সেঞ্চুরির পরও সৌম্যর আক্ষেপ
ক্রীড়া প্রতিবেদক : বড় ম্যাচে বড় ইনিংস খেলতে চেয়েছিলেন। সৌম্য সরকারের সেই চাওয়া পূর্ণ হয়েছে। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পেয়েছেন সেঞ্চুরি। তবে ইনিংস আরো বড় করতে না পারায় হতাশ আবাহনীর বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
নিউজিল্যান্ড থেকে ফিরেই প্রিমিয়ার লিগে খেলা শুরু করেছিলেন সৌম্য। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারছিলেন না। প্রথম ১১ ম্যাচে সেঞ্চুরি দূরে থাক, ছিল না কোনো ফিফটিও। অবশেষে রোববার বিকেএসপিতে রূপগঞ্জের বিপক্ষে আবাহনীর শিরোপা স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার ম্যাচে সৌম্য জ্বলে উঠলেন, করলেন ঝোড়ো সেঞ্চুরি।
মাত্র ৭৯ বলে ১০৬ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন আবাহনীর জয়ের নায়ক সৌম্য। ১৫ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো ছিল ইনিংসটি। কিন্তু যখন আউট হয়েছেন, তখনো বাকি ছিল ২৫ ওভারের বেশি। চাইলে সেঞ্চুরিকে দেড়শ কিংবা ডাবলে রূপান্তর করতে পারতেন।
সেটি না পারায় ম্যাচ শেষে আক্ষেপ ঝরল সৌম্যর কণ্ঠে, ‘আজ হয়তো বা শুরুটা ভালো হয়েছে। চেষ্টা করেছি একটা বড় ইনিংস খেলার। তারপরও অনেক দ্রুত আউট হয়ে গিয়েছি, ২৪ ওভারের সময়। যদি থাকতে পারতাম তাহলে আরো বড় ইনিংস খেলতে পারতাম।’
এদিন বড় ইনিংস খেলার ভাবনাটা তার আগে থেকে ছিল বলেই জানালেন, ‘প্রিমিয়ার লিগে যতগুলো ম্যাচ খেলেছি আমি ভালো করিনি। তারপরও টিম ম্যানেজমেন্ট খেলিয়েছে। আমারও একটা চিন্তা ছিল আজকে বড় ম্যাচ, বড় ম্যাচে যদি কিছু করতে পারি, তাহলে আমার নিজের কাছেও ভালো লাগবে, টিমেরও অনেক উপকার হবে। এমন একটা পরিকল্পনা ছিল।’
বিশ্বকাপের আগে সৌম্যর রানখরা নিয়ে চিন্তিত ছিল সবাই। রান না পাওয়ায় তার নিজেরও খারাপ লাগছিল, কিছুটা চাপেও ছিলেন, ‘চাপ বলতে, নিজের কাছে খারাপ লাগা ছিল। নিজে রান করতে পারছি না। কিছুদিন আগে জাতীয় দলে রান করে আসছি। নিজের কাছে খারাপ লাগছিল ওইখানে রান করে এসে এখানে রান করছি না। একটু চাপও কাজ করছিল।’
সেঞ্চুরি পেলেও এদিন সৌম্যর আউট হওয়ার ধরন ছিল খুব বাজে। স্পিনার নাবিল সামাদকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বল আকাশে তুলেছিলেন। মিড উইকেটে বল তালুবন্দি করেন মুমিনুল হক। এর আগেও তিনি একাধিকবার বাজে শটে আউট হয়েছেন। সেগুলো নিয়ে কাজ করছেন বলেও জানিয়েছেন ২৬ বছর বয়সি ব্যাটসম্যান।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ এপ্রিল ২০১৯/পরাগ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন