ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

উইকেটের চরিত্র বদলে ভাবনার, খেলার পরিবর্তন

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৯, ৩ মার্চ ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
উইকেটের চরিত্র বদলে ভাবনার, খেলার পরিবর্তন

ক্রীড়া প্রতিবেদক : সবশেষ বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচের কথা মনে আছে? বিশেষ করে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে রংপুর রাইডার্সের ব্যাটিং ইনিংস?

মিরপুর শের-ই-বাংলায় আগে ব্যাটিং করে মাত্র ৯৮ রানে অলআউট রংপুর। এরপর মিরপুরে শতরানের নিচে ইনিংস শেষ হয়েছে আরো তিনটি।

অথচ একই মাঠে ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে শতরানের নিচে ইনিংস নেই একটিও! প্রথম ইনিংসে সর্বনিম্ন রান ৬ উইকেটে ১৪৫। ফতুল্লাতে যে তিনটি ইনিংসে ৯৬, ৭২ ও ৫৯ রান হয়েছে, সেখানে খেলা হয়েছে ১০, ৮ ও ৭ ওভার।

সব মিলিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে দারুণ উইকেটে খেলা হচ্ছে। ব্যাটসম্যানরা রান করছেন স্বাচ্ছন্দ্যে, শট খেলতে পারছেন পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে। থ্রু দ্য লাইনে ব্যাট চালালেই পাচ্ছেন বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি। ব্যাটসম্যানদের জন্য ২২ গজ যেন স্বর্গ।

আবার বোলারদের জন্য নেই বিশেষ কিছু। তবে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রান না হলে উত্তাপ ছড়ায় না। তাইতো উপভোগ্য হচ্ছে ১২ দলকে নিয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই টুর্নামেন্ট।

উইকেটের চরিত্র বদলে খেলোয়াড়দের ভাবনা এবং খেলার ধরনের পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে করছেন টুর্নামেন্টের ফাইনালিস্ট শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের অধিনায়ক কাজী নুরুল হাসান সোহান। 

উইকেট নিয়ে তিনি নিজের মূল্যায়ন দিয়েছেন এভাবে, ‘সত্যি কথা বলতে যেই কয়টা উইকেটে খেলা হয়েছে, আমার মনে হয় খুব ভালো উইকেটে খেলা হয়েছে। মিরপুরের উইকেটে বিপিএলের সময় সব সময় আমাদের চিন্তা থাকে লো স্কোরিং ম্যাচ হবে। কিন্তু এই টুর্নামেন্টে যেই ম্যাচগুলো হয়েছে, এখানে বড় স্কোর হয়েছে এবং বড় স্কোর চেইজও হয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে খেলাটা সবার কাছে তখনই উপভোগ্য হবে যখন খেলাটা বড় স্কোর হবে এবং বড় স্কোর চেইজ হবে। এটাই সবচেয়ে বড় জিনিস।’

দুই সেমিফাইনালে ১৮২ এবং ১৭১ রান তাড়া করে জয় পেয়েছে শেখ জামাল ও প্রাইম দোলেশ্বর। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়েই ফাইনালের টিকিট পেয়েছে দুই দল। তাইতো ফাইনালেও ভালো উইকেটের আশায় সোহান, ‘এখানে শেষ যেই ৩-৪টা ম্যাচ হয়েছে, প্রত্যেকটাই হাই স্কোরিং। আশা করব ফাইনালের উইকেটও ভালো হবে।’

প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই টুর্নামেন্ট সবার নজর কেড়েছে দারুণভাবে। খেলোয়াড়দের ভেতরেও তৈরি হয়েছে ভিন্ন আমেজ। সোহান মনে করেন, টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ধারাবাহিকভাবে আয়োজিত হলে বিপিএলে স্থানীয় ক্রিকেটারদের মান অনেক বৃদ্ধি পাবে।

‘আমার মনে হয় টুর্নামেন্ট অনেক প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়েছে।  ভারত বলেন বা অন্য যে কোনো দেশের কথা বলেন, দেখবেন এই ধরনের টুর্নামেন্ট হয়। বিপিএলে আন্তর্জাতিক মান থাকে।  সেক্ষেত্রে হয়তো কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় খেলোয়াড়রা সুযোগ একটু কমই পেয়ে থাকে। বিদেশি খেলোয়াড়দের দাপটে দেশের সেরাদের নিচে খেলতে হয়। টি-টোয়েন্টিতে এমন টুর্নামেন্ট হলে আমরাও বুঝতে পারব যে কীভাবে খেলতে হবে। হুট করে টি-টোয়েন্টির সাথে মানিয়ে নেওয়া কঠিন। অবশ্যই আমার মনে হয় এই ধরনের টুর্নামেন্ট আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ’- বলেছেন সোহান।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ মার্চ ২০১৯/ইয়াসিন/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়