখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমরা কেবল সিকিউরিটির ব্যুহ ভেদ করে নিচতলায় প্রবেশ করতে পারলাম। ঘুরে ঘুরে দেখতে দেখতে মনে পড়ল, ঢাকার কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির কথা। আকাশ-পাতাল পার্থক্য। কিছু বই, কিছু নিয়ম-কানুন জেনে বেরিয়ে এলাম বইয়ের পৃথিবী থেকে। লাইব্রেরির সামনেই একটি বিশাল ফোয়ারাসহ চত্বর। ফ্রান্স মানেই শিল্পীদের নগরী, এখানেও দেখলাম সেই নমুনা। ফোয়ারার পাশেই বিশাল দেয়ালচিত্র। মুগ্ধকর কারুকাজের এই ওয়াল পেইন্টিং। সামনে দাঁড়িয়ে কয়েকটি ছবি উঠিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে এলাম। তখন রাত নেমে গেছে। দোলন ও তারা আমাদের এরপর শহরের কয়েকটি দর্শনীয় স্থান ঘুরিয়ে নিয়ে গেল প্যারিসের সেন্ট্রাল রেল স্টেশনে। সেটিও দেখার মতো বিষয় ও স্থান। একটা বিষয় খেয়াল করলাম, শান্তির চাদরে ঢেকে থাকা এই প্যারিসে বেড়াতে আসা প্রতিটি বিদেশী নাগরিকের নিরাপত্তার ব্যাপারে সর্বদা সজাগ ফ্রেঞ্চ পুলিশ। কড়া এই আইনশৃঙ্খলা প্যারিসকে পর্যটকের স্বর্গভূমিতে রূপান্তর করেছে। (চলবে)

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ অক্টোবর ২০১৭/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়