ঐতিহাসিক এক শহর ফ্লোরেন্স
ইসমাইল হোসেন স্বপন, ইতালি || রাইজিংবিডি.কম
ইতালির তুস্কানি অঞ্চলের নান্দনিক এক শহর ফ্লোরেন্স। রোমের উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ২৩০ কিলোমিটার দূরে আর্নো নদীর তীরে অবস্থিত এই ঐতিহাসিক শহর। খ্রিস্টপূর্ব ৫৯ সালে জুলিয়াস সিজারের রাজত্বকালীন সময়ে শহরটির গোড়াপত্তন হয়।
শিল্প, স্থাপত্য ও ইতিহাসের শহর ফ্লোরেন্স বেশ পরিপাটি এবং সাজানো গোছানো। শহরজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বড় বড় প্রাসাদের সাথে জড়িয়ে আছে নগর সভ্যতার হাজারো গল্প, কাহিনি। ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের মিশেল ফ্লোরেন্সকে ইউরোপীয় রেনেসাঁর আঁতুড়ঘর বলা হয়।
ফ্লোরেন্স চতুর্দশ শতকের শেষভাগে সারা ইউরোপে সাহিত্য, শিল্প, ভাস্কর্য, স্থাপত্যে বিপ্লব এনে দিয়েছিল।
সেই দান্তে, বোকাচ্চিও, পেত্রাকের শহর। শিল্পী-ভাস্কর্য লিওনার্দো-দা-ভিঞ্চি, মিকেলাঞ্জেলো জন্ম নিয়েছিলেন এই শহরে। বিশ্ববিখ্যাত বৈজ্ঞানিক গালিলেয়ো জন্মেছেন এই ফ্লোরেন্সে।
১৯৮৩ সালে ইউনোস্কো কর্তৃক ফ্লোরেন্সের ঐতিহাসিক কেন্দ্র ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করা হয়। ফ্লোরেন্স শহরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক আসে।
ফ্লোরেন্স এর শৈল্পিক এবং স্থাপত্য ঐতিহ্যের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর শহরের একটি হিসেবে ফোর্বসের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। ফ্লোরেন্স এর শিল্প, ভাস্কর্য, স্থাপত্য ঐতিহ্যের সবকিছু মিলে শহরটি যেন তার শত বছরের ঐতিহ্যকে ভালোবাসার গ্রন্থিতে আঁকড়ে ধরে আছে।
ফ্লোরেন্সে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেমন, ফ্লোরেন্স ক্যাথিড্রাল, গ্যালারিয়া ডেল অ্যাকাদেমিয়া, আর্নো নদী, পিয়াজ্জা দেলা সিনোরিয়া, পালাৎজো ভেক্কিও, পন্টে ভেক্কিও, পিটি প্যালেস, বোবোলি গার্ডেন, উফিজি গ্যালারি, পিয়াৎজালে মিকেলেঞ্জেলো সহ অসংখ্য ঐতিহাসিক, নান্দনিক ও দর্শনীয় স্থান রয়েছে শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে।
ইতালি/স্বপন/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন