ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

সুপার ওভার রোমাঞ্চে বিকেএসপির জয়

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৭, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সুপার ওভার রোমাঞ্চে বিকেএসপির জয়

হ্যাটট্রিক করে দলকে জেতাতে না পারলেও ম্যাচসেরা হয়েছেন মানিক খান

ক্রীড়া প্রতিবেদক : ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলানো ম্যাচ শেষ পর্যন্ত হলো টাই। সুপার ওভারেও নখ কামড়ানো উত্তেজনা জিইয়ে থাকল শেষ বল পর্যন্ত। শেষ দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে ব্যবধান গড়ে দিলেন সুমন খান। ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির প্রথম দিনেই প্রথমবারের মতো সুপার ওভারে গড়ানো ম্যাচ জয়ে রাঙাল বিকেএসপি। বৃথা গেল প্রাইম দোলেশ্বরের মানিক খানের রেকর্ড গড়া হ্যাটট্রিক।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে সোমবার তুমুল উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে সুপার ওভারে দোলেশ্বরকে ২ রানে হারিয়েছে বিকেএসপি। এর আগে মূল ম্যাচে দুই দলই করেছিল ১১১ রান।

সুপার ওভারে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ফরহাদ রেজার প্রথম দুই বল থেকে বিকেএসপি পেয়েছিল ৬ রান। পরের দুই বলে আউট আকবর আলী ও শামীম হোসেন।


জয়ের জন্য দোলেশ্বরের দরকার ছিল মাত্র ৭ রান। বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতে নায়ক হওয়ার সুযোগ তখন ফরহাদ রেজার সামনে। সুমন খানের করা প্রথম চার বল থেকে ফরহাদ ও তাইবুর রহমান নিতে পারেন ৪ রান। দুই বলে দরকার ৩। কিন্তু শেষ দুই বলেই আউট হয়ে যান ফরহাদ ও তাইবুর!

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১১১ রান তুলেছিল দোলেশ্বর। ৪৩ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন মাহমুদুল হাসান। মোহাম্মদ আরাফাতের ২৯ ও তাইবুরের ১৭ ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কে যেতে পারেননি।

চার ওভারে ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বিকেএসপির সেরা বোলার সুমন। মুকিদুল ইসলাম ৩৮ রানে ২টি এবং আব্দুল কাইয়ুব ও নুসহাদ ইকবাল নেন একটি করে উইকেট।

লক্ষ্য তাড়ায় বিকেএসপির শুরুটা হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মতো। প্রথম ওভারে স্কোরবোর্ডে কোনো রান তোলার আগে হারায় ২ উইকেট। ওভারের শেষ দুই বলে মানিক খান ফেরান ফাহাদ আহমেদ ও পারভেজ হোসেন ইমনকে।

নিজের পরের ওভারের প্রথম বলে রাতুল খানকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে হ্যাটট্রিক করেন মানিক। ২২ বছর বয়সি এই পেসারের পরের ওভারে আমিনুল ইসলামও ফিরলে বিকেএসপির স্কোর হয়ে যায় ৪ উইকেটে ১৬!

এরপর পঞ্চম উইকেটে ৮০ রানের দারুণ এক জুটিতে বিকেএসপিকে কক্ষপথে ফেরান শামীম হোসেন ও আকবর আলী। তাদের ব্যাটে বিকেএসপির জয়টা তখন হাতের নাগালেই চলে এসেছিল। শেষ ১৮ বলে ৬ উইকেট হাতে রেখে দরকার ১৭ রান।
 


কিন্তু ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় ১৮তম ওভারে। শামীম ৩৬ বলে ৩ ছক্কা ও এক চারে ৪৫ করে তাইবুরের বলে এলবিডব্লিউ হলে ভাঙে জুটি। পরের দুই বলে রান আউটে কাটা পড়েন কাইয়ুব ও নুসহাদ। পরের ওভারে ফিরে যান আকবর আলীও। ৪৪ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় তিনি করেন ৪২ রান।

শেষ ওভারে বিকেএসপির সামনে সমীকরণটা দাঁড়ায় ১১ রানে। বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানীর প্রথম দুই বলে আসে দুটি সিঙ্গেল। তৃতীয় বলে মুকিদুল হাঁকান ছক্কা। পরের বলে রান আউটে কাটা পড়েন তিনি। পঞ্চম বলে আসে এক রান। শেষ বলে চাই ২। হাসান মুরাদ এক রান নেওয়ার পর দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে হন রান আউট, ম্যাচ টাই!

মূল ম্যাচে না পারলেও শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে ঠিকই জয়ের হাসি হাসল বিকেএসপি। হ্যাটট্রিকসহ ১২ রানে ৪ উইকেটের জন্য ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন দোলেশ্বরের মানিক খান।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/পরাগ     

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়